আর্টিকেল লেখার কিছু নিয়মকানুন বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।

প্রিয় পাঠক, আশা করি আপনারা ভালই আছেন আজ আমি আপনাদেরকে গুগল কন্টেন্ট পলিসি, এডভান্স আর্টিকেল ফরমিটিং টেকনিকস,এইচটিএমএল মার্কআপ,সিএসএস প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ, বেসিক এইচ টি এম এল,অ্যান্ট্রিবিউট,এলিমেন্ট ও সিইও ট্যাগ পরিচিত সম্পর্কে জানাবো।আপনারা যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদেরই এই আর্টিকেলের সঙ্গে থাকেন।
আর্টিকেল লেখার কিছু নিয়মকানুন বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।


তাহলেআশা করি আপনারা গুগল কন্টেন্ট পলিসি, এডভান্সরাইটিং ফরমিটিং টেকনিকস,এইচটিএমএল মার্কআপ,সিএসএস প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ, বেসিক এইচটিএমএল অ্যান্ট্রবিউট,এলিমেন্ট ও সিইও ট্যাগ পরিচিতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।

গুগল কন্টেন্ট পলিসি:


গুগল কন্টেন্ট পলিসি বলতে আমরা গুগলে কন্টেন্ট লেখার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম নীতি রয়েছে যেগুলোকে আমরা গুগল কনটেন্ট পলিসি বলে থাকি।আজ আমরা গুগোলে আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে গুগলের যে নিয়ম নীতিগুলো রয়েছে সে সম্পর্কে আলোচনা করবো। গুগল সব সময় সৃষ্টিশীল, বৈজ্ঞানিক, আলাপ-আলোচনা করতে বেশি পছন্দ করে এবং সাধারণ মানুষ যে বিষয়গুলো পড়ে যেন উপকৃত হয় সে সকল কাজ করাকে উৎসাহিত করে।

তাহলে বুঝতে পারছেন এ সকল বিষয় নিয়ে কাজ করা সকলের জন্য উচিত। এ সকল কাজ করার বিষয়ে গুগলের কিছু নিজস্ব নিয়ম-নীতি রয়েছে। সেগুলো আপনাকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে তা না হলে google কর্তৃপক্ষ আপনার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবে এবং আপনাকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুক্ষীন হতে হবে। 

যেমন আপনার ওয়েবসাইটটি বন্ধ করে দেয়া সহ আরো অনেক ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারে গুগোল কতৃপক্ষ। আপনি চাইলে অপ্রাপ্তবয়স্কদের কন্টাক্ট নিয়ে ব্লগে আর্টিকেল লিখতে পারেন তবে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে আপনার পাঠকদের একটি সতর্কবার্তা দিতে হবে। যাতে করে আপনার পাঠকগণ বুঝতে পারে যে উক্ত কন্টেনটি অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য।

যদি এটি আপনি না করে প্রাপ্তবয়স্ক কন্টেন্ট পাবলিশ করে থাকেন সে ক্ষেত্রে সেটি যদি গুগল কোন ভাবে জানতে পারে। সেই ক্ষেত্রে গুগল কর্তৃপক্ষ আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। আজকাল অনেক বেশি পরিমাণের চাইল্ড আভিউসের মতন মারাত্মক ঘটনা ঘটছে। গুগলে এ ধরনের বিষয় নিয়ে কোন ধরনের কন্টেন্ট পাবলিশ করা যাবে না।

আপনি যে দেশে বসবাস করেন সে দেশের আইন পরিপন্থী কোন কাজ বা দেশের জন্য বিপদজনক এবং বেআইনি কোন ধরনের কনটেন্ট গুগলে পাবলিশ করা যাবে না। যদি আপনারা এগুলো করে থাকেন তাহলে আপনার যাবতীয় তথ্য আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর কাছে তুলে দেবে এবং আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে কে আপনার আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানাবে।

কাউকে উত্তপ্ত করা, হয়রানি করা, হুমকি দেয় এমন কোন কনটেন্ট গুগলে পাবলিশ করা যাবে না। যে সকল বিষয় সম্পর্কে পাঠক কন্টেন্ট পরে বিভ্রান্ত হয় বা ক্ষতিসাধন হয় এই সমস্ত কনটেন্ট গুগলে পাবলিশ করা যাবে না। 

পাঠকের অতি সংবেদনশীল ডেটা যেমন সোশ্যাল মিডিয়া বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্যাদি পাসওয়ার্ড আর্থিক বিবরণ ইত্যাদি সম্পর্কিত ফিশিং ডাটা সংগ্রহ বা সংরক্ষণ করা যাবে না। আবার অন্যের পোস্ট চুরি করে নিজের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা যাবে না।

