ভিটামিন A এর উপকারিতা ও ভিটামিন A এর অভাবজনিত রোগ সমূহ বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন ।



প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা ভালো আছেন আজ আমি আপনাদেরকে ভিটামিন Aএর উপকারিত, এবং ভিটামিন A এর অভাবজনিত রোগ সম্পর্কে কিছু তথ্য জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব।আপনারা যদি আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমাদের এই আর্টিকেলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকেন।
ভিটামিন এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন

তাহলে আপনারা আরো জানতে পারবেন ভিটামিন A এর উৎস কি?ভিটামিন A এর কাজ কি? কোন জাতীয় সবজিতে ভিটামিন এ থাকে, ভিটামিন A ক্যাপসুল এর উপকারিতা, এবং ভিটামিন A এর অপকারিতা সম্পর্কে । তাহলে চলুন দেরি না করে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

ভূমিকা:       

ভিটামিন আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। ভিটামিন আমাদের শরীরের দৈহিক গঠন থেকে শুরু করে আমাদের বেঁচে থাকার জন্য কাজ করে থাকে। আমরা সাধারণত প্রতিনিয়ত যে সমস্ত খাবার গুলো খাই তার মধ্যেই প্রাকৃতিক ভিটামিন মজুদ থাকে। 
কিন্তু সেসব ভিটামিন এতই স্পর্শকাতর যে সঠিক প্রক্রিয়ায় যদি রান্না না করা হয় তাহলে তার পুষ্টিগুন নষ্ট হয়ে যায়। ভিটামিন প্রতিদিনের খাবারে মজুদ প্রোটিন কার্বোহাইডেট এবং ফ্যাট প্রোসেস করতে সাহায্য করে।
ভিটামিন আমাদের শরীরের কোষ এবং টিস্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি তো করেই পাশাপাশি আমাদের বিভিন্ন অঙ্গ পতঙ্গের রক্ষণাবেক্ষণ সহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া আমাদের শরীরকে অকাল বার্ধক্য হাত থেকে রক্ষা করে এবং ভিটামিন অনেক ক্ষেত্রেই ক্যান্সার এবং অক্সিডেটিভ ড্যামেজের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। 
তাই জেনে নেয়া যাক ভিটামিন এ এর অভাবে কি কি হতে পারে, এবং কোন কোন খাবারে ভিটামিন A পেতে পারি, সহ ভিটামিন এর উপকারিতা সম্পর্কে।

ভিটামিনAএর উৎস সমূহ: 

ভিটামিন A একটি চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিন, যা প্রাণী এবং উদ্ভিদ উভয় খাবারেই পাওয়া যায়। প্রাণীজ উৎস থেকে ভিটামিন A প্রিফর্মড ভিটামিনA হিসাবে পাওয়া যায়, যা রেটিনল, রেটিনাল এবং রেটিনোইক অ্যাসিড রয়েছে। উদ্ভিদ উৎস থেকে ভিটামিন A প্রোভিটামিন এ ক্যারোটিনয়েড হিসাবে পাওয়া যায়, যেমন বিটা-ক্যারোটিন, যা শরীরে রেটিনলে রূপান্তরিত হয়। 
ভিটামিন A এর কিছু উৎস হলো:

প্রাণীজ উৎস: মাছের যকৃত, মুরগির কলিজা, ডিমের কুসুম, দুধ, মাখন, ঘি, পানীর, চীজ ইত্যাদি।

উদ্ভিদজাত উৎস: হলুদ ও সবুজ শাকসবজি, রঙিন ফলমূল, গাজর, কুমড়ো, পাকা পেঁপে, পালং শাক, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু, বাঁধাকপি, পেয়ারা, পাকা আম ইত্যাদি।ভিটামিন A শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, চোখের দৃষ্টি, শরীরের বিকাশ, ত্বক, দাঁত, ও অস্থির গঠনের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।

ভিটামিনে A এর অভাব জনিত লক্ষন সমূহ:

ভিটামিন A এর অভাবে রাতের অন্ধত্ব, ত্বকের শুষ্কতা, রক্ত স্বল্পতা, প্রজনন সমস্যা, শিশুদের অপুষ্টি ইত্যাদি হতে পারে। অতিরিক্ত ভিটামিন এ গ্রহণ করলে হাইপারভিটামিনোসিস এ হতে পারে, যা লিভারের ক্ষতি, বার্ধক্য, অস্থির মোচর, মাথাব্যথা, বমি, চুলের ঝরা, গর্ভপাত ইত্যাদির কারণ হতে পারে। তাই ভিটামিন এ এর সঠিক মাত্রায় গ্রহণ করা উচিত।

ভিটামিন A এর অভাবজনিত রোগ সমূহ:

ভিটামিন A এর অভাবে শরীরে নিম্নলিখিত লক্ষণ দেখা যেতে পারে:

রাতের অন্ধত্ব: ভিটামিন A চোখের রোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রাতে আলোকের সাথে অনুকূল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়। ভিটামিন A এর অভাবে চোখ রাতে আলোকের পরিবর্তনে সমন্বয় করতে পারে না এবং অন্ধকারে দেখতে পারে না।

