শিশুর দ্রুত লম্বা হওয়ার খাদ্য সমূহ এবং শিশুর ওজন বৃদ্ধির খাবারসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।



প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আজ আমি আপনার শিশুর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব। আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয় হচ্ছে, শিশুকে কোন খাবারগুলো খাওয়ালে দ্রুত লম্বা হয়, এবং শিশুর ওজন বৃদ্ধির খাবারসমূহ।আপনারা যদি কয়েক মিনিট ধৈর্য্য সহকারে আমাদের এই আর্টিকেলের সঙ্গে থাকেন।
শিশুর ওজন বৃদ্ধি এবং লম্বা হওয়ার উপায়.

তাহলে আরো জানতে পারবেন, শিশুর বয়স অনুযায়ী ওজন কতখানি থাকতে হবে ও উচ্চতা কতখানি থাকতে হবে, কোন ঔষুধ খাওয়ালে শিশুর ওজন বাড়ে তার নাম, এছাড়া  শিশুর পুষ্টিহীনতার লক্ষণ সমূহ, এবং শিশুর অপুষ্টিরোধের খাদ্য সমূহ সম্পর্কে।আশা করিছি আপনারা আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

ভূমিকা:

একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত মানুষের দৈহিক দৈনিক বৃদ্ধি ঘটে এবং উচ্চতা বাড়ে।মানুষের উচ্চতা অনেক অংশই নির্ভর করে তার জিনের এর উপর। তবে এর বাইরে কিছু বিষয় আছে যেমন জীবনযাত্রা, শরীরচর্চা, খাদ্যাভাস ইত্যাদি শিশুর দ্রুত লম্বা হওয়ার পেছনে ভূমিকা রাখে।
তাই শিশুর উচ্চতা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে তার খাবার তালিকা দিকে নজর দিতে হবে। এমন কিছু সবজি আছে যেগুলো খাওয়ালে শিশুর দ্রুত উচ্চতা বাড়ে। তাহলে চলুন মূল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

শিশুকে কোন খাবার গুলো খাওয়ালে দ্রুত লম্বা হয়:

বাঁধাকপি :আপনারা সবাই জানেন বাঁধাকপি একটি শীতকালীন সবজি। এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল , প্রোটিন, ফাইবার,আয়রন যা শিশুর দ্রুত লম্বা হওয়ার পাশাপাশি ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

মটরশুটি:মোটসুটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, মিনারেল , লুটেইন, প্রোটিন ও ফাইবার যার শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধির গতি ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে। তবে শুকনো মটরশুটিতে এসব উপাদান বা পুষ্টিগুণ থাকে না। 

পালং শাক :পালং শাক নানা পুষ্টিগুনে ভরপুর এটাও একটি শীতকালীন সবজি। যতগুলো শাক রয়েছে এরমধ্যে পালং শাক সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণের খনিজ, ভিটামিন ও ফাইবার রয়েছে। তাই শিশুর খাদ্যের তালিকায় প্রতিদিন পালং শাক খেতে দিন। কারণ এ শাকের প্রয়োজনীয় উপাদান গুলো শিশুর উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করে।

শিশুরা যদি শধু পালং শাক খেতে না চাই তাহলে বিভিন্ন উপায়ে শিশুকে পালং শাক খেতে দিতে পারেন যেমন পালং শাকের পাকোড়া,স্যুপ, সালাদ ইত্যাদি তৈরি করে দিতে পারেন। এভাবে শিশুরা বেশি খেতে পছন্দ করে।

সয়াবিন :সোয়াবিনের প্রোটিন শিশুর হাড়কে মজবুত করতে খুবই কার্যকরী।এক গবেষণায় দেখা গেছে এক বাটি ডালের চেয়েও বেশি প্রোটিন রয়েছে ৫০ গ্রাম সয়াবিনে।হাড় কে মজবুত করে শিশুর উচ্চতা বাড়াতে সয়াবিন খবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে হাড় ও পেশী সচল থাকে। হলে শিশুর উচ্চতা বাড়ে দ্রুত। 

ঢেঁড়স :ঢেঁড়স রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন মিনারেল কার্বোহাইডেট পানি ও ফাইবার। এই ফাইবার হরমনকে সক্রিয় করে তোলে এবং শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