উপরে যে সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো সেগুলো সবই google কন্টেন্ট পলিসির মধ্যে অন্যতম। আপনি চাইলে গুগল কন্টাক্ট পলিসি থেিকে সেগুলো সম্পর্কে আরো জেনে নিতে পারেন।google কন্টেন্ট পলিসি লংঘন করলে গুগল তাদের এনফোর্স নীতি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।



এডভান্সফরমিটিং টেকনিকস :


অ্যাডভান্স আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রেও আবার বেশ কিছু নিয়ম কানুন রয়েছ। এই নিয়ম গুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম  পাঠকের ইন্টারেস্ট ধরে  রাখার জন্য আমাকে একটি ম্যাজিকাল টাইটেল নির্বাচন করতে হবে। যখন আমরা গুগলে কোন কিছু সার্চ দেই তখন সর্বপ্রথম আমাদের  সামনে আসে পোষ্টের টাইটেল বা শিরোনাম।

সে ক্ষেত্রে আমাদের এমন কোন টাইটেল বা শিরোনাম বেঁছে নিতে হবে যা দেখে পাঠক  পোস্টটি পড়ার জন্য  আকৃষ্ট হয়। পাঠক কোনরকম বিরক্ত বা বোরিং  অনুভব না করে এরকম কোন কিছু টাইটেল নেয়া যাবেনা। পোস্টটি পড়ে যেন মনে হয় পাঠক এবং আপনি গল্প করছেন। সে ক্ষেত্রে পাঠক তার আগ্রহ সহকারে  আপনার সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়বেন।

দ্বিতীয়ত পোষ্টের মধ্যে আপনি প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে  বেশি বেশি করে লিংকিং করবেন। এতে করে google যেন মনে করে যে  ওয়েবসাইটে রিচ কন্টেন্ট  পরিমাণ বেশি । সেই ক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইট কে একটি ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে অনেকাংশের সহযোগিতা করবে । 

তৃতীয়ত আপনার পোষ্টের মধ্যে একশন বাটোন যোগ করবেন। কারন আপনি যদি পোষ্টের মধ্যে একশন বাটন  যোগ করেন তাহলে সহজে আপনার পোস্ট পাঠকের চোখের পড়বে এবং আপনার পোস্টটি রিচ বাড়বে।

আপনার ওয়েবসাইটটি যদি গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল প্রাপ্ত হয়।সেক্ষেত্রে আপনি আপনার পোষ্টের মধ্যে গুগলে বিভিন্ন   বিজ্ঞাপন  দেখিয়ে বেশ  ভালো টাকা আয় করতে পারেন। আটিকেলটি লেখার পর আপনার পোষ্ট কে অবশ্যই এসিও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে হবে। তা নাহলে আপনার আর্টিকেল থেকে খুব বেশি পরিমাণ অর্থ আয় করা সম্ভব হবে না।  

 HTMLমার্কআপ CSS প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ :


আমরা যে ভাষায় কথা বলি তার নাম বাংলা ভাষা আর অন্যান্য দেশের মানুষেরা অন্য ভাষায় কথা বলে, ঠিক তেমনি ভাবে কম্পিউটারে তাদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে যেগুলোকে আমরা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ বলে থাকি। কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর মধ্যে রয়েছে এইচটিএমএল, সিএসএস প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ,জাভা স্ক্রিপ্ট, পাইথন ইত্যাদি।

এইচ,টি,এম,এল এর অর্থ হচ্ছে (হাইপার ট্রেকস মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ)। আর সিএসএস অর্থ হলো (ক্র্যাসকেডিং স্টাইল শিট)।এইচ টি এম এল মার্কআপ জানার পূর্বে আপনাদেরকে আগে সাবলাইম টেক্সট ডাউনলোড করতে হবে। কারণ এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমেই আমরা জানতে পারবো এইচ টি এম এল বা হাই পারটেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েেজর কাজ সম্পর্কে।

তাহলে চলুন কাজ শুরু করা যাক প্রথমে আপনাকে কম্পিউটারে সার্চ অপশন থেকে ফাইল এক্সপ্লোলার অপশন সার্চ করতে হবে এরপর ভিউ ট্যাব ওপেন করতে হবে এখানে হাইড এক্সটেনশন ফর নোন ফাইল টাইপ মার্কে টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে এপ্লাই ওকে তে ক্লিক করতে হবে। এখানে প্রত্যেকটি ফাইলে শেষে এক্সটেনশন শো করবে।

এখন আপনি মাউসের লিফট বাটনে ক্লিক করে নিউ থেকে টেক্স ফাইল সিলেক্ট করে। টেক্সট কে এইচটিএমএল করে যে কোন একটি নামে ফাইলটি সেভ করতে হবে। প্রোগ্রামিং এর যে ভাষাগুলি আমরা সবলাইম টেক্স এই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে লিখব এবং বাউজাররের মাধ্যমে আমরা দেখব কিভাবে ল্যাংগুয়েজটি কাজ করে।

