চুল পড়ার কারণ ও চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

প্রিয় পাঠক আসসালামুআলাইকুম আশা করছি আপনারা ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদেরকে মাথার চুল পড়ার কারণ এবং চুল পড়া বন্ধ করার উপায় এই বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব । আপনারা যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলটি টি মনোযোগ সহকারে পড়েন।
মাথার চুল পড়ার কারণ ও চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

তাহলে আরো জানতে পারবেন, কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে যায়, কোন ওষুধ ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হয, চুল পড়া বন্ধ করতে কোন তেলের ব্যবহার করতে হয় ইত্যাদি বিষয়ে সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

ভূমিকা:

চুল নারী-পুরুষ সবারই সৌন্দর্যের প্রতীক।ঝলমলে একরাশ ঘন চুল সবারই কাম্য। তবে চুলের বিভিন্ন সমস্যা চুলে স্বাভাবিক সৌন্দর্য কে নষ্ট করে দেয়। চুলের সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং সবচেয়ে বিরক্ত করা হচ্ছে চুল পড়ে যাওয়া। নারী-পুরুষ সবাইকে প্রতিনিয়ত এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। চুল পড়া এবং চুল পড়ার প্রতিরোধ এই সমস্যার ভুক্তভোগী হতে হয় প্রায় সকলকেই।
চুল পাড়া রোধ করার জন্য বাজার থেকে কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকেন। এই প্রোডাক্ট গুলো ব্যবহারে সীমিত সময়ের জন্য উপকৃত হলেও পরবর্তীতে চুলের বারোটা বেজে যায়। তৈরি হয় নানা রকম সমস্যা। 
তাই চুল পড়ার রোধে যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ঘরোয়া ভাবে চুলের যত নেয়া উচিত। যুগ যুগ ধরে মানুষ চুলের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান কে ব্যবহার করে সুফল পেয়ে এসেছে।প্রাকৃতিক উপাদান শুধু চুল পড়া বন্ধ করেনা চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। চুলকে করে তুলে আরে ঝলমলে আরো প্রাণবন্ত।

চুল পড়ার কারণ:

চুল মানুষের সৌন্দর্যের একটা অংশ। সুন্দর চুল মানুষকে আরো সুন্দর করে তোলে এটাই স্বাভাবিক।হঠাৎ যখন দেখা যায়,আপনার মাথার চুলগুলো অস্বাভাবিকভাবে পড়ে যাচ্ছে তখন আমাদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয়। চুল পড়ার কারণ কি এটা জানার জন্য আমরা সবাই খুব আগ্রহী থাকি।কেননা এর কারণ জানতে পারলে এর সমাধান বের করার সহজ হয়।
চুল পড়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে যেমন অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা , ভিটামিনের অভাব, বংশগত কারণে।কিন্তু কারণ বিশেষে বিভিন্ন জনের চুল পড়ার কারণ বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তাই নিম্নে আমরা সবগুলো কারণই বিস্তারিত আলোচনা করব।
  • স্ট্রেস এবং মানসিক চাপে অনেক সময় মাথার চুল ঝরে পড়ে।অতিরিক্ত টেনশন ও মাথার চুল পড়ার ক্ষেত্রে অনেকংশ দায়ী।
  • সময় স্বল্পতার কারণে আমরা অনেক সময় চুল আঁচড়ানোর কথা ভুলে যাই। যা আমাদের অন্তত প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ মিনিট চুল আঁচরানো দরকার। চুল আঁচরালে চুলের গোড়ার রক্ত চলাচল বাড়ে।এতে করে চুলের স্বাস্থ্যও ঠিক থাকে।
  • আমরা চুলের স্টাইল করতে গিয়ে, চুল অতিরিক্ত ড্রাই করে ফেলি, চুলে হিটস্ট্রেইটনার, অতিরিক্ত হেয়ার লোশন ,এবং চুলের জেল ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকি ফলে চুল পড়ে যায়।
  • বংশগত বা জেনেটিক কারণে অনেক সময় আমাদের মাথার চুল পড়ে থাকে।ছেলেদের ক্ষেত্রে এ-ই সমস্যা বেশী দেখা যায়। 
  • হরমোনাল ইমব্যালেন্স চুলপড়ার একটি অন্যতম কারণ। যারা বিভিন্ন ধরনের হরমোনাল সমস্যায় ভুগেন তাদের ক্ষেত্রে চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে।
  • যারা অতিরিক্ত মাত্রায় কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন তাদের চুল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।যার ফলে মাত্রতিরিক্ত চুল পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
  • অস্বাস্থ্যকর খাবার, ধূমপান করা , ওজন কমানোর জন্য অতিরিক্ত পরিমাণের ডায়েট করাও চুল পড়ার একটি অন্যতম কারণ।
  • আমরা অনেক সময় ভেজা চুল আঁচড়াই।আমরা যখন ভেজা চুল আঁচড়াই তখন চুলের গোড়া থাকে নরম ফলে এ অবস্থায় চুল আঁচড়ালে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • চুল পড়ার আরেকটা অন্যতম কারণ চুলের খুশকি যাদের এলার্জি এবং চর্মরোগ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে চুল পড়ার সম্ভবনা আরো বেশি হয়। 
  • দেহের প্রয়োজনে পুষ্টির অভাব থাকলে মাথার চুলের গোড়া অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে এবং চুল পড়ে যায়।ক্যান্সারের ঔষুধ কেমোথেরাপ চিকিৎসায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে চুল পড়তে পারে ।
  • অ্যানিমিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিস, ম্যালেরিয়া, ডায়াবেটিকস, ইত্যাদি রোগে চুল পড়ে যেতে পারে। অনেক সময় অসুখ ভালো হওয়ার পরও চুল আগের অবস্থা ফিরে আসে না। 
  • কোন কোন ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে চুল পড়ে যেতে পারে । যেমন জন্ম নিয়ন্ত্রণে বড়ি, প্রেসারের ওষুধ, রক্ত তরলীকরণের ঔষুধ ,হরমোন,মানসিক,অসুস্থতার ঔষুধ ইত্যাদি 
  • এন্ডডোজেনিক হরমোন নারীদের চুল পড়া এবং পুরুষদের টাক পড়ার সবচেয়ে বড় কারণ। এই হরমোন সাধারণত পুরুষদের শরীরে বেশি থাকে।যাদের শরীরে এই হরমোনের প্রভাব বেশি তাদের ক্ষেত্রে চুল পড়া সমস্যাও বেশি।নারীর মেনোপজের সময় ওপরে এন্ড্রোজেনিক হরমোনের মাত্রা আনুপাতিক হারে বেড়ে যায়। তখন হঠাৎ চুল পড়ার মাত্র বেড়ে যায়। 
  • অটোম ইমিউন রোগ ব্যাধি যেমন লুপাস,রিউমাটয়েড, আরর্থাইটিস,থাইরয়েড সমস্যা,সিকেল সেল অ্যানিমিয়া,আয়রন ডেফিসিয়েন্সি এনিমিয়া, ইত্যাদির রোগের কারণে চুল পড়ার মাত্র বেড়ে যায়।
  • মায়েদের ক্ষেত্রে সন্তান জন্মদানের আগে অর্থাৎ গর্ভকালীন সময়ে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয় । কারণ এই সময়ে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা অধিক পরিমাণে থাকে। কিন্তু সন্তান জন্মদানের পর এই হরমোনের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমতে থাকে ফলে চুলের বৃদ্ধি আগে তুলনায় অনেক কমে যায় এবং চুল পড়া বাড়তে থাকে।
  • মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন। বড় চুলের ক্ষেত্রে প্রথমে নিচের অংশ ক্রমান্বয়ে উপরের অংশ থেকে এবং পরে পুরো চুল আঁচড়ানোর চেষ্টা করুন। এতে করে চুল ভাঙ্গার হার কম থাকে।
  • যাদের চুল অনেক বেশি লম্বা হয়। তারা ঘুমানোর আগে চুল বেঁধে না ঘুমালে চুলের আগা ফেটে যায় ফলে চুল পড়া বৃদ্ধি পায়।

চুল পড়া বন্ধ করার উপায় :

প্রথম  একটা কথা বলেছিলাম, কোন সমস্যার যদি সঠিক কারণে নির্ণয় করা যায়। তাহলে তার সমাধানও খুব সহজেই পাওয়া যায়। যে কারণগুলোর জন্য চুল পড়ে যায়, সেই কারণগুলোকে সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারলে চুল পড়া অনেকখানি বন্ধ হয়ে যাবে। তারপরও কিছু প্রতিরোধের উপায় নিম্ন আলোচনা করা হলো:
চুল পড়া বা টাক হয়ে যাওয়াটা বংশগত হয়ে থাকলে কিছু করার নেই। তবে এটা যদি স্বাভাবিকের চাইতে বেশি পরিমাণে পড়ে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে হয়তো বা রক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। আবার ভিটামিনের পরিমাণ, আয়রন, থাইরয়েড, এসব পরীক্ষাও করা হয়।
নিয়মিত সময় নিয়ে চুল আঁচরাবেন।

