বুক জ্বালাপোড়ার কারণ,বুকজ্বালাপোড়া করলে করণীয় কি?

প্রিয় পাঠক আস-সালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন,আজ আমি আপনাদের দৈনন্দিন শারিরিক সমস্যার মধ্যে বুক জ্বালাপোড়া করা এই সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবো।এই সমস্যা আমাদের অধিকাংশ মানুষের ই হয়ে থাকে।তাই আমাদের আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় হল বুক জ্বালাপোড়া কি?বুক জ্বালাপোড়া করার কারন,বুক জ্বালাপোড়া করলে করণীয় কি?

বুক জ্বালাপোড়ার কারণ,বুকজ্বালাপোড়া করলে করণীয় কি?

আপনারা যদি মনযোগ সহকারে আমাদের এই আর্টিকেল সঙ্গে থাকেন তাহলে আরো জানতে পারবেন, বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায়,বুক জ্বালাপোড়া করলে ঘরোয়া সমাধান,বুক জ্বালাপোড়া বন্ধের ঔষুধের নাম,গর্ববস্থায় বুক জ্বালাপোড়ার ঘরোয়া সমাধান,এবং যেসব খাদ্য খেলে বুক জ্বালাপোড়া করে সে সম্পর্কে।তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল বিষয়ে আসা যাক।  

ভূমিকা:

শরীরিক সমস্যার মধ্যে বুক জ্বলা পড়া একটি বড় ধরনের সমস্যা। এই সমস্যা অনেকের মাঝেই দেখা যায। কিন্ত এই বুক জ্বালা পোড়া করলে তাৎক্ষণিক কি ব্যবস্থা নেয়া যায় সে সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই জানা নেই । তাই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। আমাদের এই যান্ত্রিক জীবনে আমরা সবাই খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছ। 

আমরা নিজেরাও অনেক টা যন্ত্রের মতন হয়ে গেছি।বলতে গেলে আমাদের দেহটা একটা যন্ত্রের মতই।দেহের কোথাও কোন সমস্যা হলে তার প্রভাব আমাদের সমস্ত শরীরে পড়ে।আমাদের এই যান্ত্রিক জীবনের সথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ছোট বড় অনেক সমস্যা। তার মধ্যে একটি হলো বুক জ্বলাপোড়া করা।বর্তমানে এমন কোন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না যে সে বুক জ্বালায় সমস্যায় ভুগেন নাই।

তাই আপনাদের জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেল হচ্ছে বুক জ্বালাপোড়া করার কারণ, বুক জ্বালাপোড়া করলে করণীয় কি, বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায় ইত্যাদি।

বুক জ্বালা পোড়া করার কারণ কি?:

চিকিৎসা বিজ্ঞানের দীর্ঘদিনের গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে বুকজ্বালা পোড়ার বেশ কিছু কারণ। নিম্নে তা আলোচনা করা হলো:
  • অ্যালকোহল সেবন করা
  • কফি অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করা 
  • কালো গোল মরিচ শিরকা যুক্ত খাবার বেশি খাওয়া
  • তৈলাক্ত খাবার ভাজাপোড়া বেশি পরিমাণে খেলে বুক জ্বালা পোড়া হয়।
  • ধূমপান হচ্ছে বুক জ্বালা পোড় করার আরো একটি অন্যতম কারণ
  • পিত্ত থলিতে পাথর হলে বুক জ্বালাপোড়া করে।
  • আচার, টমেটো সস, কমলার রস , পিয়াজ, পিপারমেন্ট ইত্যাদি খাবার বুক জ্বালা পোড়া বাড়িয়ে দিতে পারে। 
  • মানসিক চাপ দুশ্চিন্তা বুক জ্বালাপোড়া করার একটা অন্যতম একটা কারণ। 
  • এসিডের সমস্যা কমাতে অনেকের এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করে । কিন্তু এই কাজটি করার আগে দ্বিতীয়বার ভেবে নিতে হবে।কারণ ফুল ফ্যাট দুধের কারনেও আপনার পেটে এসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।তাই বুক জ্বালা পোড়া করতে পারে।
  • স্টাইলিশ, ফ্যাশনেবল আটসাট পোশাক পড়লে কিন্তু বুক জ্বালাপোড়া তৈরি করতে পারে। কারণ পেটের উপর তা চেপে থাকে ফলে অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই একদম টাইট পোষাক পড়বেন না। তা যেন পেটের আশেপাশে কিছুটা আলগা হয় তা খেয়াল রাখুন। 

