কাঁচা কলার খাওয়া উপকারিতা এবং কাঁচাকলা পুষ্টিগুন সম্পর্কে জেনে নিন।



প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম, আশা করছি আপনারা ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদেরকে নানা পুষ্টিগুনে ভরপুর কাঁচা কলার উপকারিতা এবং কাঁচাকলা পুষ্টিগুন সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনারা যদি আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমাদের এই আর্টিকেলের সঙ্গে থাকেন। তাহলে আরো জানতে পারবেন।
কাঁচা কলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুন সম্পর্কে জেনে নিন।

কাঁচা কলা খেলে কি অপকারিতা হতে পারে, গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিত,  কাঁচা কলা খেলে যেমন উপকারিতা আছে তেমনি এর খোসা তে রয়েছে উপকারিতা,আমরা এখানে আরো আলোচনা করব কাঁচা কলা খাওয়ার নিয়ম, চুলের যত্নে কলার খোসার ব্যবহার, এবং ত্বকের যত্নে কলার খোসার ব্যবহার   

ভূমিকা :

কাঁচা হল আমাদের কাছে খুবই পরিচিত এবং সেই সঙ্গে সহজলভ্য একটি ফল। কলা যেমন সুস্বাদু তেমনি এটি পুষ্টিগুনে ও ভরপুর। তবে কলার একটি আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে।আর তা হলো ফল হিসেবে যেমন এর কদর আছে,তেমনি সবজি হিসেবেও এর কদর কিন্তু কাম নয়।মূলত আমরা পাকা কলা ফল হিসেবে খেয়ে থাকে। 
আর কাঁচা কলা আমাদের কাছে সবজি হিসেবে বেশি পরিচিত। যদি আপনি বিভিন্ন রোগ হাতে মুক্তি পেতে চান তবে রোগের পথ্য হিসাবে পরিচিত এই সবজি টি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।

কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা :

কাঁচা কলা একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। এটি আঁশ, ভিটামিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফলেট, ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ। কাঁচা কলা খাওয়ার  উপকারিতা নিম্নরূপ:
  • কাঁচা কলা পাচনশক্তি বাড়াতে এবং পেটের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এটি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বাড়ায়।
  • কাঁচা কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। এটি পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম দ্বারা রক্তের নাত্রিয় মাত্রা কমাতে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়তা করে।
  • কাঁচা কলা চোখের স্বাস্থ্য উন্নত করে। এটি ভিটামিন A এবং লিউটিন দ্বারা চোখের শিল্প সংরক্ষণ করে এবং ক্যাটারাক্ট, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং অন্ধকারে দেখার ক্ষমতা বাড়ায়।
  • কাঁচা কলা ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়ক। এটি ফাইবার এবং রেজিসট্যান্ট স্টার্চ দ্বারা রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায়।
  • কাঁচা কলা ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। এটি কম ক্যালরি এবং উচ্চ ফাইবার দ্বারা পেট ভরে রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার ঝুঁকি কমায়।
  • কাঁচা কলা ডায়রিয়া ও আমাশয় রোগপ্রতিরোধ করতে কাজ করে। কাঁচা কলার মধ্যে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আমাদের পাকস্থলী তে হজমক্রিয়া বাড়ানোয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • কাঁচা কলা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। কাঁচা কলায় থাকে পেকটিন নামক উপাদান, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন বি৬ গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে টাইপ-টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
  • কাঁচা কলা মানসিক প্রশান্তি দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। গবেষণায় পাওয়া গেছে কাঁচ কলায় থাকে ট্রিপটোফ্যান নামক প্রোটীন, যা আমাদের শরীরে গিয়ে সেরোটোনিনে রূপান্তরিত হয়। আর সেরোটোনিন আপনার মনকে রিলাক্স করে, আপনার মন ভাল করে তোলে, আপনাকে মানসিকভাবে প্রশান্তি দিতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
  • কাঁচা কলা রক্ত শূন্যতা পূরণ করতে কাজ করে। কাঁচা কলার মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম এবং আয়রন আমাদের শরীরে রক্ত শূন্যতা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই এনিমিয়া রোগী যারা আছেন তাদেরকে ডাক্তারেরা কাঁচ কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
  • কোন পোকামাকড় কামড়ালে যদি জ্বালাপোড়া বা চুলকানী হয় ,তবে সে স্থানে যদি কলা খোসা লাগানো হয় তবে দ্রুত এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 
  • এছাড়া কাঁচা কলার খোসা চামড়ার জুতা পরিস্কার ,কাপড়,রুপার গহনা ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা হয়।এছাড়া কাঁচা কলার খোস দিয়ে গহনা পরিস্কার করলে গহনা গহনা টেকসই ওমসৃণতা বাড়ে।
  • কাঁচা কলার খোসা দাদ এবং খোসপাঁচাড়ার ঔষুধ হিসাবে কাজ করে। শরিরের যদি কোন অংশে দাদ দেখা দেয় তবে আক্রান্ত স্থানে যদি কাঁচা কলার খোসা লাগানো যায় তবে চুলকানির সাথে সাথে দাদ ও দ্রুত ভালো হয়ে যাবে। 
  • চোখের ছানি পড়া সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পাড়ে কলার খোসা।চুলকানি এবং চোখের অবসাদ দূর করতে চোখের ওপর কলার খোসা মেখে নিলে তা ভালো কাজ দেয়।কারণ এতে রয়েছে এন্টিঅক্সিজেন লুটিন যা অতি বেগুনি রশ্মির ছোবল থেকে চোখ কে বাঁচায়। 

