কালোজিরার উপকারিতা,কালোজিরার অপকারিতা ওপুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা ভালো আছেন আজ আমি আপনাদেরকে নানা গুনে ভরপুর কালোজিরার উপকারিতা,কালোজিরার অপকারিতা ও পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে আলোচনা করবো।কালোজিরা হলো আমদের দেহের অনেক জটিল রোগের সমাধান এজন্য আমরা কালোজিরা কে আমরা সর্ব রোগের মহাঔষুধ বলে থাকি।
কারোজিরার উপকারিতা,অপকারিতা ওপুষ্টিগুন.png

আপনারা যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলের সঙ্গে থাকেন, তাহলে আপনারা আর জানতে পারবেন কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম, কালোজিরা ও মধু খাওয়ার উপকারিত,এবং কালোজিরা ও মধু খাওয়ার সঠিক নিয়ম।তাহলে চলুন মূল আর্টিকেলে যাওয়া যাক।

ভূমিকা:

কালিজিরার আরবি নাম হচ্ছে -হাব্বতুস সওদা, এবং এর ইংরেজি নাম হচ্ছে Blackseed তবে বাংলার মানুষরা একে কালো জিরা বলেই চিনে।কালোজিরা আমাদের সকলের কাছেই একটি পরিচিত খাদ্যে। এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি।কালোজিরা আমাদের শরীরে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া নিধন করে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, তোমরা কালোজিরা ব্যবহার করো কারণ কালোজিরা হল মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের মহা ঔষধ। কালোজিরা যে কেবল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তা কিন্তু না, আমাদের বাহ্যিক অংশ যেমন চর্মরোগ, চুল পড়া বন্ধ, এবং ত্বকের জন্য শারীরিক সমস্যার জন্য এটি বেশ কার্যকরী। 
মারুফ ইনফো আগে থেকে আপনাদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য দিয়ে আসছে তো চলুন আজকে জেনে নেয়া যাক কালিজিরা বা কালিজিরার তেলের উপকারিতা অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। সঠিক নিয়মে কালোজিরা তেল সেবন করলে  বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়  ।

কালোজিরার উপকারিতা:


বিভিন্ন রোগ নিরাময়কারী কালোজিরার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা নিম্নে করা হলো:

স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে: আজকাল একটা জিনিস লক্ষ্য করলে বোঝা যায় অধিকাংশ মানুষই এ সমস্যাতে ভোগেন হোক সে ছোট কিংবা বড়। ছোটদের পড়াশোনা অমনোযোগিতা এবং বড়দের স্মরণশক্তিতে চাপ বৃদ্ধির কারণে অনেক সময় আমরা অনেক কিছু ভুলে যায়। এর জন্য আপনি যদি নিয়মিত সঠিক মাত্রায় কালোজিরার তেল সেবন করেন।
তাহলে এটি স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। স্মরণ শক্তি বৃদ্ধিতে কালোজিরা তেল সেবন করার নিয়ম এক চা চামচ পুদিনা পাতার রস বা কমলার রস বা রং চায়ের সাথে ১ চা চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দিনে তিনবার সেবন করবেন, যা আপনার দুশ্চিন্তা দূর করতে সাহায্য করবে। তাছাড়া এটি মেধা বিকাশের ক্ষেত্রে দ্বিগুণ হরে কাজ করবে ।
কালোজিরা নিজেই একটি এন্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক ভূমিকায় কাজ করে। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণশক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
 

মাথা ব্যথা নিরাময়ে:প্রতিদিন ১/২ চা চামচ কালোজিরা তেল মাথায় ভালোভাবে লাগাতে হবে।এবং ১ চা চামচ কালোজিরার তেল ও সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে দিনে তিনবার খেতে হবে তাহলে দেখবেন আপনার মাথা ব্যথা ২ -৩ সপ্তাহের মধ্যে দূর হয়ে যাবে।

সর্দির সারাতে:১ চা চামচ কালোজিরা তেল , ২ চা চামচ তুলসী পাতার রস, এবং ৩চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে জ্বর, সর্দি, কাশ, ও উচ্চ ব্যথা দূর হবে। যদি সর্দি বুকে বসে যায় তাহলে কালিজিরা বেটে কপালে প্রোলেপ দিন। একই সঙ্গে কালোজিরা পরিষ্কার কাপড়ে বেঁধে শুকতে থাকুন। এতে যদি কাজ না হয় আরো ভালো ফলাফলের জন্য কালোজিরার তেল বুকে ও পিঠে মালিশ করুন। 

শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি প্রতিরোধে কালোজিরা :যারা নিয়মিত শ্বাসকষ্ট এবং হাঁপানি রোগে ভুগেন তাদের জন্য কালোজিরা অনেক বেশি উপকারী। আমাদের মধ্যে বয়স্ক এবং শিশুদের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট এবং হাঁপানি রোগের সমস্যা বেশি দেখা যায়। এই হাঁপানি শ্বাসকষ্ট সমস্যা থেকে নিরাময়ের পথ কালোজিরা। 
প্রতিদিন কালোজিরার ভর্তা খেলে হাঁপানি এবং শ্বাসকষ্ট সমস্যা থেকে উপশম হয়। এছাড়া ১ চা চামচ কালোজিরা তেল, এক কাপ দুধ বা রং চায়ের সাথে মিশিয়ে নিয়মিত খেতে পারেন। অথবা গরম পানির সাথে ১ চা চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে খেলেও উপকার মিলতে পারে। 

রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কালোজিরা :রাতের পানিতে সামান্য পরিমাণের কালোজিরা ভিজিয়ে রাখুন। সকালবেলা সেই পানি খেয়ে নিন। এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সহায়তা করবে। এছাড়া আর একটি উপায় হল কালোজিরা মিশিয়ে সেদ্ধ ডলের মধ্যে দিয়ে খেতে পারেন । 
কালোজিরার সাথে ডাল খেলে রক্তের শর্করার পরিমাণ কমে যায়। এছাড়া ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রতিদিন পরিমাণ মতো কালোজিরা খেতে হবে । এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করবে এবং স্বাস্থ্যকর জীবন প্রদানের সহায়তা করে।

বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে : যেসব মেয়েদের বুকের দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে হয় না।সে সব মায়েদের জন্য কালোজিরা হল মহাঔষধ । মায়েরা প্রতিদিন শোয়ার আগে ৫ থেকে ১০ গ্রাম কালোজিরা মিহি করে পিষে দুধের সঙ্গে খেতে থাকুন । দেখবেন ১০- থেকে ১৫ দিনের মধ্যে দুধের প্রবাহ আসতে শুরু করবে। 

যৌন সমস্যা সমাধানে :কালোজিরা পুরুষ মহিলা উভয়ের যৌন ক্ষমতা বাড়ায় এবং যৌন সমস্যা প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন কালোজিরা খাবারের সাথে খেলে পুরুষদের স্পার্ম বৃদ্ধি পায় এবং পুরুষত্বহীনতা সম্ভাবনা তৈরি করে।১ চা চামুচ মাখন ১চা চামুচ জায়তুন তেল সমপরিমান কালোজিরা ও মধুসহ দৈনিক ৩বার ৪ থেকে ৫ সপ্তাহ খেতে হবে।

হজমে সাহায্য করে: প্রতিদিন ১ থেকে ২ চা চামচ কালোজিরা বেটে পানির সাথে মিশিয়ে খেলে হজম শক্তি বাড়ে। এটি পেট ফাঁপা সহ পেটের অন্যান্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। 

অতিরিক্ত চর্বি কমায় :ডায়েট করার জন্য কালোজিরা অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। যারা ডায়েট করতে চান তারা প্রতিদিন সকালে একটা চামচ মধুর সাথে আধা চা চামচ কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস করলে আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি এবং মেদ কমে যাবে। 

চুল পড়া বন্ধ করতে :চুলের পুষ্টির অভাবে অনেক সময় আমাদের মাথার চুল পড়ে যায়। আরে চুল পড়া বন্ধ করতে নিয়মিত কালোজিরা খান। অথবা এর চেয়ে ভালো ফলাফল পেতে কালোজিরার তেল চুলের গোড়ায় মালিশ করুন। 

চর্মরোগ সারাতে :যাদের চর্ম রোগের সমস্যা বা চুলকানির সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত কালোজিরার তেল শরীরে মালিশ করলে চর্মরোগ বা চুলকানি কোনটাই থাকবে না। 

চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে:আয়ুর্বেদিক বলে কালোজিরা তেল চোখের লালভাব ক্রমাগত চোখ দিয়ে পানি পড়ার মতন সমস্যাগুলো কে  খুব তাড়াতাড়ি নিরাময় করে। এর বীজ অনেক ভিটামিনের দূর্দান্ত উৎস। যা দৃষ্টি উন্নতি করতে এবং ছানি পড়া রোধে সহায়তা করে।
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যাদের চোখে দেখতে সমস্যা হয় তারা ১/২ চা চামচ কালোজিরা তেল এবং এক গ্লাস তাজা গাজরের রস পান করা উচিত । 


অনিয়মিত মাসিক সমস্যায় :এক কাপ কাঁচা হলুদের রস বা সমপরিমাণ আতপ চালের ধোয়া পানির সাথে ১ চা চামুচ কালোজিরা তেল মিশিয়ে দৈনিক ৩বার খেলে আপনি এর কার্যকারিতা বুঝতে পারবেন।

শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে:শিশুদের দৈহিক এবং মানসিক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কালোজিরার তেল মালিশ করা যেতে পারে। দুই বছর কম শিশুদের সরাসরি কালোজিরা না খাওয়ানো ভাল। তবে দুই বছরের বেশি শিশুদের কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা যেতে পারে । 

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম :

কালোজিরা উপকারিতা পেতে হলে আমাদেরকে নিয়মিত কালোজিরা খেতে হবে । তবে কালোজিরা খাওয়া বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

  • প্রতিদিন সকালবেলা খালি পেটে পানির সাথে অথবা দুধের সাথে মিশিয়ে ১-২.৫গ্রাম কালোজিরা খাবেন তাহলে শরীরে শর্করা নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
  • কালোজিরা চা বা গরম ভাতের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায় । 
  • যেকোনো তরকারি রান্নায় কালোজিরা ব্যবহার করা যায়। এছাড়া কালোজিরার ভর্তা আমাদের অনেকের কাছে প্রিয় একটি খাবার।
  • পিঠা বা অন্যান্য মুখরোচক খাবারের মধ্যে কালোজিরা দিলে এর পুষ্টিগুণ আরো বেড়ে যায়।কালোজিরার তেল শুধুমাত্র ভোজন এর ব্যবহার করার জন্য নয় , এটি সব রকমের খাবারের ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • কালোজিরার তেল খাবারের মধ্যে সর্বপরিমাণে ব্যবহার করলে সেটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপকারী হতে পারে। 

কালোজিরার পুষ্টি উপাদান : 

কালোজিরা তে রয়েছে প্রায় শতাধিক পুষ্টি ও উপকারী উপাদান।কালোজিরা খাদ্যাভাসের ফলে আমদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।এছাড়া কালোজিরা ফুলের উৎকৃষ্ট মধু সারা বিশ্বজুড়ে পরিচিত।কালোজিরার তেল আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
বর্তমানে কালোজিরার ক্যাপসুল ও বাজারে পাওয়া যায়।এতে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধে ক্যারোটিন ও শক্তিশালী হরমন, যা প্রস্রাব সহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ কারি উপাদান ও অম্লরোগের প্রতিষেধক।এর প্রধান উপাদান হলো:
  • আমিষ ২১ শতাংশ,
  • শর্করা ৩৮ শতাংশ,
  • স্নেহ বা ভেষজ তেল ও চর্বি ৩৫ শতাংশ।এছাড়াও ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে,
প্রতি গ্রাম কালোজিরায় পুষ্টি উপদান হলো:
  • প্রোটিন-২০৮মাইক্রোগ্রাম,
  • ভিটামিন১-১৫মাইক্রোগ্রাম
  • নিয়াসিন-৫৭মাইক্রোগ্রাম,
  • ক্যালসিয়াম১.৮৫মাইক্রোগ্রাম
  • আয়রণ-১০৫মাইক্রোগ্রাম,
  • ফসফরাস৫.২৬মাইক্রোগ্রাম,
  • কপার১৮মাইক্রোগ্রাম,
  • জিংক৬০মাইক্রোগ্রাম,
  • ফোলাসিন৬১০আইইউ।কালিজিরার অন্যতম উপাদানের গুলো মধ্যে আরো রয়েছে নাইজেলোন থাইমোকিনোন ও স্থায়ী তেল।
কালোজিরার তেল ঔষুধি পুষ্টি গুনের অন্যতম।
এই তেলে রয়েছে,ফসফেট,লৌহ,ফসফরাস,পটাশিয়াম,আয়রণ,জিংক,লিনোলিক,এসিড,কার্বোহাইড্রেট, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সেলিনিয়াম, ভিটামিন এ,ভিটামিন বি,ভিটামিন বি২,ভিটামিন সি,ও নিয়াসিন ছাড়াও জীবানুনাশক হাজারো রকম উপদান।

  কালোজিরার অপকারিতা :