জেরোফথালমিয়া: ভিটামিন এ এর অভাবে চোখের কর্ণিয়া শুষ্ক এবং অপারদর্শী হয়ে যায়, যা চোখের সংক্রমণ, আঘাত এবং অন্ধত্বের ঝুঁকি বাড়ায়।

ক্যারাটোমালেসিয়া: ভিটামিন A এর অভাবে চোখের কর্ণিয়ায় ক্যারোটিনয়েড সঞ্চয় হয়, যা চোখের রঙ হলুদ বা কমলা হওয়ার কারণ হয়।

বিটট্ স স্পোর্ট: ভিটামিন A এর অভাবে ত্বকের নিচে ক্যারোটিনয়েড সঞ্চয় হয়, যা ত্বকে হলুদ বা কমলা দাগ হিসাবে দেখা যায়।

ত্বকের শুষ্কতা ও ক্ষতিকর রোগ: ভিটামিন Aএর অভাবে ত্বকের স্বাভাবিক নমি ও মসৃণতা হ্রাস পায় এবং ত্বকের রোগ যেমন একজিমা, প্সোরায়াসিস, আকনি ইত্যাদি বাড়ে।

প্রজনন সমস্যা: ভিটামিন Aএর অভাবে পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণমান কমে যায় এবং মহিলাদের গর্ভাবস্থার সময় গর্ভপাত, শিশুর জন্মের সময় মৃত্যু, শিশুর অপুষ্টি ইত্যাদি হতে পারে।

অন্যান্য রোগ: ভিটামিন এ এর অভাবে রক্ত স্বল্পতা, লিভারের ক্ষতি, বার্ধক্য, টিউমার, ক্যান্সার, অস্থির মোচর, মাথাব্যথা, বমি, চুলের ঝরা, গর্ভপাত ইত্যাদি হতে পারে।

ভিটামিন-A একটি চর্বিতে দ্রবনীয় ভিটামিন, যা আপনার শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

ভিটামিন A এর উপকারিতা: 

ভিটামিন-A এর কিছু উপকারিতা হলো:
  • চোখের স্বাস্থ্য ও দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। ভিটামিন-A রাতের অন্ধত্ব, জেরোফথালমিয়া, ক্যারাটোমালেসিয়া ও অন্ধত্বের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
  • ত্বকের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য বাড়ায়। ভিটামিন-A ত্বকের শুষ্কতা, ক্ষতিকর রোগ, বলিরেখা, আকনি ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
  • শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন-A শরীরের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি ও কোষের গঠনে সহায়তা করে, যা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও অন্যান্য সংক্রমক জীবাণুদের প্রবেশ রোধ করে।
  • শরীরের বিকাশ ও প্রজননে সহায়তা করে। ভিটামিন-এ মাতৃগর্ভে ভ্রূণের সঠিক বৃদ্ধি, পুরুষের শুক্রাণুর গুণমান ও মহিলাদের গর্ভাবস্থার সময় শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়াও ভিটামিন-A অন্যান্য যে সমস্থ কাজ করে, যেমন রক্ত স্বল্পতা, লিভারের ক্ষতি, বার্ধক্য, টিউমার, ক্যান্সার, অস্থির মোচর, মাথাব্যথা, বমি, চুলের ঝরা, গর্ভপাত ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।

ভিটামিন-A  জাতীয় সবজি:

ভিটামিন-A  জাতীয় সবজি হলো যেসব সবজি আমাদের দেশে চাষ করা হয় এবং ভিটামিন-Aএর উৎস হিসাবে কাজ করে।  ভিটামিন-এ এর জাতীয় সবজির কিছু উদাহরণ হলো:

পালং শাক: পালং শাক একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর শাক যা আমাদের দেশে বিশাল পরিমাণে চাষ করা হয়। পালং শাকে ভিটামিন-এ এর পাশাপাশি ভিটামিন-কে, ভিটামিন-সি, ফোলেট, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার রয়েছে। পালং শাক চোখ, ত্বক, রক্ত, হাড়, চুল ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে।

গাজর: গাজর একটি লোকপ্রিয় ও রঙিন সবজি যা আমাদের দেশে বড় পরিমাণে চাষ করা হয়। গাজরে ভিটামিন-এ এর সাথে সাথে বেটা-ক্যারোটিন রয়েছে, যা শরীরে গিয়ে ভিটামিন-এ এ রূপান্তরিত হয়। গাজর চোখ, ত্বক, দাঁত, মুখ, যকৃত, মেদ, মুত্রনালী ও প্রজনন অঙ্গের স্বাস্থ্য বাড়ায়।

কাঁচা পেঁপে: কাঁচা পেঁপে একটি মিষ্টি ও রসালো ফল যা আমাদের দেশে বিভিন্ন রান্না ও আচারের উপকরণ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। কাঁচা পেঁপেতে ভিটামিন-A এর ছাড়াও ভিটামিন-সি, ফোলেট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ফাইবার রয়েছে। কাঁচা পেঁপে হাজম, রক্তচাপ, ডায়বেটিস, ক্যান্সার, হৃদরোগ, কোলেস্টেরল, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সহায়তা করে।