কাঁচা কলার পুষ্টিগুণ :

কাঁচা কলা একটি পুষ্টিকর ফল, যা শরীরের বিভিন্ন উপকারে সাহায্য করে। কাঁচা কলার কিছু পুষ্টিগুণ হলো:
  • কাঁচা কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে, যা রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • কাঁচা কলায় রয়েছে ফাইবার ও পটাসিয়াম রয়েছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে।কাঁচা কলায় রয়েছে ভিটামিন C, B6 এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা প্রতিরোধশক্তি বাড়ায় এবং শরীরের ক্ষতি প্রতিকার করে।
  • কাঁচা কলা হাড় ও দাঁতের জন্য ভালো, কারণ এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে।কাঁচা কলা মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে, কারণ এতে রয়েছে ট্রাইপ্টোফান রয়েছে, যা সিরোটোনিন নামক একটি মুড উন্নয়নকারী হরমোন তৈরি করে।

কাঁচা কলার অপকারিতা: 

কাঁচা কলার অপকারিতা হিসেবে নিম্নলিখিত কিছু উল্লেখ করা যেতে পারে:
  • কাঁচা কলা আঁশযুক্ত সবজি হওয়ায় এটি খুব সহজে হজম হয়। তবে অধিক পরিমাণে কাঁচা কলা খেলে অধিক পরিমাণ ফাইবার আমাদের শরীরে জমা হয়, যা পাচনতন্ত্র দুর্বল করে দেয়। ফলে পেটের ব্যথা, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, পেটে কৃমি ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
  • কাঁচা কলা খেলে শরীরের ক্যালসিয়াম স্তর কমে যায়, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়াও কাঁচা কলা খেলে শরীরের পটাশিয়াম স্তর বাড়ে, যা রক্তচাপ বাড়ানোর কারণ হতে পারে।
  • কাঁচা কলা খেলে শরীরের শর্করা স্তর বাড়ে, যা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। 
  • এছাড়াও কাঁচা কলা খেলে শরীরের আইডিন স্তর কমে, যা থাইরয়েডের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  • কাঁচা কলা খেলে শরীরের অ্যালার্জির সমস্যা বেড়ে যায়, যা শ্বাসকষ্ট, চোখের লালানি, ত্বকের উচ্ছ্বাস ইত্যাদি লক্ষণ দেখায়। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তারা কাঁচা কলা খেলে তাদের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।