যদিও কালোজিরার মধ্যে অনেক উপকারী গুনাগুন রয়েছে তারপরও কালোজিরার মধ্যে আবার কিছু অপকারিতা রয়েছে। নিম্ন আলোচনা করা হলো :
  • কালোজিরা মুখের মাধ্যমে অল্প পরিমাণে গ্রহণ করা হয়।বেশিরভাগ লোকের ক্ষেত্রে এটি নিরাপদ। কালোজিরার তেল স্বল্পমেয়াদী সময়ের জন্য ব্যবহার করা হয়।
  • কালোজিরার তেল ত্বকে লাগলে যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের শরীরে ফুস্কড়ির মত দেখা দিতে পারে।তাই সাবধানতা অবলম্বন করে ব্যবহার করতে হবে।
  • কালোজিরা অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে শরীরের রক্ত জমাটে বাধা প্রদান করে, ফলে রক্তপাতের ঝুকি অনেক বেশী থাকে।তাই অতিরিক্ত কালোজিরা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • অতিরিক্ত কালোজিরা খেলে রক্তের শর্করার পরিমান কমে যেতে পারে ।যদি কারো শরীরে  ডাইবেটিস সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই শরীরে শর্করা চেকআপ করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ  নেয়া পর কালোজিরা খেতে পাড়েন।
এগুলো হলো কালোজিরা খাওয়ার অপকারিতা দিকগুলো।কালোজিরার খেলে যেমন আমাদের শরীরে উপকারিতা রয়েছে তেমনি বেশি খেলে এর অপকারিতা ও রয়েছে।তাই কোন কিছু না জেনে খাওয়া মোটেও উচিত না।

কালোজিরা প্রিতিদিন কতটুকু খাওয়া যাবে:

কালোজিরা প্রতিদিন কতটুকু খাওয়া যাবে তা নির্ভরকরে তার হজম শক্তির উপর।যাদের কালোজিরা খাওয়া অভ্যাস রয়েছে তারা প্রতিদিন ২থেকে ৩ চামুচ কালোজিরা খেতে পাড়েন।আবার যাদের খাবার অভ্যাস নেই তারা দিনে কয়েকটা দানা খেতে পাড়েন।তবে প্রতিদিন আমাদের ২ থেকে ৩ গ্রাম কালোজিরা খাওয়া যেতে পাড়ে। 

মধু ও কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা:

মানবদেহের জন্য মধু কালোজিরা দুইটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান । মধু মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, আর কালোজিরা মৃত্যু ব্যাতিত সমস্ত রোগের মহাঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।তাই এই দুইটির গুরুত্ব কতখানি তার সহজে অনুধাবন করতে পারছেন। এখন তাহলে জেনে নেয়া যাক মধু ও কালোজিরা একত্রে করে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
মধু কালোজিরা ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের গ্লকোজের মাত্রা কমিয়ে দেয় ফলে ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণ করে । কালোজিরা শরীরের নিম্ন রক্তচাপ বৃদ্ধি করে রক্ত সঞ্চালন কে ঠিক করে রাখে। পাশাপাশি দেহের রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। 
এর জন্য শরীরের রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই নিজেদেরকে কালোজিরা এবং মধু খাওয়ার অভ্যাস করে তুলতে হবে। কালোজিরা ও মধু নারী-পুরুষ উভয়েরই যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে কালোজিরা খেলে পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া কালোজিরা ও মধু এক সঙ্গে খেলে পুরুষদের পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তি দেয়।কালোজিরা ও মধু একসঙ্গে খেলে দেহের রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা ঠিকঠাক থাকে। ফলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনের বৃদ্ধি ঘটে। এতে করে আমাদের স্মরণশক্তি বৃদ্ধি ঘটে। 

কালোজিরা ও মধু খাওয়ার সঠিক নিয়ম:

কালোজিরা এবং মধু খাওয়ার সঠিক কোন তথ্য আমাদের জানা নেই । তবে মধু আপনারা বিভিন্ন উপায় খেতে পারেন যেমন মধু দিয়ে খাবার বানিয়ে খেতে পারবেন আবার মধুর শরবত বানিয়ে খেতে পারেন। অথবা আপনি শুধু শুধু মধু খেতে পারেন। ঠিক তেমনিভাবে আপনি কালোজিরা বা কালোজিরা তেল খেতে পারেন।
আমাদের দেশে সচারচর কালোজিরা কে মশলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে , আবার কালোজিরার তেল আপনি খেতে পারেন কোন কিছুর সাথে মিশিয়ে বা শরবত হিসেবে তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে অথবা আপনি কালোজিরা তেল ও মধু একত্রে মিশে খেতে পারেন।

শেষ কথা:

উপরের অংশে কালোজিরা সম্পর্কে এতসব উপকারিতা কথা জেনে এখন আমরা নিশ্চিত ভাবে কালোজিরা কে সকল রোগের মহা ঔষধ বলতে পারি। এ সমস্ত কারণে জন্যই কালিজিরা কে মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের মহা ঔষধ বলা হয়ে থাকে। 
তাই সুস্থ-সবল জীবন যাপন করতে হলে সকল রোগ হইতে মুক্তি পেতে চাইলে আমাদেরকে নিয়মিতভাবে পরিমান মত কালিজিরা সেবন করতে হবে। আশা করছি আপনারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছেন। এতক্ষন আপনারা আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আসসালামু আলাইকুম

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url