তাহলে চলুন দেখা যাক।প্রথমে সবলাইম সফটওয়্যারটি ওপেন করে আমরা আমাদের htmlফাইলটিকে সাবলাইম সফটওয়্যার এর ওপেন করব। এবার সাবলাইম সফটওয়ারে লেখার পর আমরা কিবোর্ড থেকে কন্ট্রোল +এস প্রেস করে সেভ করব এবং গুগল ক্রোম ব্রাউজে  কিবোর্ড থেকে কন্ট্রোল প্লাস আর রিফ্রেশ করে ফ্রেশ করে নেব ।

এখন আমরা সব লাইম সফটওয়্যার এর উপর টাইপ করলে অনেকগুলো অপশন চলে আসবে সেখান থেকে কিবোর্ডের ট্যাব বাটন প্রেস করে এইচটিএমএল সিলেট করলে এটি দেখাবে এটি মূলত এইচটিএমএল ল্যাঙ্গুয়েজের সর্বশেষ বা ৫ নম্বর ভার্সন। এটিতে বুঝানো হচ্ছে যে আপনি এইচটিএমএল এর ৫ নম্বর ভার্সন ব্যবহার করছেন।

HTML ল্যাঙ্গুয়েজের মধ্যে দুইটি ট্যাগ রয়েছে একটা হল পূর্বে কি লেখা দেখাবেন।যেখানে ক্লিক করলে লিঙ্ক চলে যাবে সেটি লিখতে হবে। h ref এর অর্থ হল হাইপারটেক্স রেফারেন্স আপনি কোন লিংকে রেফারেন্স হিসেবে দেখাচ্ছেন সেটি মূলত h ref। =""এর ভিতরে আমরা যা রেফারেন্স হিসেবে দিব একেই বলা হয় ওই লিংকের অ্যাট্রিবিউট।

এবং পূর্বে যেটিকে লিখবো সেটিকে বলা হচ্ছে এলিমেন্ট এরপর আপনি যদি কন্টেন্টের মধ্যে কোন ইমেজ রাখতে চান। সেক্ষেত্রে আপনাকে কিবোর্ড থেকে<i টাইপ করলে <image>ট্যাগ নাম একটি ট্যাগ আসবে যাকে কি বোর্ড থেকে ট্যাব বাটনে প্রেস করে সিলেট করলে <img src="">ইমেজ ট্যাগের সম্পূর্ণ এলিমেন্ট চলে আসবে ।

এখানে আপনাকে ইমেজ ট্যাগের srcবলতে বোঝায়। এরপর আপনি যে ছবিটা কে সেট করতে চান সেই ইমেজে সম্পূর্ণ নাম এবং তার এক্সটেনশন সহ কপি করে src=""এর মাঝে পেস্ট করে দিতে হব। এরপর কিবোর্ড থেকে space প্রেস করে widthটাইপ করে কতটুকু width ট্যাগ ওপেন হবে এরপর ""এ ডবল কোটেশনের ভিতর কতটুকু widthকরতে চান তা লিখে দিতে হবে ।

এরপর কি বোর্ড থেকে আপনি যদি এককে width করতে চান সেক্ষেত্রে PX একক লিখতে পারিনা যদি পারসেন্ট এখন কি করতে চান তাহলে কিবোর্ড থেকে shift+5 প্রেস করলে সেটি পার্সেন্ট আকারে শো করবে, ঠিক একই ভাবে আপনি যদি কতটুকু height করতে চান তাহলে কি বোর্ড থেকে স্পেস প্রেস করে height ট্যাগ ওপেন করতে হবে।

এবার কতটুকু height করতে চান তা লিখে দিতে পারেন । আমরা যখন কোন একটি পোস্ট লিখি এই পোষ্টের মধ্যে একটু সূচিপত্র দিয়।কারণ পাঠকরা যতে সহজে বুঝতে পারে আমার এই পোষ্টের মধ্যে কি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

এবং যে বিষয়টি সম্পর্কে আমরা জানাতে চাচ্ছি পাঠকরা যেন সূচিপত্র মধ্যেই দেখে নিতে পারে।এতে করে পাঠকরা যেমন লাভবান হয়। অনুরূপভাবে গুগলে এসিও করতেও বেশ সুবিধা হয়।যার ফলে আপনার পোস্টটিকে সহজে গুগলে র‍্যাংক করাতে সুবিধা হয় ।

শেষ কথা:


আশা করছি আপনারা এই আর্টিকেল পড়ে গুগলের কন্টেন্ট পলিসি, অ্যাডভান্স আর্টিকেল ফর মিটি টেকনিকস,এইচটিএমএল মার্কআপ,সিএসএস প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ,বেসিক এইচটিএমএল অ্যাট্রিবিউট, এলিমেন্ট ও এসইও সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা নিতে পেরেছেন। আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালোর কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন এবং অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url