লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং লেবুর পুষ্টিগুন সম্পর্কে জেনে নিন ।

প্রিয় পাঠক, আসসালামু আলাইকুম আজ আমি আপনাদেরকে বহু গুণে ভরা লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং লেবুর পুষ্টিগুন সম্পর্কে আলোচনা করব। লেবু পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রূপচর্চা থেকে শুরু করে খাওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন কাজে লেবু ব্যবহার করা হয়। 
লেবুর উপকারিতা,অপকারিত ওপুষ্টিুগুন সম্পর্কে জেনে নিন ।

আপনারা যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলের সঙ্গে থাকেন তাহলে আপনারা আরো জানতে পারবেন,যে খাবারগুলো লেবুর সঙ্গে খেলে স্বাস্থ্য ক্ষতি হয়,এবং লেবু খেয়ে ওজন কমানোর উপায় ,এই বিষয়গুলি সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরী না করে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

ভূমিকা:

লেবুর পুষ্টি উপদানে ভরপুর একটি ফল, এটা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু আমরা লেবুর উপকারিতা সম্পর্কে কিছুই জানিনা। আজ আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি লেবু খাওয়ার উপকারিতা, অপকারিতা,লেবুর পুষ্টিউপদান সম্পর্কে।আসুন তাহলে এক নজরে দেখে নেয়া যাক লেবু খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা গুলো।

লেবু খাওয়ার উপকারিতা: 

লেবু খাওয়ার উপকারিতা নিম্নে আলোচনা করা হলো :

উচ্চ রক্তচাপ কমায় :লেবুতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি আর পটাশিয়াম এবং লেবু সাইট্রাস পরিবার ভুক্ত।এছাড়া এতে আরো কিছু প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে যেগুলো শরীরে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।লেবুতে বিদ্যমান পটাশিয়াম হৃদপিন্ডের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে

ওজন কমাতে সাহায্য করে : ওজন কমাতে লেবুর গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের সবারই জানা যে লেবুর রস আমাদের শরীরের ওজন কমাতে কতখানি কার্যকর। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কার্বোহাইডেট এবং শর্করা জাতীয় খাদ্য প্রচুর পরিমাণে খাই । যে পরিমাণ আমরা এ জাতীয় খাদ্য খাই তার তুলনায় আমাদের পরিশ্রম করতে হয় অনেক কম।
ফলে আমাদের শরীরে মেদ জমে যায় । তাই আমরা যদি প্রতিদিন সকালে লেবুর রস একটু কুসুম কুসুম গরম পানির সাথে মধু মিক্স করে খালি পেটে খেতে পারি তাহলে আমাদের পেটের চর্বি দূর হবে। এবং লেবুতে বিদ্যমান প্রোটিন এবং খাদ্যআঁশ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যার ফলে শরীরের ওজন কমতে থাকে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় :কোলেস্টরেলের মাত্রা কমাতে লেবু খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। লেবু শরীরের উপকারী কোলেস্টেরল মাত্র বাড়িয়ে দেয় আর ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

সুস্বাস্থ্য এবং সুন্দর ত্বকের জন্য লেবু:ভিটামিন সি ত্বকের কলোজেন সিস্টেম গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সূর্যের এক্সপোজার, দূষণ, বয়স এবং অন্যান্য কারণে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।বেশ কিছু গবেষণায় এটা প্রমাণিত যে প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন সি গ্রহণ করা এবং ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট ব্যবহারে এ ধরনের প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে :লেবুতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে আমাদের জ্বর সর্দির মত জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। ভিটামিন সি গ্রহণের ক্ষেত্রে সব সময় প্রাকৃতিক উপাদান গুলোকে প্রাধান্য দেয়া উচিত। একটি গবেষণায় দেখা গেছে প্রাকৃতিক উপাদান যতটুকু সহযোগিতা করে ভিটামিন সি পরিপূরক তা কোন ভাবেই করতে পারেনা।

