মুখের মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায়।



প্রিয় পাঠক আসসালামুআলাইকুম আশা করছি আপনারা ভালো আছেন।প্রিয় সুধী আপনারা আজকে আমাদের এই আর্টি কেল টি খুলেছেন মানেই আপনি কোন না কোনভাবে মেছতার সমস্যায় ভুগছেন।আজ আমি আপানাদের কে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো আমাদের মুখে মেছতা হওয়ার কারণ, ও মুখের মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে ।
মুখের মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায়

আপনারা যদি ধর্য্য সহকারে আমাদের এই আর্টিকেল টির সঙ্গে থাকেন তাহলে আপনারা আরো জানতে পারবেন মেছতা দূর করার ক্রীমের নামসহ ,চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে । তাহলে চলুন আর দেরী না করে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

ভুমিকা:

আমরা সবায় সুন্দরের পুজারী আর এই সুন্দরয্য কে নষ্ট করে ফেলে মুখে মেছতার দাগ।যার কারণে পড়তে পারেন আপনারা নানা রকম সমস্যায় ।এই মেছতার সমস্যা থেকে বাঁচতে আপনারা বেশ উপায় অবলম্বন করতে পাড়েন।আপনারা যদি নিয়মিত এই উপায় মেনে চলতে পাড়েন তাহলে আপনারা এই মেছতার সমস্যা থেকে বাঁচতে পাড়েন। 
নিম্নে মেছতা থেকে বাঁচতে কিছু উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।  

মেছতা কি?:

সান রে এবং হিট সূর্যের ইউভি রে আমাদের স্কিন ড্যামেজ করে থাকে। ঘর খেকে বাহির হলে আলোতে আসলে আমাদের শরীরে মেলানিন প্রডিউস হয়। এই মেলানিন অনেকটা আমাদের ত্বকে ছাতার মত কাজ করে থাকে, যা সূর্যের আলো থেকে আমাদের ত্বক রক্ষা করার জন্য আমাদের বডি থেকে মেলানিন সেল ঐ সময় বেশি প্রডিউস হয়ে থাকে।
কিন্তু যখন মেলানিন বেশি প্রডিউস হয়ে যায় আর মুখে ছোপ ছোপ দাগ হয়ে যায়, তখন এই দাগকে মেলাসমা বা মেসতা বলে।

মুখে মেছতা হওয়ার কারণ:

বিভিন্ন কারণে আমাদের মুখে মেছতা হয়ে থাকে।নিম্নে বেশ কয়েক কারণ উল্লেখ্য করা হলো: 

আগুনের হিট: অতিরিক্ত হিটের মধ্যে থাকলেও কিন্তু মেসতা হয়ে থাকে। রান্নাঘরে নারীদের বেশি কাজ করতে হয় ফলে আস্তে আস্তে স্কিনে মেলাসমা দেখা দেয়।আর এই অতিরিক্ত মেলাসমার কারণে আমাদের মুখের ত্বকে মেছতা দেখা দেয়। 

অরিতিক্ত টেনশনঃঅনেক সময় দেখা যায় স্কিন কেয়ারের সব কিছু মেনে চলার পরও আমাদের মুখে মেসতা হচ্ছে। বেশি স্ট্রেস নিলেও কিন্তু স্কিনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে পরে।

হরমনাল কারণ:মেছতা হওয়ার পেছনে এর মধ্যে হরমোনের কিছু বিষয় রয়েছে। যেমন : গর্ভবতী একজন নারীর হরমোনের কিছু পরিবর্তন আসছে, গর্ভাবস্থায় তার মেছতা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে কেউ ওরাল কন্ট্রাসেপটিভ পিল খাচ্ছে, তখন হরমোনের একটি ভারসাম্যহীনতা বা পরিবর্তন দেখা দেয়।  তখন তাদের মুখে মেছতা দেখা দেয়।আবার আমাদের যাদের শরীরে থাইরয়েডের রোগ রয়েছে, তাদের হরমোনের অনেক তারতম্য হয়ে থাকে। তখন তাদের মুখে মেছতা দেখা দেয়। 

মানসিক চাপ :মানসিক চাপ আমাদের এখনকার সময়ে খুবই প্রচলিত।মানসিক চাপের কারণে আমাদের রাতে ভালো ঘুম হয় না । তখনো আমাদের হরমোনের ভারসাম্যহীনতা হয়ে থাকে। এই ধরনের হরমনের ভারসাম্যহীনতা কারণে ও আমাদের মুখে মেছতা হচ্ছে। 