বুক জ্বালাপোড়া করলে করণীয় কি?:

  • রাতে ঘুমানোর ২-৩ ঘণ্টা আগে খাবার খেয়ে নিতে হবে।
  • একসঙ্গে ভর পেট খাবার পরিহার করতে হবে।
  • একটু অল্প অল্প করে খাবার খেতে হবে।
  • শরীরে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে স্থুলতা পরিহার করতে হবে।
  • ঘরের তৈরি ফ্রেশ খাবার খেতে হবে 
  • তৈলাক্ত এবং অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।
  • ধূমপান এবং অ্যালকোহল যুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।
  • চা কফি এবং সফট ড্রিংস পরিহার করতে হবে।
  • অতিরিক্ত টাইট এবং আটসাট জামা পরিহার করতে হবে।
  • ভাজা পোড়া এবং ফাষ্টফুড জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।
  • খাবার পরপরই শুয়ে পড়া যাবে না বরং একটু হাটাহাটি করতে হবে।
  • ঘুমানোর সময় বিছানা থেকে মাথা ৪থেকে ৬ ইঞ্চি উঁচুতে রেখে শয়ন করতে হবে। 
  • শরীরের বাড়তি ওজনকে কমিয়ে ফেলতে হবে। 
  • মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তামুক্ত কমাতে হবে। 
  • পরিমাণ মতো পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন অন্তত তিন থেকে চার লিটার পানি খেতে হবে। 
  • ভাজা মাংসে পরিবর্তে আমাদেরকে সেঁকা এবং ঝলসানো মাংস খেতে হবে। 
  • প্রতিদিন কম বেশি করে হলেও হালকা ব্যায়াম করতে হবে। 
  • ধূলা বালি কে এড়িয়ে চলতে হবে।প্রয়োজনে বাইরে গেলে মাস্কস ব্যবহার করতে হবে ।

বুক জ্বালা পোড়া দুর করার ঘরোয়া সমাধান :

আদা :এক কাপ পানিতে এক চা চামুচ আদা কুচি করে কেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।এরপর এটি পান করুন।আদা পাকস্থলী থেকে এসিড শোষণ করে নার্ভ কে শীতল করে এবং বুক জ্বালাপোড়া রোধ করতে সাহায্য করে। 

খাবার সোডা:এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ খাবার সোডা মিশিয়ে সে পানি পান করুন । এটি খুব তাড়াতাড়ি বুক জ্বালাপোড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে এবং এর পিএইচের পরিমাণ সাত মাত্রার বেশি হওয়ার কারণে পেটের এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে খুব তাড়াতাড়ি বুক জ্বালা পোড়া কমিয়ে দেয়।

জিরা:এক কাপ পানিতে দুই চা চামুচ জিরা মিশিয়ে জ্বাল দিন এবং এটা ঠান্ডা হলে তা পান করুন। জিরা পেটের গ্যাস রোধ করে পেটের এসিড হওয়া কে কমিয়ে দেয়। 

পাকা কলা:বুক জ্বালা পোড়া করলে একটি পাকা কলা খান।কারন পাকা কলা তে রয়েছে প্রচুর পটাসিয়াম। পাকস্থলীর এসিড প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়।তাই আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কলা যোগ করুন। 


ডায়েট চুইংগাম:চিনি মুক্ত গাম চিবিয়ে খাওয়ার  অভ্যাস করুন, কারণ চুইংগাম মুখের মধ্যে লালা উৎপাদন বাড়ায়। আর লালা খাবার গিলতে ও হজমে সাহায্য করে ফলে এসিডের মাত্রা কম থাকে এবং বুক জ্বালাপোড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে।