কাঁচা আম: কাঁচা আম একটি টক ও কচি ফল যা আমাদের দেশে বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে পাওয়া যায়। কাঁচা আমে ভিটামিন-এ এর পাশাপাশি ভিটামিন-সি, ফোলেট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, ক্যারোটিন, ক্যাটেকিন, কুয়েরসেটিন ও গ্যালিক এসিড রয়েছে। 
কাঁচা আম হাজম, রক্তচাপ, ডায়বেটিস, ক্যান্সার, হৃদরোগ, কোলেস্টেরল, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস, লিভারের ক্ষতি, চুলের ঝরা, ত্বকের রোগ, দাঁতের রোগ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে।

এছাড়াও ভিটামিন-A এর জাতীয় সবজি হিসাবে আমরা ব্রোকলি, কুমড়া, কাঁচা পেয়াজ, কাঁচা টমেটো, কাঁচা মরিচ, কাঁচা কলা, কাঁচা পাপায়া, কাঁচা কাঠবাদাম, কাঁচা জামবুরা, কাঁচা কমলা, কাঁচা লেবু, কাঁচা মরিচ ইত্যাদি তে ভিটামিন এ পেয়ে থাকি।  

ভিটামিন A ক্যাপসুলের উপকারিতা:

ভিটামিন A ক্যাপসুল শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর কিছু উপকারিতা হলো: ভিটামিন A ক্যাপসুল চোখের স্বাস্থ্য ও দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। এটি রাতকানা, কর্ণিয়ার রোগ, অন্ধত্ব ও চোখের অন্যান্য সমস্যা প্রতিরোধ করে।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল ত্বকের সৌন্দর্য ও যৌবন বাড়ায়। এটি ত্বকের রোগ, আক্রান্ত ঘা, ঝাই, বৃদ্ধি ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন এ ক্যাপসুল চুলের স্বাস্থ্য ও বৃদ্ধি উন্নত করে। এটি চুলের গোড়ায় রক্তচলাচল বাড়ায়, চুলের পুষ্টি ও জীবনশক্তি দেয় এবং চুলের ঝড়া, বিদীর্ণতা ও রূপহানি কমায়।

ভিটামিন এ ক্যাপসুল হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, অস্থির রোগ, প্রস্রাব ও শ্বাসকষ্ট রোগের ঝুঁকি কমায়। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়।

ভিটামিন A এর কাজ কি?:

ভিটামিন-A এর কাজ হলো চোখের স্বাস্থ্য ও দৃষ্টিশক্তি উন্নত করা, ত্বক, শ্লেষ্মা ঝিল্লি ও ইমিউন সিস্টেমকে সুস্থ রাখা, শরীরের বৃদ্ধি ও বিকাশে সাহায্য করা, হৃদয়, ফুসফুস, কিডনি ও অন্যান্য অঙ্গের কার্যক্রমে নিয়ন্ত্রণ রাখা, জিনের অভিব্যক্তি ও কোষের পার্থক্য নিয়ন্ত্রণ করা।

ভিটামিন-A এর অপকািরতা : 

ভিটামিন-A এর অপকািরতা হলো এই ভিটামিনের অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে শরীরে যে সমস্যা ঘটে। এই সমস্যাগুলি হতে পারে:বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা, খাদ্যের প্রতি আসক্তি হারানো, শুষ্ক ত্বক, ত্বকে চুলকানি, চুল পড়ে যাওয়া, মায়ালজিয়া, পেপিলিডেমা, লিভার সিরোসিস ইত্যাদি।
হৃদরোগ, অস্থির রোগ, ক্যান্সার, গর্ভাবস্থার সময় শিশুর জন্মগত দোষ, ভিটামিন এ সম্পূরক গ্রহণের সময় অন্যান্য ভিটামিন ও মাইনারালের অভাব ইত্যাদি।ভিটামিন-A এর অপকািরতা প্রতিরোধ করার জন্য আপনাকে এই ভিটামিনের সুপারিশ করা দৈনিক মাত্রা মেনে চলতে হবে। এটি আপনার ওজন, উচ্চতা, লিঙ্গ, এবং বয়সের উপর নির্ভর করে। 
এটি আপনার বসবাসের এলাকার উপর নির্ভর করে। সাধারণত, 3000 আইইউ (1 আইইউ = 0.6 এমসিজি বিটা-ক্যারোটিন) 'এর চেয়ে দৈনিক বেশি মাত্রা সুপারিশ করা হয় না। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন অতিরিক্ত পরিমাণ গ্রহণ না করার পরামর্শ দেওয়া হয় কারণ এই ভিটামিন পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যে পাওয়া যায় এবং শরীরেও সংরক্ষণ করা হয়। 

শেষ কথা:

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা উপরোক্ত বিষয়বস্তুগুলো পড়ে আপনারা ভিটামিন A সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো পেয়ে গেছেন।আপনাদের যদি ভিটামিন এ এর সম্পর্কে আরো কোন তথ্য জানা থাকে এবং আপনাদের কাছে আমাদের এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। 
এবং আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ আসসালামু আলাইকুম ।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url