কাঁচা কলার খোসার উপকারিতা:

কাঁচা কলার খোসার উপকারিতা নিম্নরূপঃ
  • কাঁচা কলার খোসা দাঁতের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে মুখ ধুয়ে কলার খোসার ভিতরের অংশ দাঁতে ঘষলে দাঁত সাদা হয়ে যায়।
  • কাঁচা কলার খোসা ব্রণ, অ্যাকজিমা, সোরিয়াসিস, অর্শ ও পায়ের গোড়ালি ফাটা ঠিক করতে সাহায্য করে। কাঁচা কলার খোসা কুচিয়ে ভাপিয়ে নিলে এই সমস্যাগুলোর উপর লাগালে উপকার হয়।
  • কাঁচা কলার খোসা মশার হাত থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। মশার হাত থেকে ত্বকের খোলা স্থানে কলার খোসা ব্যবহার করলে ক্ষত সেরে যায়।

কাঁচা কলা খাওয়ার নিয়ম:

কাঁচা কলা খাওয়ার নিয়ম নিম্নরূপঃকাঁচা কলা খাওয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।
  • কাঁচা কলা খাওয়ার সময় কিছু লবণ বা কাঁচা মরিচ দিয়ে স্বাদ বাড়াতে পারেন।
  • কাঁচা কলা সকালে খালি পেটে খাওয়া উচিত। এতে বমি বমিভাব এবং সকালের অসুস্থতা দূর হবে।
  • কাঁচা কলা খাওয়ার পরিমাণ নিয়ে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। কারণ, কাঁচা কলা খাওয়া কিছু অপকারিতা নিয়ে আসতে পারে, যেমন ক্যালসিয়াম অপচয়, গ্যাস, ব্লোটিং ইত্যাদি।
  • কাঁচা কলা খাওয়ার সময় কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন, যেমন আচার, করলা, মিষ্টি ইত্যাদি। এই খাবারগুলো কাঁচা কলার সাথে বিক্রিয়া করে শরীরে বিষক্রিয়া বা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়াতে পারে।
  • কাঁচা কলা খাওয়ার পরে অনেক পানি পান করুন।। এতে হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।

গর্বাবস্থায় কাচা কলা খাওয়া উপকারিতা: 

গর্বাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়া আপনার ও আপনার শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে। কাঁচা কলায় থাকে ভিটামিন বি৬, ফোলেট, পটাসিয়াম, ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টি যা গর্ভাবস্থায় প্রয়োজন। কাঁচা কলা খাওয়া আপনাকে নিম্নলিখিত উপকার দিতে পারে:
  • বমি বমিভাব এবং সকালের অসুস্থতা থেকে মুক্তি দেয়। 
  • ভিটামিন বি৬ এই সমস্যা নিরাময় করতে সাহায্য করে।
  • এডেমা কমাতে সাহায্য করে। 
  • কাঁচা কলা খাওয়া রক্তে পটাসিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যা নোনতা কমাতে এবং জল পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে।দ্রুত এনার্জি বুস্ট দেয়। 
  • কাঁচা কলায় থাকে শর্করা, যা শরীর দ্বারা দ্রুত বিপাক হয়ে শক্তি সরবরাহ করে। গর্ভাবস্থায় শক্তির স্তর সঠিক থাকা গুরুত্বপূর্ণ।শিশুর মধ্যে জন্মগত ত্রুটির সম্ভাবনা হ্রাস করে। 
  • কাঁচা কলায় থাকে ফোলেট, যা শিশুর মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়। ফোলেটের ঘাটতি শিশুর জন্মগত ত্রুটি দেখা দেয় বলে জানা যায়।
এছাড়াও, কাঁচা কলা খাওয়া হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তবে, কাঁচা কলা খাওয়ার পরিমাণ এবং সময় নিয়ে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। কারণ, কাঁচা কলা খাওয়া কিছু অপকারিতা নিয়ে আসতে পারে, যেমন ক্যালসিয়াম অপচয়, গ্যাস, ব্লোটিং ইত্যাদি।