শালগম :শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধির অন্যতম সহায়ক হলে সারগাম। যারা শালগম পছন্দ করেন না তাদের মনে রাখতে হবে শালগমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন মিনারেল ফাইবার প্রোটিনএবং ফ্যাট। চিকিৎসকদের মতে যে ফাইবার রয়েছে তা উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য সত্যিই কার্যকর। 

শিশুর ওজন বৃদ্ধির খাবারসমূহ:

আমরা আজকে আলোচনা করবো শিশুর ওজন বৃদ্ধির খাবার সম্পর্কে। বাচ্চার ওজন বৃদ্ধিতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো অত্যন্ত জরুরী। বাচ্চারা সব ধরনের খাবার খেতে চায় না তাছাড়া তাদের খাওয়ানো অনেক ঝামেলা হয়। তাই বাচ্চার খাবে এমন খাবার বাছাই করতে হবে। শুধু খেয়াল রাখবেন বাচ্চাদের জন্য যে খাবার বাছাই করছেন সেটা যেন পুষ্টিকর এবং মানসম্মত হয়।
বাচ্চাকে পুষ্টিকর খাবার দিবেন এতে বাচ্চা স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং ওজন বৃদ্ধি পাবে । বাচ্চাকে বেশি তেলে ভাজা খাবার দিবেন না , অথবা বাচ্চাকে জাঙ্ক ফুেড আসক্ত করবেন না। 

ব্রেস্ট মিল্ক :মায়ের বুকে দুধ শিশুর জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। কারণ মায়ের বুকের দুধে শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত নিউট্রিয়েন্ট বিদ্যমান থাকে। কোন শিশু কতটা হেলদি ও অ্যাকটিভ সেটা নির্ভর করে সেই শিশুর মায়ের বুকের দুধ পর্যাপ্ত পাচ্ছে কিনা সেটার উপর।
এর জন্য ডাক্তারেরা ছয় মাস পর্যন্ত কেবল মায়ের দুধ বুকের খাওনোর পরামর্শ দেন।শিশুর বয়স ৬ মাস অতিক্রম করে ফেললে মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি কিছু সলিড ফুল দিতে হবে। ছয় মাস পরবর্তী শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে সলিড ফুড এর পাশাপাশি মায়ের বুকের দুধ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কলা :কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম ভিটামিন সি ভিটামিন ই ৬,এবং কার্বোহাইড্রেট। এছাড়া এটি ক্যালরির খুবই ভালো একটি উৎস।ফলে ছোট বাচ্চাদের ওজন বৃদ্ধিতে খুব চমৎকার একটি ফুড কলা। সলিড ফুড হিসেবে দিতে চাইলে স্ম্যাশড বা পিউরি করে আপনার শিশুকে প্রতিদিন খাওয়াতে পারেন। 

ডিম :ডিমের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। শিশুর ওজন বৃদ্ধির জন্য প্রোটিনের গুরুত্ব অপরিসীম। একটি ডিমই শিশুর শরীরের প্রোটিন ভিটামিন মিনারেল সবকিছু চাহিদা পূরণ করতে পারে।শিশুরা সাধারণ ডিম খেতে খুব ভালোবাসে। তাই প্রতিদিন একটি করে ডিম সিদ্ধ শিশুকে খেতে দিন যারা শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। 

আলু :শিশুর ওজন বাড়াতে চাইলে শিশুর খাদ্য তালিকায় কমপক্ষে ৪০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট রাখতে হবে। আর কার্বোহাইড্রেটেের সবচেয়ে ভালো উৎস হল আলু। আলোতে থাকা অ্যামাইনো এসিড শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

ডাল: ডাল পুষ্টিগুন ভরপুর। ডালে প্রোটিন ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়াম আয়রন ফাইবার এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। আপনার শিশুকে ডালের স্যুপ অথবা ডলের পানি খাওয়াতে পারেন।আমার ডাল চলে মিক্সড খিচুড়ি, সবজি খিচুড়ি দিতে পারেন। এটি সহজে হজম যোগ্য তাই শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বাদাম বা বীজ জাতীয় খাবার:কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম, আখরোট, এপ্রিকটস,এছাড়া বীজের মধ্যে রয়েছে কুমড়ো বিচি, তিল, চিয়া সীডস ইত্যাদিতে প্রয়োজনীয় নিউট্রিয়েন্ট বিদ্যমান থাকে। যা শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এ সমস্ত বীজগুলোকে পাউডার করে বিভিন্ন খাবারের সাথে অথবা দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।