তাই আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অবশ্যই আমাদের প্রতিদিন বেশি বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হবে। যেহেতু লেবু একটি ভিটামিন সি যুক্ত খাবার তাই আমাদের খাবারের নিয়মিত ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হবে। 

লেবু ত্বকের মান উন্নত করে : ত্বক কুঁচকে যাওয়া লেবুতে পাওয়া ভিটামিন সি দ্বারা বার্ধক্যজনিত শুষ্ক ত্বক এবং সূর্য এবং ক্ষতি কম করা যায় কিভাবে পানি ত্বকের উন্নতি করে বা বিতর্ক, তবে একটি বিষয় নিশ্চিত যে আপনার ত্বকের যদি আদ্রতা হারাতে থাকে তবে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাবে। 

শরীর থেকে ডিহাইড্রেশন দূর করে :লেবুর পানি ডিহাইড্রেশন দূর করতে সাহায্য করে। ডিভাইড্রেশনের ফলে আমাদের শরীরে অনেক সময় খারাপ, ক্লান্তি, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা কিংবা হিট স্টক পর্যন্ত হতে পারে। গরম আবহাওয়াতে ব্যায়াম করার সময় আলাদা পানি চাহিদা তৈরি হয়। প্রচন্ড গরমে এক গ্লাস পানিতে লেবুর চিপে খেলে আপনাকে ডিহাইড্রেশনের হাত থেকে বাঁচাবে।

গরম বা ঠান্ডা যে কোন পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। চাইলে লেবুর রস বরফের পানিতে জমিয়ে রাখতে পারেন। গ্লাস ভর্তি পানিতে এই বরফ ফেলে পান করে নিন। এর পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে ভুলবেন না। 

লেবু হজমে সহায়তা করে :কিছু লোক কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে প্রতিদিন সকালে ক্যাটার্থারিক হিসাবে লেবুর পানি পান করে। সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম পানির সাথে লেবু মিশিয়ে পান করুন তাহলে আপনার প্রচনতন্ত্রকে নড়াচড়া করতে সাহায্য করতে পারে । আয়ুর্বেদিক ওষুধ বলে যে টক লেবু আপনার অগ্নি উদ্দীপ্ত করতে সহায়তা করে। 

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে:বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে লেবুতে, যার শরীরকে বিভিন্ন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়তা করে। নিয়মিত খাদ্য তালিকায় লেবু রেখে ক্যান্সারের হাত থেকে নিজে রক্ষা পেতে পারি। 

দাঁতের হলুদভাব দূর করতে লেবু: লেবুর খোসা এবং লবণ দিয়ে দাঁত ঘোষলে দাঁতের উপর যে কালো ভাব টা হয় তা দূর হয়ে যায়। লেবুর খোসা এবং লবণ দিয়ে নিয়মিত দাঁত ঘষলে দাঁত আগের মতো সাদা চকচকে হয়ে যাবে। 

কিডনির পাথর দূর করেতে:কিডনিতে পাথরের মতো সমস্যাকে নিরাময় করাতে লেবু খুবই উপকারী একটা খাদ্যে উপাদান। কারণ লেবুতে রয়েছে সাইটিক নামে একটি উপাদান যা কিডনিতে যেকোনো রকমের পাথর বা স্টোন হওয়া কে প্রতিরোধ করতে সক্ষম। কিডনিতে যদি বড় পাথর হয়ে থাকে তাহলে এই পাথরকে ভেঙ্গে মূত্রের মধ্যমে বের করে দেয় এই সাইট্রেট। কিডনি স্টোনের মতন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিনিয়ত নিয়ম করে লেবু খান। 

কনুই হাঁটুর যত্নে :অনেক সময় দেখা যায় মানুষের কুনই এবং হাটু খসখসে হয়। মানব দেহের এই অংশ দুটোকে মসৃণ এবং সুন্দর রাখতে প্রয়োজন লেবুর রস। এক চা চামুচ লবণ , সামান্য পরিমাণে অলিভ অয়েল এবং কিছু লেবুর রস মিশিয়ে কুনই এবং হাঁটুতে লাগান দেখবেন খসখসে দূর করতে জাদুর মতন কাজ করবে। 

