পেট ফুলে যাওয়ার কারন ও পেট ফুলা দূর করার ঘরোয়া উপায়।

প্রিয় পাঠক,আসসালামুআলাইকুম আশা করছি আপনারা ভালো আছেন ।আজকে আমি আপনাদের কে পেটের একটি সমস্যা পেটফোলা ভাব এই সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবো। আমরা প্রায় এই সমস্যার সম্মুক্ষীন হয় তাই আজকে আমরাে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নেব পেট ফুলে যাওয়ার কারণ,পেট ফুলা দূর করার ঘরোয়া উপায় সহ আরো অনেকগূলো বিষয় সম্পর্কে।
পেট ফুলে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নি

এছাড়া আপনারা যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলের সঙ্গে থাকেন তাহলে আপনারা আরো জানতে পারবেন পেটফোলা রোধে করতে কোন ধরনের সবজি খাওয়া উচিৎ,পেট ফোলা রোধে ঔষুধ সম্পর্কে ,এছাড়া আপনারা আরো জানতে পারবেন হঠাৎ পেট ফোলার কারণ,পেট ফুলে গেলে আদা খেলে কি উপকার হয়,পেট ফোলা প্রতিরোধে কিছু গুরুত্বপূর্ন টিপস সম্পর্কে,গর্ববস্থায় পেট ফোলা রোধে করণীয় কি?বিষয় সম্পর্কে।

ভূমিকা:

আমদের দেশের বেশীর ভাগ মানুষই পেটের কোন না কোন পেটের সমস্যায় ভোগেন। বিশেষ করে কোন খাবার খাওয়ার পর পেট ফুলে যায় এই সমস্যা আমদের অনেকেই হয়ে থাকে। অনেক সময় সাধারন ডাল ভাত খেলেও আমদের কে গ্যাসের ঔষুধ খেতে হয়। আসলে আমাদের এই পেট ফুলে যাওয়া গ্যাসে হওয়ার কারণ অনেকের ই অজানা।
তাই আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নেব পেট ফুলে যাওয়ার কারন,পেট ফোলা দূর করার ঘরোয়া উপায় সহ আরো অনেকগূলো বিষয় সম্পর্কে।তাহলে চলুন আর দেরী না করে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

পেট ফুলে যাওয়ার কারন: 

কিছু খেলে পেট ফুলে যাওয়ার কারন হতে পারে নিম্নলিখিতগুলো:

মনোযোগ দিয়ে না খাওয়া:কাজ করতে করতে খাবেন না।কারণ কাজ করতে করতে খেলে খাবারের প্রতি মনোযোগ কমে যায়।কখনো দ্রুতগতি আবার কখনো ধীরে খাওয়া হয়।এতে করে পেট ফোলাভাব হতে পারে।

বিষণ্ণতা: আপনি জানেন কি বিষণ্ণতা হলে অনেক সময় পেট ফোলা ভাব হতে পারে?কারণ রিষণ্ণতা হলে আমাদের মস্তিস্কে কিছু হরমনের পরিবর্তন আসে।যা এসিডিটি কারণ হতে পারে।না খেয়ে থাকা:দীঘক্ষন না খেয়ে থাকলে পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। যা পরবর্তীতে পেট ফোলার কারণ হতে পারে।

অ্যান্টিবায়োটিকস: কিছু কিছু অ্যান্টিবায়োটিকস আছে যেগুলো খেলে পেট ফোলা ভাব হতে পারে।
অতিরিক্ত ডেস্কে কাজ করলে:সাত ঘন্টার উপর একভাবে ডেস্কে কাজ করলে আমাদের শরীরে রক্তের সঞ্চালন গতিকে কমিয়ে দেয়।এতে করে পেটে গ্যাস হয় এবং পেট ফোলাভাব হয়।

হরমনের সমস্যা:কোন কোন ক্ষেত্রে কিছু হরমনের সমস্যা যেমন পিসিওডি,থায়ারয়েড ইত্যাদি ক্ষেত্রে পেট ফোলা ভাব হতে পারে।

পানি বেশী খেলে:খাবারের পর পর পানি বেশী পরিমানে খেলে পেটফোলা ভাব হতে পারেএছাড়াও আপনার খাবারের সময় নির্দিষ্ট রাখতে হবে, প্রতিদিন যথেষ্ট পানি পান করতে হবে, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে এবং মানসিক চাপ কমাতে হবে। এই উপায়গুলো আপনার পেটের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করবে। 

পেট ফুলা দূর করার ঘরোয়া উপায় :

পেট ফুলে গেলে আপনি কিছু ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করতে পারেন, যেমন:

  • আদা বা আদা রস খান। এটি পেটের গ্যাস ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
  • পটল বা পটল রস খান। এটি পেটের গ্যাস ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
  • কাঁচা পেঁপে বা কাঁচা পেঁপের রস খান। এটি পেটের গ্যাস ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
  • মৌরি চা পান করা। এটি পেটের গ্যাস ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
  • অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার বা লেবুর রস পান করা। এটি পেটের গ্যাস ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়াও, আপনি কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারেন, যেমন:ধীরে ধীরে খাওয়া এবং খাওয়ার সময় বেশি কথা বলা এড়ানো।খাবারের সঙ্গে সঙ্গে বেশি জল পান না করা।তেলে ভাজা, মসলাদার, বা গ্যাস তৈরি করা খাবার এড়ানো।ডাল, বীন, কাবাচ, কাঁচা কলা, কাঁচা কমলা, কাঁচা আম, কাঁচা আনারস, কাঁচা টমেটো, কাঁচা কাকরোল, কাঁচা লাউ, কাঁচা কুমড়া,
কাঁচা করলা, কাঁচা মূলা, কাঁচা গাজর, কাঁচা পালং শাক, কাঁচা পুঁই শাক, কাঁচা লাল শাক, কাঁচা মেথি শাক, কাঁচা ধনে পাতা, কাঁচা পুদিনা পাতা, কাঁচা তুলসি পাতা, কাঁচা আজওয়াইন পাতা, কাঁচা হি পাতা ইত্যাদি খাবার এড়ানো।
ধূমপান করা বন্ধ করা।
যদি আপনার পেট ফোলাভাব বারবার হয় বা অন্যান্য লক্ষণ যেমন ডায়রিয়া, বমি, জ্বর, রক্তস্রাব, ওজন হ্রাস ইত্যাদি দেখা দেয়, তবে আপনাকে একজন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। এটি কোনো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।

পেট ফুলাভাব রোধে  কোন সবজি খাওয়া উচিৎ:

পেট ফোলাভাব হলে কিছু সবজি খেতে পারেন, যেমন:
  • আদা: এটি পেটের গ্যাস ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। আপনি আদা কুচি করে পানির সাথে সেদ্ধ করে পান করতে পারেন বা আদা রস পান করতে পারেন।
  • পটল: এটি পেটের গ্যাস ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। আপনি পটল রান্না করে খেতে পারেন বা পটল রস পান করতে পারেন।
  • কাঁচা পেঁপে: এটি পেটের গ্যাস ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। আপনি কাঁচা পেঁপে কুচি করে নিম্বুরস, লবণ ও জিরা দিয়ে চাটনি বানিয়ে খেতে পারেন বা কাঁচা পেঁপের রস পান করতে পারেন।এছাড়াও, আপনি পেট ফোলাভাব কমাতে কিছু অন্যান্য সবজি খেতে পারেন, যেমন কাঁচা কলা, কাঁচা কমলা, কাঁচা আম,
কাঁচা আনারস, কাঁচা টমেটো, কাঁচা কাকরোল, কাঁচা লাউ, কাঁচা কুমড়া, কাঁচা করলা, কাঁচা মূলা, কাঁচা গাজর, কাঁচা পালং শাক, কাঁচা পুঁই শাক, কাঁচা লাল শাক, কাঁচা মেথি শাক, কাঁচা ধনে পাতা, কাঁচা পুদিনা পাতা, কাঁচা তুলসি পাতা, কাঁচা আজওয়াইন পাতা, কাঁচা হি পাতা ইত্যাদি।
তবে, যদি আপনার পেট ফোলাভাব বারবার হয় বা অন্যান্য লক্ষণ যেমন ডায়রিয়া, বমি, জ্বর, রক্তস্রাব, ওজন হ্রাস ইত্যাদি দেখা দেয়, তবে আপনাকে একজন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। এটি কোনো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।পেট ফোলাভাব হলে অনেকেই অস্বস্তি অনুভব করেন।
এটি ঘটে যখন পরিপাকতন্ত্রে অতিরিক্ত গ্যাস বা তরল জমে থাকে। এটি কিছু খাবার, হরমোন, সংক্রমণ, বা অন্যান্য অবস্থার কারণে হতে পারে ।

পেট ফুলাভাব দূর করার ঔষুধ: 

পেট ফোলাভাব দূর করার জন্য আপনি কিছু ঔষুধ গ্রহণ করতে পারেন। যেমন:

অ্যান্টাসিড: এই ঔষুধগুলি পেটের অম্লতা কমাতে এবং গ্যাস বের করতে সাহায্য করে। এই ঔষুধগুলি বাজারে বিভিন্ন নামে পাওয়া যায়, যেমন এলকা-সেলটজার, জেলুসিল, মায়ালক্স, রোলেইডস ইত্যাদি।

সিমেথিকোন: এই ঔষুধটি গ্যাসের বুদ্বুদগুলি ভাঙ্গে এবং গ্যাস নির্গত করে। এই ঔষুধটি বাজারে গ্যাস-এক্স, মাইলোকন, ফ্ল্যাটুলেক্স ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়।

প্রোবাইওটিক: এই ঔষুধগুলি পেটের ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলির সংখ্যা বাড়াতে এবং পেটের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।

এই ঔষুধগুলি বাজারে কালচারেল, ফ্লোরাস্টোর, ভাইবেরটি ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়।এছাড়াও, আপনি কিছু ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করতে পারেন, যেমন পরিমাণ মতো পানি পান করা, তেলে ভাজা, মসলাদার, বা গ্যাস তৈরি করা খাবার এড়ানো, 
খাবারের সঙ্গে সঙ্গে বেশি জল পান না করা, বেশি পরিমাণে, অসময়ে, বা বারবার খাওয়া না করা, খাবার খেতে গিয়ে বেশি কথা বলা না করা, কিছু মশলা বা পাতা যেমন আদা, হলুদ, জিরা, মৌরি, ধনে, তুলসি, আজওয়াইন, হি ইত্যাদি পেটের গ্যাস ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।

হঠাৎ পেট ফোলার কারণ:

হঠাৎ পেট ফোলার কারণ অনেক হতে পারে। কিছু সাধারণ কারণ হলো খাবারের অনিয়ম, গ্যাসের অতিরিক্ত সৃষ্টি, পেটের সংক্রমণ, পেটের ভেতর পানি জমা, অন্ত্রনালির আটক, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি।
পেট ফোলা যদি সাধারণ গ্যাসের কারণে হয়, তাহলে এটি সাধারণত কোনো গুরুতর সমস্যা নয়। তবে যদি পেট ফোলার সাথে কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে ব্যথা, বমি, জ্বর, ডায়রিয়া বা অন্য কোনো লক্ষণ থাকে, তাহলে এটি কোনো গুরুতর রোগের লক্ষণ হতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

পেটফুলা প্রতিরোধ করার টিপস: 

পেট ফোলা প্রতিরোধ করার জন্য কিছু টিপস হলো নিম্নরূপঃ
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
  • তৈলাক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন।
  • কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি খাবেন না।
  • খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশি পানি পান করবেন না।
  • খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খাবেন।
  • ধূমপান করবেন না।
  • প্রোবায়োটিক যুক্ত খাবার যেমন দই, কিমচি, সাউরক্রাউট ইত্যাদি খাবেন।
  • পেটের সমস্যা হলে পেপমিন্ট, জিরা, আদা, হলুদ, সৌফ ইত্যাদি ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করুন।
আশা করি আপনার পেট ফোলা সমস্যা শীঘ্রই দূর হবে।

পেটফুলা ভাব ও পায়খানা কোনো রোগের লক্ষণ: 

পেট ফোলা ভাব ও পায়খানা কোনো রোগের লক্ষণ হতে পারে, যেমনঃ

পেটের সংক্রমণ: রোটাভাইরাস বা নোরোভাইরাসের মতো সংক্রমণগুলি পেট ফোলা, ডায়রিয়া, বমি, জ্বর এবং পেটে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।

তরল ধারণ: উচ্চ লবণযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে অতিরিক্ত তরল ধারণ হতে পারে, যা পেট ফোলা এবং পা ফুলে যাওয়ার কারণ হতে পারে।

খাদ্য অসহিষ্ণুতা: কিছু মানুষ নির্দিষ্ট ধরণের কার্বোহাইড্রেট যেমন ল্যাকটোজ, ফ্রুক্টোজ, চিনির অ্যালকোহল বা অলিগোস্যাকারাইড সঠিকভাবে হজম করতে পারে না, যা পেটে গ্যাস এবং ডায়রিয়া সৃষ্টি করে।

পাকাশয়ের প্রদাহপূর্ণ রোগ: ক্রোনস ডিজিজ, অটোইমিউন ডিজিজ, সারকোইডোসিস, অ্যালার্জি বা দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের কারণে পেটের আস্তরণে জ্বালাতন হতে পারে, যা দীর্ঘস্থায়ী গ্যাস্ট্রাইটিস এবং পেট ফোলা সৃষ্টি করে।