মুরগির মাংস :প্রোটিনের আরেকটি অন্যতম উৎস হল মুরগির মাংস এটি শিশুর পেশি মজবুত করে শিশুর ওজন বৃদ্ধি করে। তবে প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় মুরগির মাংস না দিয়ে মাছের পাশাপাশি সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন মুরগির মাংস দিতে পারেন।

অ্যাভোকাডো :শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে এই ফলটি অত্যন্ত কার্যকর। এই ফলটি স্বাদ বিহীন বলে শিশুরা খেতে চায় না । এই ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট ক্যালোরি একসঙ্গে। এর পুষ্টি উপাদান ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। দ্রুত ফল পেতে প্রতিদিনের শিশুর খাদ্য তালিকায় অ্যাভোকোডা রাখুন।

মিষ্টি আলু:৬ মাস বয়সের পর থেকে আপনার শিশুকে মিষ্টি আলু দিতে পারেন। কারণ মিষ্টি আলুতে হয়েছে পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন এর সমৃদ্ধ এই খাবারটি শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। 

মাখন :স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের উপাদানের অন্যতম উৎস হলো মাখন। তাই শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে শিশুর খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন মাখন রাখুন। রুটি বা ভাত ইত্যাদি সঙ্গে এটি দিতে পারেন। 

বয়স অনুযায়ী শিশুর ওজন ও উচ্চতা :

সব শিশুর ওজন এবং উচ্চতা একইভাবে বৃদ্ধি পায় না।অনেক কিছু ভিত্তি করেই শিশুর ওজন এবং উচ্চতা তারতম্য লক্ষ্য করা যায় ।তবে বয়স ভেদে শিশুর ওজন এবং উচ্চতার যে একটা পরিমাপক রয়েছে তা প্রত্যেকটা মা বাবার জেনে রাখা দরকার। চলুন তাহলে শিশুর বয়স অনুযায়ী ওজন এবং উচ্চতা সম্পর্কে জেনে নেয়।

শিশুর ওজন: শিশু জন্মের কয়েকদিন পর থেকে তার ওজন প্রায় ১৫ শতাংশ কমে যায়। এটি খুব স্বাভাবিক । কিন্তু এরপরে আবার সাত থেকে দশ দিনে শিশুর ওজন আবার পুনরায় আগের মতন হয়ে যায়।এবং এরপর থেকে শিশুর ওজন প্রতিদিনই ২৫ গ্রাম করে বাড়তে থাকে এবং তিন মাস পর্যন্ত বাড়ে।
এছাড়া বৈজ্ঞানিকভাবে শিশুর প্রথম বছর কে চার মাসের তিনটা অধ্যায় ভাগ করে ওজন বাড়ার যে সূত্র রয়েছে:প্রথম চার মাস -জন্ম ওজন +(বয়স মাসের সংখ্যা ★০.৮),দ্বিতীয় চার মাস -জন্ম ওজন +(বয়স মাসের সংখ্যা ★০.৭),তৃতীয় চার মাস -জন্ম ওজন+(বয়স মাসে সংখ্যা ★০.৬)।
মোটকথা শিশু তার পাঁচ মাস বয়সে জন্মের ওজনের দ্বিগুণ এবং এক বছর বয়সে তিনগুণ ওজন স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি হবে।এরপর থেকে শিশুর খাবার , এবং জিনগত বৈশিষ্ট্যের অনুপাতে শিশুর দৈহিক ওজনের তারতম্য লক্ষ্য করা যায়।


শিশুর উচ্চতা :জন্মকালীর সময় শিশু ৫০ সেন্টিমিটার বা ২০ ইঞ্চি হতে পারে । ছয় মাসের মধ্যে স্বাভাবিক অনুপাতে এর উচ্চতা ৬৮ সেন্টিমিটার বা ২৭ ইঞ্চি হতে পারে। এরপর বছর ভেদে এই উচ্চতার স্বাভাবিক মাত্রা হলো এক বছর -৭৫ সেন্টিমিটার ৩০ ইঞ্চি,দুই বছর -৮৫ সেন্টিমিটার বা ৩৪ ইঞ্চি, তিন বছর -৯৫ সেন্টিমিটার বলা ৩৭ ইঞ্চি, চার বছর -১০০ সেন্টিমিটার বা।৩৯ ইঞ্চি। এরপর আট বছর পর্যন্ত শিশু গড়ে ৫.৫ বা২ ইঞ্চি করে বাড়তে থাকে। ওজনের মধ্যে উচ্চতার ক্ষেত্রেও শিশুর খাবার পুষ্টি ইত্যাদি পরিমাপক হিসেবে কাজ করতে পারে। 