ব্রণ সারাতে :মুখে ব্রণ এবং মুখের ব্রণের দাগ দূর করতে লেবুর রস খুবই কার্যকরী । আপনারা জানেন তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের প্রকোপ খুব বেশি দেখা দেয়। লেবু কিংবা গাজরের রস অল্প একটু চিনির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে সহজেই এর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

চুলে তেল চিটচিটে ভাব দূর করে :আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজন  মাথায় তেল দিতে হয়। কিন্তু শ্যাম্পু করার পরও চুলে তেল চিটচিটে ভাব থেকে যায়। এই ক্ষেত্রে লেবুর রস বিস্ময়কর কাজ করে। কারণ লেবুর রস রয়েছে অ্যাসট্রিনজেন্ট রয়েছে, যা তেলতেলে অংশকে চুষে নাই। চুল হয়ে ঝরঝরে। 

খাদ্যকে সুস্বাদু করে :লেবুর বিশেষ স্বাদ এবং গন্ধ যে কোন খাবার কে করে তুলে আরো সুস্বাদ। তাই যখন কোন খাবারে স্বাদ না হয় যদি একটু লেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে দেয়া হয়। তাহলে খাবার ও সুস্বাদু হয় এবং হজম শক্তি ও বৃদ্ধি পায়। 

মুখের গন্ধ হ্রাস:আপনি কি কখনো রসুনের গন্ধ বা যে কোন তীব্র গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে হাতে লেবু ঘষে নিন। রসুল পিয়াজ বা মাছের মতন তীব্র গন্ধযুক্ত খাবার খাওয়া ফলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ বের হয়।এক্ষেত্রেও একই প্রতিকার প্রযোজ্য হতে পারে। তাছাড়া লেবু লালগ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে। আমাদের মুখগহবর শুষ্ক হয়না ও ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা সৃষ্ট নিঃশ্বাসে দূর্গন্ধর আশঙ্কা কমে। 

ফুসফুসের জন্য ভালো :লেবু শরীরের বিষাক্ত দ্রব্য বের করে দেয় এবং ফুসফুসের যত্ন নেয়।লেবুর শরীরের লিপিড এবং চর্বির মাপ ঠিক রাখে। 

পাকস্থলীকে সুস্থ রাখে:লেবু তাদের জন্যই আদর্শ টনিক যারা পেটের সমস্যায় ভুগছেন। পেটের গোলযোগের মধ্যে বদহজম ডায়রিয়া কোষ্ঠকাঠিন্য মাঝেমধ্যে আমাদেরকে অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। আপনাকে যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেবে লেবু। শুরুতে এক গ্লাস লেবু পানি +লবণ এর সাথে এক চা চামচ মধু হলে আরো ভালো হয় মিশ্রনের পানিটি খেয়ে ফেলুন দেখবেন পাকস্থলীর সবসমস্যা মিটে যাবে। 

ক্ষত পরিষ্কার করতে :যেহেতু লেবুতে রয়েছে অ্যান্টিসেপটির জাতীয় বৈশিষ্ট্য। তাইলে যে কোন ক্ষত বা ঘা সারাতে এবং ঘা পরিস্কার করতে ব্যবহার করা হয়। কত তে লেবু ব্যবহার করার ফলে ক্ষতর মধ্যে থাকা সমস্ত ময়লা ও জীবানু পরিষ্কার করে ক্ষত বলা ঘা কে দ্রুত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। লেবু ত্বকের যেকোনো সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। ত্বকের মধ্যে যে কোন ক্ষত হলে লেবু ব্যবহার করলে তা খুব দ্রুত নিরাময় হয়।

গ্যাস্ট্রিক বুক জ্বালা ও বদহজম দূর করতে লেবু :আপনাদের যাদের গ্যাস্ট্রিক বুক জ্বালা বদহজমের সমস্যা রয়েছে। তারা যদি খাবার পরে লেবু খেতে পারেন তাহলে সমস্যা থেকে মুক্তির ভালো ফলাফল পারেন।