ত্বকের যত্ন:ত্বক নিয়মিত ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। ত্বক অপরিষ্কার থাকলে মেছতা হতে পারে।অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার:এ ছাড়া বেশি কসমেটিক্স, রাসায়নিক দেওয়া ক্রিম মুখে ব্যবহার করলে একধরনের গুটি গুটি কালো দাগ হয় সারা মুখে। একে বলে পিগমেন্টেড কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস। বিশেষ করে প্রসাধনী থেকে ত্বকে মেছতা সমস্যা দেখা দেয়।

ঔষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:বিশেষ করে আমারা যারা হাই ব্লাড প্রেসার ও ডায়াবেটিসের ঔষুধ খাই বা অন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াতে ও অনেক সময় আমাদের মুখে মেছতার মত এমন দাগ দেখা দিতে পারে।

মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায়:

লেবুর রস:লেবুর রসের সাথে অল্প পরিমাণ মধু মিশিয়ে তা পাতলা করে নিন। এবার মেছতার দাগে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ধুয়ে নিন। প্রতিদিন এটি ব্যবহার করতে পারেন। যাদের ত্বক সেন্সিটিভ তারা একদিন পর পর ব্যবহার করলে ভালো।লেবুর রস ব্লিচিং হিসেবে কাজ করে ও ত্বকের নানারকম দাগ দুর করে।

টক দই:১ টেবিল চামুচ টক দই ও ১ চা চামুচ মধু মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে নিন। এবার পরিষ্কার মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ১০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এই মাস্কটি প্রতিদিন একবার করে ব্যবহার করতে পারেন। মেছতার দাগ দুর করে ফর্সা ত্বক করার জন্য একদম পারফেক্ট কম্বিনেশন হলো টকদই ও মধু।

টমেটো:ভিটামিন সি সমৃদ্ধ টমেটোর রস ত্বকের মেছতা ও কালো দাগ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। তাই টমেটোর পাল্প ত্বকে ম্যাসাজ করে ১০ থেকে ১৫ মিনিট এবং ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রতিদিন অথবা সপ্তাহে তিন- চার দিন ব্যবহার করুন।

মুলতানি মাটি:মুলতানি মাটি ত্বকের মরা কোষ কে পরিষ্কার করে এবংত্বকের মেছতা দূর ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের এক্সট্রা অয়েল শুষে নিয়ে ত্বককে পরিষ্কার ও উজ্জ্বল করে।

মসুর ডাল:যাদের মুখে বয়সের জন্য মেছতা পড়ে তারা ছোলার ডাল ব্যবহার করে অনেক উপকার পেতে পারেন। এজন্য প্রথমে ছোলার ডাল সারাদিন ভিজিয়ে রেখে দিন। এরপর আধা কাপ ছোলার ডালের সাথে ১ চামচ মধু মিশিয়ে পানির পরিবর্তে কাচা দুধ দিয়ে মিহি করে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। 
এটি মেছতার সাথে সাথে ত্বকের রিঙ্কেলস দূর করতেও সাহায্য করে। 

কমলা লেবুর খোসা: কমলা লেবুর খোসাতে রয়েছে ভিটামিন সি যা ত্বকের মেছতা ও কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। কমলালেবুতে সাইট্রিক অ্যাসিডের পাশাপাশি ভিটামিন সিও আছে। কমলালেবুর খোসা ত্বকের সেল রিনিউয়াল পদ্ধতি ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে। কমলালেবুর খোসা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে। এর সাথে দুধ মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। 
এই মিশ্রণ প্রতিদিন ব্যবহার করলে ত্বকের মেছতা দূর হওয়ার সাথে সাথে ত্বকও উজ্জ্বল হবে। 

আলুর রস:মেছতার দাগ দূর করবে সবচেয়ে সহজলভ্য সবজি আলু। এতে ক্যাটেকোলেজ রয়েছে, যা কালো দাগ দূর করে। তাই মেছতার দাগ দূরীকরণেও এটি ঘরোয়া সমাধান দিবে। আলু ব্লেন্ড করে রস বের করে নিন। সেই রস মুখের ত্বকে মাখুন। ১০ মিনিট ঘষে নিন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রতিদিন লাগালে মেছতা দাগের পাশাপাশি মুখের অন্য দাগও চলে যাবে।