  • শরীর স্বাস্থ্যকে সবসময় সতেজ রাখতে হবে। নিয়মিত আমাদের পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
  • শ্যাম্প সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে হবে। শ্যাম্পু ব্যবহারের আগে চুলে তেল মেখে নেয়া ভালো।
  • ভেজা চুল কখনো আঁচরাবেন না ।
  • যেসব খাদ্যে পর্যপ্ত পারি মানে ভিটামিন বি১২ ও ভিটামিন ডি থাকে সেগুলো খেতে হবে।
  • এন্ড্রোজেনিক হরমোন নিয়ন্ত্রণ এবং কমানোর চেষ্টা করতে হবে
  • কোন ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কিনা ডাক্তারের কাছ থেকে ভালো করে পরামর্শ নিতে হবে।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ডায়েট করার আগে একজন ডায়েটেশিয়ানের পরামর্শ নিতে হবে।
  • পেঁয়াজের রস চুলে মেখে ত্রিশ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে পারি। এত করে মাথার ত্বকের ছত্রাক দূর হবে।
  • মেহেদি পাতা বেটে মাথায় লাগানো যেতে পারে। এতে করে চুলের গোড়া শক্ত হবে। 
  • সব সময় অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও মানসিক চিন্তা করা যাবে না। 
  • মাদকাসক্তিতে আসক্ত হওয়া যাবে না, এখান থেকে দ্রুত বের হতে হবে।
  • চুল পরিষ্কার এবং খুশকি মুক্ত রাখতে হবে সবসময় । 
  • অতিরিক্ত রং করে, রিবন্ডিং করে হেয়ার স্টাইল করা যাবেনা। 
  • অতিরিক্ত সাবান এবং শ্যাম্পু চুলে ব্যবহার করা যাবে না। 
  • অ্যালোভেরা চুলের যত্ন বেশ কার্যকর। তাই অ্যলোভেরা জেল চুলে মেখে ১৫ -২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। 
  • মেহেদি বাটা,  পেঁয়াজের রস, নিমপাতা বাটা, লেবুর রস টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে মেখে ৩০-৪০ মিনিট পর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে।এতে করে চুলের খুশকি দূর হবে। চুলের আগা ফেটে গেলে তা ছেটে ফেলতে হবে। 

কোন ভিটামিন এর অভাবে চুল পড়ে যায় :

আপনারা অনেকেই জানতে চান চুল কেন পড়ে যায়, কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে, বা কোন হরমোনের কারণে চুল পড়ে । শুধু ভিটামিন না আরো কয়েকটি কারণেচুল পড়ে। 
  • ভিটামিন বি ১২
  • ভিটামিন ডি ৩
  • লৌহ ঘাটতি
  • রক্তশূন্যতা  
  • হরমোনের ভারসম্যহীনতা 
  • ইনসুলিন নিরোধক 
উপরোক্ত কারণগুলোর জন্য চুল ঝরে যেতে পারে। তবে আমরা যে সাধারণত যে ভুল কাজ টি করে থাকি সেটা হল চুল পড়া বন্ধে প্রথমে ভিটামিন ট্যাবলেট খায়  এটা ঠিক নয়। আমাদের প্রথমে আগে ভিটামিন জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত।বেশি বেশি করে শাকসবজি খান চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। 

চুল পড়া বন্ধের ঔষুধ :

চুল পড়া বন্ধের জন্য আমরা না জেনে না বুঝে ওষুধ খাই বা ব্যবহার করে থাকি এতে অনেক সময় বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ ব্যবহার করবেন না। আগের মাথার স্কিন পরীক্ষা করার পর ওষুধ ব্যবহার করা উচিত। তবে অনেক সময় বয়স বাড়ার সাথে সাথে চুল পড়ে যায় অথবা কেউবা টাক হয়ে যায়। এই সমস্যার জন্য ডাক্তাররা ওষুধ ব্যবহার করতে বলে তার নাম মিনোক্সিডিল।এই ওষুধটি আপনারা বাজারে ক্রিম,ফোম এবংস্প্রে আকারে বাজার পেয়ে যাবেন। আপনার যদি এটি ভালো করে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে চুল পড়া অনেক অংশে কমে যাবে। আর টাক থাকলে চুল গজাতে সাহায্য করবে। 

চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম :

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় চুলে ব্যবহার করে এমন কিছু তেলের নাম জেনে নেয়া যাক :

সরিষার তেল :সরিষার তেল প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাংলাদেশী প্রতিটি পরিবারে প্রধান উপাদান। সনিষার তেলে রয়েছে প্রয়োজনীয় ফাটি এসিড ,ভিটামিন, এবং খুনের সমৃদ্ধ, এটি মাথার ত্বকের পুষ্টি যোগায়, এবং চুলের ফলিকলগুলোকে শক্তিশালী করে, চুল পড়া উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে। 

নিম তেল: নিম তেলের একটি অতি সুপরিচিত অ্যান্টিসেপটিক যা শুধু চুলের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে না মাথার ত্বকের সংক্রমণ রোধ করে। যা চুল পড়ার রোধ করার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে। যাদের মাথার চুলে খুশকির প্রবণতা তাদের জন্য এটি বিশেষভাবে কার্যকর।

পিয়াজের তেল :পেঁয়াজের তেল পেঁয়াজের নির্যাস থেকে প্রাপ্ত এবং এটি সালফার যৌগগুলিতে সমৃদ্ধ যা চুলের দিক থেকে উৎসাহিত করে, এবং চুলের ফলিকল কে পুষ্ট করে, চুলকে শক্তিশালী করে এবং মাথার ত্বকের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। 

আরর্গান তেল :মরক্কোর আরগান গাছের কর্নেল থেকে নিষ্কাশিত,আরগান তেল পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাটি এসিড সমৃদ্ধ। এটি চুলের ফলিকল গুলোকে পুষ্ট করে। চুলের স্ট্যান্ডগুলিকে শক্তিশালী করে এবং চুল বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে। 

অলিভ অয়েল :অলিভ অয়েল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ, অলিভ অয়েল চুলকে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজ করে,মাথার ত্বকের প্রদাহ কামায়,এবং চুল ভাঙ্গা রোধ করতে সাহায্য করে। এটা চুলের উজ্জ্বলতা এবং কোমলতা যোগ করে। 

নারিকেল তেল :চুলের যত্নে বহু ব্যবহৃত তেলগুলোর মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় এবং সবচাইতে বেশি ব্যবহৃত তেল হচ্ছে নারকেল তেল। নারিকেল তেল লরিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ যা চুলের খাদে প্রবেশ করে প্রোটিনের ক্ষতি কমায় এবং চুলকে মজবুত করে। কন্ডিশন এটি গভীর চুলের কন্ডিশন প্রদান করে এবং চুলকে চকচকে করে।

বাদাম তেল :বাদাম তেলে রয়েছে ভিটামিন,খিনজ এবং ফ্যাটি এসিড, যা চুল এবং মাথার ত্বকের পুষ্টি যোগায়। এতে চুল ভাঙ্গা কমাতে সাহায্য করে , এবং চুলের ফলিকলগুলোকে শক্তিশালী করে চুলের আদ্রতা যোগায়। 

শেষ কথা :

আশা করছি আপনারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে চুল পড়ার কারণ এবং এর সমাধান। দুটি বিষয় সম্পর্কে জেনে গেছেন। যেহেতু চুল নারী পুরুষ উভয়ের ই সৌন্দর্যের প্রতীক চুল ,তাই আমাদের মাথার যে সকল চুল পড়ে গেছে এগুলো নিয়ে চিন্তা করে আর লাভ নেই। যেগুলো আছে সেগুলো কে নিয়ে চিন্তা করা উচিত। 
চুলের সঠিক যত্ন না নিলে বৃদ্ধ বয়সের আগে মাথার সমস্ত চুল পড়ে টাক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।আর যদি সঠিকভাবে চুলের যত্ন নেয়া হয় তবে  বৃদ্ধ বয়সেও মাথায় অনেক চুল থাকবে। আমাদের মাথার চুল পড়ার প্রধান সমস্যা যেহেতু মানসিক টেনশন সেহেতু আমাদেরকে সব সময় টেনশন মুক্ত থাকতে হবে।
আপনাদের যদি মাথার চুল বিষয়ে আরো কোন প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা থেকে থাকে এবং আমার আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে। তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ। আসসালামু আলাইকুম ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url