লেবু খাওয়ার অপকারিতা :

যাদের অ্যসিডিটির বা গ্যাসটিকের সমস্যা আছে তারা অতিরিক্ত লেবু খাবেন না। কারণ অতিরিক্ত লেবু খেলে বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে।

  • লেবুর সরাসরি মুখে মাখবেন না।কারণ লেবুর রস প্রচন্ড এসিডধর্মী।লেবুর রস মুখে মাখতে হলে বিভিন্ন উপাদানের সাথে মিশিয়ে মখতে হবে। লেবুর রস সরাসরি মুখে মাখা যবে না কারণ সরাসরি মুখে মাখলে মুখ পুড়ে যেতে পারে।
  • ওজন কমানোর জন্য বা খাদ্যাভ্যাসে লাগাম টানাতে হলে কার্বোহাইড্রেট ও অন্যান্য পুষ্টিগুনের অভাব দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে লেবুপানি পানের পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে শরীরের ক্লান্তি ভাব দেখা দিতে পরে।
  • অতিরিক্ত লেবু খেলে পেট ফাঁপা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা দেখা দিতে পারে। লেবু এবং অন্যান্য সাইট্রাস ফুলের এসিড রিফ্লাক্স হতে পারে। তাই যাদের গ্যাসের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে লেবুর পানি না পান করাই ভালো।
  • অতিরিক্ত লেবু খেলে মুখে ঘা হওয়ার সমস্যা হতে পারে।
  • অতিরিক্ত লেবু ও লেবু শরবত পানের ফলে পেটে এবং তলপেটে ব্যথা অনুভূতি হতে পারে। লেবুর শরবত বেশি খেলে অনেক সময় শরীর দুর্বলতা অনুভূত হতে পারে।
  • প্রতিনিয়ত লেবু বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি শরীরে পুষ্টি উপাদানের ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
  • অতিরিক্ত লেবু খেলে মাইগ্রেনের ব্যাথা বাড়তে পারে ।
  • গ্যাস হওয়ার ফলে বমি বমি ভাব লাগতে পারে।
  • অতিরিক্ত লেবু খাওয়ার ফলে আমাদের রক্তে আয়রনের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়।যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তারা লেবু খেয়ে রোদে গেলে এলার্জির ভাব বাড়তে পারে।

লেবুর পুষ্টিগুন:

লেবু পুষ্টি গুনে ভরপুর একটি ফল। তীব্র তাপদাহের ফলে আমরা যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ি তখন এক গ্লাস লেবুর শরবত খেলে প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। লেবু আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে ওজন কমানোর মতন উপকার করে লেবু। তাই বিশ্বজুড়ে লেবুর জনপ্রিয়তা খুবই বেশি । আমাদের দেশের প্রতিটি রান্নাঘরের একটি অপরিহার্য খাবার লেবু। 


লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফাইবার এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়া, এবং এন্টি ভাইরাল উপাদান।ফলে নানা মৌসুমীর রোগ যখন জ্বর, সর্দি, কাশ , ইনফ্লুয়েঞ্জারের মত রোগের বিরুদ্ধে লড়তে পারে এই ফলটি। তাছাড়া লেবু আমাদের হজম শক্তি বাড়ায়। এই ফলটিতে উচ্চ মাত্র পটাশিয়াম থাকার কারণে উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
এবং রক্তের কোলেস্টেরল মাত্র কমিয়ে হৃদপিন্ডের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

নিম্নে লেবুর পুষ্টিগণ উপাদানের পরিমাণ দেয়া হল:

  • ফাইবার ৫.৯ গ্রাম ।
  • ক্যালসিয়াম ৫৫.১মিলিগ্রাম।
  • ভিটামিন এ ৪৬.৬ IU।
  • ভিটামিন সি ১১২ মিলিগ্রাম।
  • আইরন ১.৩ মিলিগ্রাম।
  • ফসফরাস ৪০ মিলিগ্রাম।
  • ফলেট ২৩.৩ মিলিগ্রাম।
  • সাইট্রিক এসিড ৪৭ গ্রাম/লিটার । 
  • পটাশিয়াম ২৯৩ মিলিগ্রাম।

যে খাবার গুলো লেবুর সঙ্গে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি:

যেসব খাবার লেবুর সঙ্গে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি হয় তার নিম্লে আলোচনা করা হলো :

লেবু আর পেঁপে :লেবু সঙ্গে পেঁপে খাওয়া একদমই উচিত নয়। কারণ এটি হিমোগ্লোবিন এর ভারসাম্যহীনতার কারণ হতে পারে। এর পাশাপাশি এনিমিয়ার শিকারও হতে পারেন। লেবু আর পেঁপে শিশুদের জন্য খুবই বিপদজনক। 

লেবু এবং দই:আয়ুর্বেদিকদের মতে লেবু এবং দই একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। সাইট্রাস ফলের সঙ্গে যুদ্ধজাত মিশ্রণ হজম সিস্টেমের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। এটির সঙ্গে আরো বেশি টক্সিন উৎপাদিত হবে। সর্দি ঠান্ডা সাইনাস বা এলার্জির মতো রোগের মুখোমুখি হতে পারে। 

দুধ এবং লেবু :দুধ আর লেবু একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। কারণ দুধ আর লেবু একসঙ্গে খেলে বদহজমায় এসিডের মত সমস্যা হতে পারে। তাইলে দুধ খেতে চাইলে দুধ খাওয়ার এক ঘন্টা পর লেবু খেতে পারেন।

লেবু ও টমেটো :লেবু সাধারণত সালাদে বেশি ব্যবহার করা হয়। আয়ুর্বেদিকদের মতে টমেটোতে লেবু ব্যবহার করা মোটে উচিত নয়। এটি শরীরের পচনতন্ত্রের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। 

লেবু খেয়ে ওজন কমানোর উপায় :

লেবু এক প্রকার প্রাকৃতিক ঔষুধ,লেবুর গুণগত মান ভালো। লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন যা মানবদেহের জন্য খুবই উপকার । আমরা রোজ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর গরম চা অথবা কফি পান করি। আর এ-ই চা কফি আমাদের শরীরে পানি শূন্যতা তৈরি করে। তাই আমাদের উচিত চা-কফি বাদ দিয়ে প্রতিদিন সকালে লেবু মিশ্রিত পানি পান করুন ।
আমাদের শরীর যেহেতু অনেকক্ষণ বিশ্রামে ছিল সেজন্য শরীরবৃত্তীয় কাজগুলো বন্ধ ছিল। ঘুম থেকে উঠার পরপরই আবার আগের ন্যায় চালু হয়ে যায়। এজন্য শরীরকে চাঙ্গা রাখতে প্রতিদিন সকালে লেবু শরবত মধু মেশানো পানি পান করা উচিত। সহজে বলতে গেলে ৪০০ মিলি গরম পানিতে মাত্র দুই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে হালকা মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
এটি যদি খালি পেটে খান তাহলে ক্ষুধা কম লাগবে আর ক্ষুধা কম লাগলে প্রয়োজনের বেশি খাবার গ্রহণ করতে পারবেন না। ফলে অতিরিক্ত কোন ক্যালরি জমা হওয়ার ভয় থাকবে না। এভাবে দেহের ওজন আপনার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তাছাড়া খাবার হজমেরর ক্ষেত্রে এটি অনেক বেশি কার্যকরী।

উপসংহার: 

আশা করছি আপনারা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে লেবু খাওয়ার উপকারিতা .অপকারিতা এবং লেবুর পুষ্টিগুন সহ আরো অনেক বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেয়ে গেছেন। এবং বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে উপকৃত হয়েছেন।
আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে অথবা আরো কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url