চুলের যত্নে কলার খোসা ব্যবহার :

চুলের যত্নে কলার খোসা ব্যবহার করতে চান কি? যদি বলেন হ্যাঁ, তাহলে আমি আপনাকে কিছু টিপস দিতে পারি। কলার খোসা চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে অনেক কার্যকরী হতে পারে। কলার খোসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার চুলকে নরম এবং উজ্জ্বল করতে সহায়তা করবে। এ ছাড়া এটি চুলকে শক্তিশালী এবং স্বাস্থ্যকর রাখতেও সাহায্য করে।
কলার খোসা ব্যবহার করার জন্য আপনি কিছু সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-কলার খোসা শুকিয়ে নিন এবং একটি ব্লেন্ডারে বা মিক্সারে গুঁড়া করে নিন। এটি একটি কাঠার মতো রূপ ধারণ করবে।এই গুঁড়া কলার খোসা আপনার পছন্দের শ্যাম্পু বা কন্ডিশনারের সাথে মিশিয়ে নিন। আপনি চাইলে কিছু নিম্বুর রস বা এলোভেরা জেল ও যোগ করতে পারেন।
এই মিশ্রণটি আপনার চুলে ভালো করে ম্যাসেজ করুন এবং ১৫-২০ মিনিট পর্যন্ত রাখুন।এরপর চুল পরিষ্কার করে নিন ঠান্ডা পানিতে। এই পদ্ধতিটি সপ্তাহে একবার বা দুইবার অনুসরণ করুন।

ত্বকের যত্নে কলার খোসা ব্যবহার:  

আপনি জানতে চান কি কলার খোসা ত্বকের যত্নে কিভাবে কাজে লাগাতে পারেন? কলার খোসা ত্বকের উজ্জ্বলতা, বলিরেখা, ব্রণ, আঁচিল, চুলকানি ইত্যাদি সমস্যার সমাধানে সাহায্য করতে পারে। আমি আপনাকে কিছু টিপস দিতে পারি যা আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং বলিরেখা কমাতে কলার খোসার ভিতরের সাদা অংশটা মুখে মিনিটপাঁচেক ঘষে নিন। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং ত্বককে নরম ও সুন্দর করে।চোখের ফোলাভাব কমাতে কলার খোসা চোখের উপর মিনিটদশেক রাখুন। এটি চোখের চারপাশের ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং চোখের ক্লান্তি দূর করে।
  • ব্রণ দাগ কমাতে কলার খোসা ব্রণের উপর মিনিটপাঁচেক ঘষে নিন। এটি ব্রণের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নষ্ট করে এবং ত্বকের রং সমান করে।
  • আঁচিল দূর করতে কলার খোসা আঁচিলের উপর মিনিটপাঁচেক ঘষে নিন এবং একটি ব্যান্ডেজের সাহায্যে এক টুকরো খোসা আঁচিলের উপর লাগিয়ে ফেলুন। সারা রাত এই ভাবে রেখে দিয়ে পরের দিন সকালে ব্যান্ডেজটা খুলে ফেলুন। কয়েক মাস এই ভাবে করলে আঁচিল দূর হবে।
  • চুলকানি কমাতে কলার খোসা চুলকানি হয়ে যাওয়া জায়গায় মিনিট পাঁচেক ঘষে নিন।ত্বকের যত্নে কলার খোসা ব্যবহার করলে  চুলকানির কারণ হওয়া ব্যাকটেরিয়া ও ফাংগাস নষ্ট করে এবং ত্বকের শীতলতা বজায় রাখে। 

শেষ কথা :

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুন সহ আরো অনেক বিষয় সম্পর্কে ইতিমধ্যে জেনে গেছেন। আপনাদের যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লেগে থাকে এবং আরো কিছু বিষয় সম্পর্কে জানা থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন। এবং আপনাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ ।








এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url