পরিমাণে অল্প এবং ধীরে ধীরে খান :বেশি পরিমাণে খাবার খেলে অস্বাভাবিকভাবে ভালভের উপর চাপ দেয় এসিডের দিকে নিয়ে যায়।তাই অল্প পরিমাণ খান এবং ধীরে ধীরে চিবিয়ে খান।

মাঠা: প্রথমে দই আর পানি দিয়ে পাতলা ঘোল বানিয়ে নিন।তারপর এর সাথে যোগ করুন সামান্য পরিমাণের বিট লবণ ইচ্ছে হলে এর সাথে আপনারা সামান্য পরিমাণের কাঁচা মরিচ সামান্য আদা এবং গোলমরিচ মিশিয়ে নিতে পারেন। এরপর পান করুন দেখবেন খুব তাড়াতাড়ি বুকজ্বালা পোড়া করা বন্ধ হয়ে যাবে। 

দারচিনি :হজমশক্তি বৃদ্ধিতে দারুন একটি মসলা।এটি আবার প্রাকৃতিক এন্টাসিড হিসাবে কাজ করে থাকে । এক কাপ পানিতে আধা চা চামচ দারচিনি গুড়া মিশন । এরপর কয়েক মিনিট জ্বাল দিন। এটা দিনে দুই থেকে তিনবার পান করতে পারেন।

তুলসী পাতা :তুলসী পাতা ভালো করে পানিতে ধুয়ে নিন এরপর চার থেকে পাঁচটি তুলতে পাতা চিবিয়ে খান। এটি গ্যাসট্রিকের জন্য বুকে জ্বালাপোড়া হয় তা রোধ করে। 

গর্ভাবস্থায় বুক জ্বালাপোড়ার ঘরোয় সমাধান:

গর্ভকালে প্রত্যেক নারীকে কিছু সমস্যার মধ্যে পাড় করতে হয়। মুড পরিবর্তন রক্তের স্বল্পতা, মানসিক শারীরিক সমস্যার সাথে সাথে গ্যাস হওয়া, বুক জ্বালা পোড়ার করার মতন সমস্যা দেখা দেয়। 
এ সময় শরীরে প্রজেষ্টেরন নামক হরমোন বৃদ্ধি পায়, যা পেটের গ্যাস সৃষ্টি করে। এমন কি এটা হজম ক্ষমতা কমিয়ে দেয় যার ফলে বমি বমি ভাব, পেট ফাঁপা সমস্যা করে।
এছাড়া খাবারের অনিয়ম,ভাজাপোড়া খাবার বেশি খাওয়া, খাদ্যাভাসের পরিবর্তন এর কারণে পেটে গ্যাস হওয়া বুকজ্বালাপোড়া করার জন্য দায়ী।সেনসিটিভ শারীরিক অবস্থায় ওষুধ গ্রহনের ক্ষেত্রে ও কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। 
তাই শুধু ওষুধ গ্রহণের পরিবর্তে ঘরোয়া কিছু উপায়ে বুক জ্বালাপোড়া সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ঘরোয়া কিছু সমাধান -