শিশুর ওজন বৃদ্ধির ওষুধ:

সাধারণত বাচ্চা বিভিন্ন কারণে খেতে চায়না যার ফলে শিশুর ওজন কমে যায়।সেটা হতে পারে রুচির সমস্যা আর এক হতে পারে কৃমির জন্য। যদি শিশু দুটি সল্পতার কারণে শিশুর ওজন কমে যায় তাহলে শিশুকে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ওজন বৃদ্ধির ওষুধ পাওয়া যায়।
সেগুলো খাওয়ানো যেতে পারে যেমন পোগো, টেফলর,জিংক, জিংক বি, বিকজিং, লাইভ সেভিং, ভিটাগ্রো,অ্যাপল ডন, ভেরি সুইট ইত্যাদি। এ সমস্ত ওষুধ বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির জন্য খাওয়ানো হয। এগুলো বাজারে এভালেবেল পাওয়া যায় । তবে যে কোন ওষুধ খাওয়ানোর পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

শিশুর পুষ্টিহীনতা লক্ষণসমূহ:

শিশুর পুষ্টিহীনতার লক্ষনসমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলো:
  • ক্লান্তিঅবসাদ,
  • খিঠখিটে স্বভাব,
  • অমনোযোগিতা
  • শুষ্ক খসখসে ত্বক
  • মাড়িতে রক্তপাত, খুদামন্দ্য
  • কম শারীরিক বৃদ্ধি এবং বৃদ্ধি একেবারে থেমে যাওয়া,
  • পেট ফুলে থাকা,ধীর আচরণগত পরিবর্তন ধীর বুদ্ধিগত বিকাশ
  • হরমোন জনিত সমস্য, ধীরে ধীরে ওজন কমতে থাকা।

শিশুর অপুষ্টির রোধে খাবারসমূহ:

আপনার শিশুকে অপুষ্টিরোধে কিছু খাবার আপনার শিশুর প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যোগ করতে হবে।যেমন- 
  • আমাদের দেশে ঋতুভিত্তিক এবং মৌসুম ভিত্তিক কিছু ফল এবং সবজি পাওয়া যায় সেগুলো আপনার শিশুকে খাওয়াতে হবে।,ফল এবং শাকসবজি প্রতিদিন দুই বেলা করে খাওয়াতে হবে।
  • দুধ এবং দুধ এবং দুদ্ধ জাত পণ্য যেমন ক্ষীর পায়েস এবং দুধের তৈরি সেমায়,ঘি ইত্যাদি খাওয়াতে হবে।
  • ভাত, রুটি, আলু, এরকম শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে।
  • ডিম মসুরের ডাল, মাছ, এ জাতীয় প্রোর্টির সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া হবে।
  • প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করাতে হবে।শিশুদের প্রতিদিন দেড় লিটারে বেশি পানি পান করাতে হবে।
  • শিশুর খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন তেল, চর্বি,বাদাম জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে।

আর আমাদের খেয়াল রাখতে হবে শিশুদের কখনোই জোর করে বা ভায়ভীতি দেখিয়ে খাবার খাওয়ানো যাবে না। এছাড়াও শিশুদের অপুষ্টি প্রতিরোধের অংশ হিসেবে প্রতিটি পরিবারকে স্বাস্থ্যকর এবং শিশু বান্ধব পুষ্টি সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে।
শিশু জন্মের ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এটি সর্বোত্তম বৃদ্ধি এবং একটি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার পূর্ণ বিকাশ অর্জনে সহায়তা করে। 

শেষ কথা 

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আপনার বাচ্চাকে নিয়ে যে সমস্যা গুলোর সম্মুখীন হন সেই সমস্যা গুলির সমাধান কিছুটা হলেও পেয়ে গেছেন।
আপনাদের কাছে আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন এবং আপনার বাচ্চার দৈনন্দিন সমস্যা নিয়ে আরো যদি কিছু জানার থাকে তাহলে সেটাও আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা তার সমাধানের চেষ্টা করব।ধন্যবাদ আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url