অ্যালোভেরা:মেছতা দাগ দূর করতে আপনারা অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। ডার্ক সেলের ডিপিগমেন্টেশন এবং মেছতার দাগ কমায় এটি। তাজা অ্যালোভেরা ব্লেন্ড করে মেছতার দাগযুক্ত অংশে লাগিয়ে রাখুন। ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ধুয়ে নিন। চাইলে আপনারা মুখে অ্যালোভেরা জেলও ব্যবহার করতে পারেন। 

হলুদ:হলুদ ত্বকের মেলানিন কমিয়ে মেছতা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। হলুদের মধ্যে রয়েছে ত্বক উজ্জ্বল করার উপাদান।পাঁচ টেবিল চামুচ হলুদ গুঁড়ার মধ্যে ১০ টেবিল চামুচ দুধ মিশিয়ে পেস্ট করুন। দুধের মধ্যে রয়েছে ল্যাকটিস এসিড ও ক্যালসিয়াম। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বককে নরম করতে কাজ করে।এর মধ্যে এক টেবিল চামুচ ময়দা মেশাতে পারেন।
এর পর দাগযুক্ত স্থানে পেস্টটি লাগান।২০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিদিন এ পদ্ধতি অনুসরণ করুন।

অর্জুন গাছের ছাল:অর্জুন গাছের ছাল রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে নিন । এরপর প্রতিদিন এক চা চামচ গুঁড়াতে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মেছতার দাগের ওপর লাগান। ৩০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।ভালো ফলা ফলের জন্য ত্বকে প্রতিদিন ব্যবহার করা যেতে পারে।

স্ট্রবেরি:ত্বকের মেছতা দূর করার আর একটি ঘরোয়া পদ্ধতি হলো স্ট্রবেরি। কারণ স্ট্রবেরি তে রয়েছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি, হাইড্রোক্সি এসিড, স্যালিলিক এসিড, অ্যালিজিক এসিড ।যা ত্বকের মরা কোষ দূর করে,মেছতার দাগ, একনে এবং ত্বক ফাটা থেকে রক্ষা করে। দুই থেকে তিনটি স্ট্রবেরি চটকে নিন। দুই চা চামচ দই এবং মধু মিশিয়ে নিন। 
হালকাভাবে ত্বকে ম্যাসাজ করুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর এটি পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

মেছতা দূর করার ক্রিম:

ঘরোয়া ভাবে মেছতা দূর করার পাশাপাশি ।আপনারা মুখে বেশ কিছু মেছতা দূর করার কার্যকারি ক্রিম ব্যবহার করতে পাড়েন।নিম্নে কয়েক টি ক্রিম এবং এর কার্যকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:

skin clinic cream:মুখের মেছতা দূর করার আপনারা এই ক্রীম টি ব্যবহার করতে পাড়েন।এই ক্রীম ব্যবহারের ফলে আপনি দ্রুত ফলাফল পেতে পাড়েন।এই ক্রীম টির দাম বাজারে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা হতে পারে।

P Vita Melasma Cream:এই ক্রীম টি মেছতা দুর করার জন্য অত্যান্ত কার্যকারি।এই ক্রীমটির বাজার মূল্য হতে পারে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।

Berberis Cream:বাজারে এই ক্রীম টি কিনতে পাওয়া যায়।এই ক্রীম টি মেছতা দূর করার জন্য অত্যান্ত কার্যকারি।

White Sunblock Cream:মেছতা দূর করার জন্য আরেক টি অত্যান্ত কার্যকারি ক্রীম।বাজারে যে কোন কসমেটিকস এর দোকানে এই ক্রীম টি পেয়ে যাবেন।

মেটাকরটিল লাইট ক্রীম:এই ক্রীম টি একটি ইন্ডিয়ান ক্রীম।এই ক্রীম ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বকে কোন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে না।এবং আপনার ত্বক থেকে দ্রুত মেছতা দূর করে দেবে।Betavate N:এই ক্রীম টি আপনার পার্শ্ববত্তী যে কোন ফামের্সীর দোকানে পেয়ে যাবেন।
এই ক্রীম টি আপনার ত্বকের মেছতা দূর করা থেকে শুরু করে যে কোন প্রকার ত্বকের দাগ দূর করতে অত্যান্ত কার্যকারি।