  • আদা :আদা বমি বমি দূর করে এবং পেটের বদহজম দূর করতে আদা বেশ কার্যকর।আদা তে রয়েছে জিনজারলোস এবং শাগোলোস নামক দুটি উপাদান যা পেটের বদ হজম দূর করে থাকে।একটি আদা কুচি কুচি করে কেটে এক কাপ পানিতে জ্বাল দিন। এরপর এর সাথে আপনার পছন্দ মতন লেবু বা মধু যোগ করতে পারেন । জ্বাল হয়ে গেলে এটি চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। এরপর আপনি খাবারের পরে বা আগে এটি পান করতে পারেন।
  • অল্প খাওয়া:একসাথে অনেকগুলো খাবার না খেয়ে অল্প করে বারে বারে খেতে পারেন । গ্যাসের সমস্যা বা বুক জ্বলার সমস্যা দূর করতে চাইলে অল্প অল্প করে বাড়েবাড়ে খাবার খান। অনেক সময় বেশি খাবার খেলে পাকস্থলী হজম করতে পারে না। কিন্তু আপনি যদি অল্প পরিমাণে খাবার খান তাহলে হজম প্রক্রিয়ার সহজ হয়।
  • ভালো করে চিবিয়ে খাবার অভ্যাস করুন :খাবার খাওয়ার সময় ভালো করে আস্তে আস্তে চিবিয়ে খান। কারণ খাবার দ্রুত খেলে হজমের সমস্যা হয়। যা গর্ভবতী মায়েদের বুকজ্বলা বাড়িয়ে দেয়।
  • কাঠবাদাম : কাঠবাদাম গর্ভবতী মায়েদের বুক জ্বালা দূর করতে বেশ কার্যকর। কাঠবাদামের মধ্যে থাকা উপাদান পাকস্থলীর গ্যাস কমিয়ে বুক জ্বালাপোড়া রোধ করে। 
  • ভাতের মাড়:ভাতের মাড় আরেকটি সহজলভ্য উপাদান যা বুক জ্বালাপোড়া রোধ করতে সাহায্য করে। এতে থাকা উপাদান পেটে জমে থাকা গ্যাস বের করে দিতে সহায়তা করে।নিয়মিত ভাতের মাড় খেলে বুক জ্বালাপোড়া ভাব দূর হয় । 
  • মেথি :এক গ্লাস পানিতে একমুঠো মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।এবং সকাল বেলায় মেথি ফেলে দিয়ে পানি পান করুন। এতে করে আপনার পেটের গ্যাস কমিয়ে দিয়ে বুক জ্বালাপোড়া বন্ধ করে দেবে। 
  • চলাফেরা করা :আমাদের মায়ের গর্ভধারণ করার সাথে সাথে হাঁটা চলাফেরা কমিয়ে দেয়। যা করা একদমই উচিত নয়। প্রতিদিন নিয়ম করে ৩০ মিনিট হাঁটুন। এটা শুধু খাবার হজম করতে সাহায্য করবে না। বরং এর সাথে মাংসপেশী ও সচল রাখবে। এছাড়া অন্য কোন ব্যায়াম করার ক্ষেত্রে আপনার চিকিৎকের পরামর্শ নিন ।
  • ওজন কমাতে হবে: স্বাভাবিক ওজনের একজন নারীর ওজন গর্ভাবস্থায় ১১.৫কেজি-১৬কেজি পর্যন্ত বাড়লে সেটি স্বাভাবিকই ধরা হয়। তাই গর্ভকালীন সময়ে আপনার ওজন এর চাইতে যেন বেশি না বাড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অতিরিক্ত ওজন আপনার বুক জ্বালাপোড়ার কারণ হতে পারে ।
  • ডাবের পানি:ডাবের পানি বদহজম দূর করে বুকের জ্বালাপোড়া করিয়ে দেয়। ডাবের পানি শরীর থেকে টক্সিন পদার্থ বের করে দেয়। ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। ডাবের পানির তাৎক্ষণিকভাবে বুক জ্বালাপোড়া ভাব দূর করে দেয়। 
  • গাজর এবং পালং শাকের রস:গাজর এবং পালং শাকের রস বুক জ্বালাপোড়া রোধ করতে অত্যন্ত কার্যকারী । সমান অনুপাতে গাজর এবং পালং শাক একসাথে মিশিয়ে জুস করে নিন।এটি পান করুন দেখবেন আপনার বুক জ্বালাপোড়া বন্ধ হয়ে যাবে। 
  • অ্যালোভেরা জুস :বুক জ্বালা পোড়া অথবা গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন এলোভেরার জুস পান করুন। নিয়মিত এলোভেরার জুস খেলে এটি শুধু বুক জ্বালাপোড়ায় বন্ধ করে না ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে তোলে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের অ্যালোভেরা জেল কিনতে পাওয়া যায়। সেগুলোর পরিবর্তে নিজ বাসায় তৈরি করে নেয়ায় ভালো।

বুক জ্বালা কি?