গাল্স্তন: গালব্ল্যাডারে পাথর জমা হলে পেটের উপরিভাগে ফোলা, ব্যথা, বমি এবং জন্ডিস হতেপারে

বদহজম: খাবার হজম হওয়ার সময় পেটের আস্তরণে এসিড উৎপাদন হয়, যা পেট ফোলা, পেটে ব্যথা, গ্যাস, ডাক্তার বা হার্টবার্ন সৃষ্টি করে।

অন্ত্রের ব্যাধি: কোলাইটিস, ডায়ভার্টিকুলাইটিস, ইরিটেবল বাউয়েল সিন্ড্রোম বা অন্ত্রের ক্যান্সারের মতো অন্ত্রের ব্যাধি পেট ফোলা, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তক্ষরণ বা ওজন কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে।

পেটের আলসার: পেটের আস্তরণে ঘাও হলে পেটের আলসার হয়, যা পেট ফোলা, পেটে ব্যথা, বমি, ক্ষুধামান্দ্য বা রক্তক্ষরণের কারণ হতে পারে।
গর্ভাবস্থা: গর্ভাবস্থার সময় হরমোনের পরিবর্তন, গর্ভের বৃদ্ধি এবং পেটের আস্তরণের চাপের কারণে পেট ফোলা, গ্যাস, ডাক্তার বা হার্টবার্ন হতে পারে।

মাসিকপূর্ব অবস্থা: মাসিকের আগে হরমোনের পরিবর্তন, পানি ধারণ এবং পেটের আস্তরণের চাপের কারণে পেট ফোলা, গ্যাস, ডাক্তার বা হার্টবার্ন হতে পারে।রিফ্লাক্স: পেটের আস্তরণ থেকে এসিড উপরের দিকে উঠে গেলে রিফ্লাক্স হয়, যা পেট ফোলা, ডাক্তার, হার্টবার্ন, বমি বা গলায় ব্যথা সৃষ্টি করে।

পেট ফুলা রোধে আদা ভূমিকা:

আদা একটি প্রাকৃতিক উপায় যা পেট ফোলা ও বদহজম থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে। আদা পেটের আস্তরণে এসিড উৎপাদন কমাতে এবং গ্যাস ও ডাক্তার প্রতিরোধ করতে পারে। আদা পেটের সংক্রমণ ও ব্যাকটেরিয়া নির্মূল করতে পারে। আদা পেটের প্রদাহ ও ব্যথা কমাতে এবং পাকাশয়ের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে।

গর্বাবস্থায় পেটফুলা রোধে করণীয়:

গর্বাবস্তায় পেটফোলা ভাব হলে এটি স্বাভাবিক হতে পারে, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এটি গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। আপনার পেটের ব্যথা যদি নিয়মিত, তীব্র, অস্থির বা রক্তপাতের সাথে যুক্ত হয়, তবে আপনাকে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।পেটফোলা ভাব হলে আপনি নিম্নলিখিত কিছু উপায় অনুসরণ করতে পারেন:

  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। পানি খাবারকে হজম করতে সাহায্য করে।হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করুন বা পেটে গরম জলের বোতল বা ব্যাগ রাখুন। এতে করে পেটের পেশী শিথিল হবে।
  • খাবারের পর এক টুকরা আদা চিবিয়ে খেলে পেটের গ্যাসের সমস্যা কমতে পারে। আদা হজমের জন্য খুবই ভালো একটি মসলা।
  • টকদই অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে এবং হজমক্রিয়া উন্নত করে। ফলে পেট ফাঁপা ও বদহজমের সমস্যা কমে।
  • কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেলে পেট ফাঁপার সমস্যার সমাধান হবে। হলুদে থাকে কিছু পদার্থ যা গ্যাসের সমস্যা কমাতে পারে।পেটের ব্যথা যদি গর্ভাবস্থার কোনো জটিলতার কারণে হয়, তবে এই উপায়গুলি কাজ করবে না।

এক্ষেত্রে আপনাকে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। আপনি আরও জানতে পারেন গর্ভাবস্থায় পেটে ব্যথা - কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসা নামক ওয়েবপেজে।আশা করি আপনি শীঘ্রই সুস্থ হবেন।

শেষ কথা: 

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে পেট ফোলা সমস্যা সম্পর্কিত আপনারা আপনাদের যাবতীয় তথ্যগুলো পেয়ে গেছেন ।আপনাদের কাছে যদি আমাদের এই আর্টিকেল টি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url