Melatrin Cream:আপনি চাইলে আপনার ত্বকে মেছতা দূর করার জন্য এই ক্রিম টি ব্যবহার করতে পারেন।এই ক্রীম টি ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বকের মেছতার দাগ দূর করবে এবং মেছতা দূর করতে সাহায্য করবে।

Beta meson N: এই ক্রীম টি ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক থেকে মেছতার দাগ দূর করে আপনার চেহারা কে আরো সুন্দর ও উজ্জ্বল করে তুলবে।

Triclean:মেছতা দূর করার জন্য আপনারা এই ক্রিম টি ব্যবহার করতে পারেন।মেছতা দূর করতে এই ক্রিম টি অত্যান্ত কার্যকারী।

চিরতরে মেছতা দূর করার ২ টি উপায়:

লেবুর রস:
লেবুর রসে আছে ত্বক ব্লিচিং করার উপাদান যা আমাদের ত্বকের মেছতা থেকে শুরু করে যে কোনো প্রকার দাগ দূর করে থাকে। এছাড়া লেবুর রস ব্যবহারে ফলে আমাদের ত্বক নরম ও কোমল হয়ে উঠে।ত্বকে কালো বা ছোপ ছোপ দাগের আক্রান্ত জায়গায় লেবুর রস মেখে রেখে দিন।এবং ৩০ মিনিট রাখার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এরকমভাবে প্রতিদিন করুন।
ব্যবহারে ২ মাসের মধ্যে আপনি আপনার ত্বকের পার্থক্য দেখতে পারবেন। যাদের ত্বক একটু সেনসিটিভ তারা সরাসরি লেবু রস ব্যবহার না করে লেবুর রসের সাথে একটু মধু ও গোলাপ জল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।লেবুর রস আবার আমরা অন্যভাবে ব্যবহার করতে পারি। সেক্ষেত্রে আমরা লেবুর রসের সাথে পরিমাণ মতো চিনি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করতে হবে। 
এবার পেষ্টটি ত্বকে না মিলে যাওয়া পর্যন্ত ঘোসতে থাকুন। বিশেষ করে ত্বকের ছোপ ছোপ খয়রী দাগের জায়গাগুলোতে ভাল করে ম্যাসাজ করে নিন। এবং ৫-১০ মিনিট পর পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে কয়েকবার করুন। চাইলে আপনারা এতে অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। 

চন্দন:-
চন্দনে অ্যান্টি এইজিং এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদান আছে যা আমদের ত্বকের হাইপারপিগমেনশনের মাত্রা কমিয়ে মেছতার দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে।প্রথমে ২ টেবিল চামচ চন্দনের গুঁড়া, ১ টেবিল চামচ গ্লিসারিন, এবং লেবুর রস দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিন। এবার এই প্যাকটি কালো বা খয়েরী ছোপ ছোপ দাগের ওপর লাগান।
কিছুক্ষণ পর ঠান্ডা পানি দিয়ে সমস্থ মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত কয়েকবার এটি করুন।১ টেবিল চামচ কমলা লেবুর রস, ১ চা চামচ লেবুর রস, ভিটামিন ই, ২ টেবিল চা চামুচ চন্দন গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এই প্যকটি ভাল করে সমস্থ মুখে লাগান। আধা ঘন্টার পর পানি দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। 
সপ্তাহে অন্তত দুইবার এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। আর নিজের চোখে পার্থক্য দেখুন। প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চন্দন পাউডার, অলিভ অয়েল, বাদাম অয়েল মিশিয়ে মুখে ম্যাসাজ করতে পারেন। সারারাত রেখে সকালে ঘুম থেকে উঠে ধুয়ে ফেলুন।

উপসংহার:

আশা করছি আপনারা উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে মুখের মেছতা দূর করার উপায় গুলো সম্পর্কে ধারনা পেয়ে গেছেন।এই উপায়গুলি ব্যবহার করার পরও যদি আপনাদের মুখের মেছতা দূর না হয়।তাহলে অবশ্যই বিষেশজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এই রকম আরো তথ্য সম্বলিত আর্টিকেল পেতে চাইলে আপনারা নিয়মিত আমাদের এই ওয়েব সাইটি ভিজিট করুন।
সবাই কে ধর্য্য সহকারে আমাদের এই আটিকেল টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

আস-সালামুআলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url