বুক জ্বালা হচ্ছে পাকস্থলীতে উৎপন্ন এসিডের বিপরীতমুখী ধরার জন্য বুকের কাছে পুড়ে যাওয়ার জ্বালার  মত অনুভূতিকে আমরা সাধারণত বুক জ্বালা বলে থাকি।এটিকে আবার আমরা অ্যাসিডিটিওবলে থাকি।এটি হচ্ছে GERD এর প্রধান উপসর্গ।এটি অনেক সময়ে মুখে তিক্ত টক স্বাদ থেকেও বোঝা যায়। 
আমরা সাধারণত অত্যাধিক খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়ি ফলে পেটে এসিডিটি হয়ে বুক জ্বালাপোড়া করে। এই বুক জ্বলার অনুভূতি কয়েক মিনিট থেকে শুরু করে কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত হতে পারে।যদি প্রতিদিনই এরকম সমস্যা হয় তাহলে বুঝতে হবে এটি কোনও জটিল শারীরিক পরিস্থির উপসর্গ,যা নিরাময়ের জন্য চিকিৎসা ও শারীরিক পরীক্ষার দরকার।


বুক জ্বালাপোড়া করলে যেসব খাবার খাওয়া যাবেনা :

আমরা অনেকের মুখে শুনতে পাই যে খাবার খাওয়ার পর বুক জ্বালাপোড়া করছে। আমরা যেসব খাবার খাই সে সকল খাবারের মধ্যে কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে বুক জ্বালা পোড়া করে, পেট ফোলা ফোলা ভাব হয়। গলার মধ্যে টক টক ভাব হয়, এমনকি শ্বাসকষ্টের মত হতে পারে । তাই এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।

বুক জ্বালাপোড়া করে এমন কিছু খাদ্যের নাম জানিয়েছে আমাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়েব এমডি। আসুন জেনে নেয়া যাক যেসব খাবার খেলে বুক জ্বালাপোড়া করে :

যাদের বুক জ্বালা পোড়া করে তারা কখনো চকলেট খাবেন না কারন চকলেট এর মধ্যে রয়েছে ক্যাফেইন,কোকা ও দুধ একসঙ্গে থাকার কারণে শরীরে এসিডের রিফ্যাস্কের মাত্র বাড়িয়ে দেয়।

বুক জ্বালাপোড়া সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে আপনার কফি খাওয়া চলবে না। তবে বাজারে একরকম ভেষজ চা পাওয়া যায় সেটি খেতে পারবেন।কফির মধ্যে থাকে ক্যাফেইন আর ক্যাফইন বুক জ্বালা করার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।

তাছাড়া সোডা, চা,এনার্জি ড্রিঙ্কস, দেয়া খাবার খেলে বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা বাড়তে পারে। 

নিয়মিত ব্যথার ওষুধ সেবন করলে অনেক সময় বুক জ্বালাপোড়ার কারণ হয় । তাই এর জন্য কিছু খাবার পর ব্যাথা নাশক ঔষধ খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।

পনির বুক জ্বলার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। পনিরের চর্বি পাকস্থলীতে খুব বেশি এসিড সৃষ্টি করে । পনির খেতে চাইলে খুব বেশি চর্বিযুক্ত পনির না খেয়ে বরং কম চর্বিযুক্ত পনির খাওয়াই ভালো।

রসুন আমাদের ঠান্ডা কাশি দূর করার জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। তবে এটি অনেক সময় বুক জ্বলার সমস্যা বাড়ি যেতে পারে।রসুন কেবল পাকস্থলীতে এসিড করে না, অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা তৈরি করে।যাদের খুব বেশি বুক জ্বলা সমস্যা রয়েছে তাদের রসুন এড়িয়ে চালাই ভালো। তবে রান্নার মধ্যে আপনারা রসুন ব্যবহার করতে পারবেন।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আমার এ-ই আর্টিকেলের মধ্যে বুক জ্বালাপোড়া কি?বুক জ্বালা পোড়া করার কারণ,বুক জ্বালাপোড়া করলে করনীয় কি? ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে আপনাদের কাছে কিছু ধারনা দেয়ার চেষ্টা করেছি।
আপনাদের কাছে যদি আমার এ-ই আর্টিকেল টি পড়ে ভালো লেগে থাকে, অথবা এই বিষয় সম্পর্কে আরো কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।এবং আপনার প্রিয়জনদের সঙ্গে শেয়ার করবেন।সবাই ভালো থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url