আর্টিকেল লিখার কিছু বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।

আমরা অনেকেই আর্টিকেল লেখার সময় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্ক্রিনশট টেকনিকস,গ্রামাটিক্যাল এরর চেকার,কপিরাইটিং বিশ্লেষণ,Plagiarismকি?নিয়ে কাজ করি এগুলোর আলাদা আলাদা ভাবে কাজ করার প্রয়োজন হয়।
আর্টিকেল লেখার কিছু বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব স্ক্রিনশট টেকনিকস কিভাবে নেওয়া হয়, গ্রামাটিক্যাল চেকার কি, কপিরাইটিং বিশ্লেষণ কি,এবংPlagiarismকি এসমস্ত বিষয় নিয়ে।এ সকল বিষয়ে সম্পর্কে জানতে আজকে আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

ভূমিকা:

প্রিয় পঠক আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না স্ক্রিনশট টেকনিকএবং কপিরাইটিং জিনিসটা কি,আজকের আর্টিকেলে আপনাদেরকে জানানো হবে screenshot টেকনিক এবং গ্রাফিক্যাল এরোর কিভাবে চেক করবেন এবং Plagiarismকি?সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এর জন্য সকলকে এই আর্টিকেলটি বিস্তারিতভাবে পড়ার জন্য অনুরোধ করা হল।

স্ক্রিনশট টেকনিকস:

এখন প্রায় সব ডিভাইসে রয়েছে স্ক্রিনশট নেয়ার কিছু সহজ উপায়।প্রতিদিন এ ব্যাপারে অনেক প্রশ্ন আসে। অনেকেই স্ক্রিনশট নেওয়ার সহজ উপায় জানতে চান। স্ক্রিনশটের টিকস গুলো নিয়ে এ ফিচার:স্ক্রিনশট হচ্ছে আপনার কম্পিউটার মনিটরের স্থির চিত্র বা ছবি যা ইমেজ ফাইল হিসেবে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায়।এটা বিভিন্ন পদ্ধতিতে করা যায়।
 
প্রথম পদ্ধতি :Snipping Tools ব্যবহার করে
দ্বিতীয় পদ্ধতি :Keyboard optionব্যবহার

  • প্রথম পদ্ধতি:প্রথম স্লিপিং টুলস খুলুন, এটাই স্টার্ট বাটনে পাওয়া যাবে না পাওয়া গেলে স্টার্ট বাটনে Search option লিখে সার্চ করুন।যে ধরনের Snipনিতে চাচ্ছেন তার নির্ধারণ করুন।Free-formsnip-আপনিপছন্দমতনজায়গানির্বাচনকরতেপারবেন।Rectangularsnipআপনিএকটি আয়তক্ষেত্রাকারএলাকা নির্বাচন করতে পারবেন।
Window snip-আপনি Windows আকারে snip করতে পারবেন।Full-screen snip-আপনার সম্পূর্ণ পর্দা snip করতে পারবেন।আপনার পছন্দ মতন এলাকার নির্বাচন করুন। File option থেকে save as নির্বাচন করে অথবা copy disc চিহ্নিত বাটনে ক্লিক করে ফাইল সেভ করুন।
  • দ্বিতীয় পদ্ধতি :Keyboard optionব্যবহার প্রথমে কিবোর্ড থেকে প্রিন্ট স্কিন বাটনে প্রেস করুন । তারপর start থেকে paint ওপেন করুন।এবার মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে স্ক্রিনশটটি পেস্ট করুন। ফাইল অপশন থেকেই ইমেজটব শেভ করুন। ( এক্ষেত্র pngঅথবা jpeg ফরমেট ব্যবহার করুন।

মোবাইলে স্ক্রিনশট:

আপনার ভলিউম বাটন আর পাওয়ার বাটন একসঙ্গে চেপে নিতে পারেন স্কিনশট। এবার এন্ড্রয়েড ফোনে খুব সহজেই নিতে পারেন স্ক্রিনশ। অনেক মোবাইল আছে যে মোবাইল গুলোতে পাওয়ার বাটন+ভলিউম বাটন একসাথে কিছুক্ষণ চেপে রাখলে স্ক্রিনশট হয়ে যাবে।বিভিন্ন চাইনিজ ব্যান্ড ননব্যান্ড মোবাইলগুলোতে এইভাবে স্ক্রিনশট নেওয়া যাব।

symphony আর walton এর প্রায় সবগুলোতে এই পদ্ধতিতে স্ক্রিনশট নেওয়া যায়। কিছু কিছু মোবাইল আছে যেগুলো হোমস্ক্রিন বাটন আছে।যেমন স্যামসাং এ সমস্ত মোবাইলগুলোতে হোম বাটন+ভলিউম ডাউন বাটন একসাথে কিছুক্ষণ চেপে ধরলেই স্ক্রিনশট হয়ে যাবে। এ স্ক্রিনশট সেভ করে রাখা ছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যমে শেয়ার করা যাবে। 

গ্রামাটিকাল এরর চেকার :

গ্রামাটিক্যাল এরর আমরা আসলে দুই রকম ভাবে চেক করব।কারণ আমরা বাংলাতে লেখালেখি করি এবং ইংরেজিতে লেখালেখি করি। তো আমাদের ব্রাউজার যেগুলো রয়েছে সেগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইংরেজি খুব ভালোভাবে সাপোর্ট করে।বাংলা ঠিক মতো সাপোর্ট করে না।

যার ফলে আমরা আমাদের ইংরেজি গ্রামারটিক্যাল এরোর চেকার গুলো আমরা ব্রাউজার ইন্টারফেস করতে পারব। আর যদি আমরা বাংলা ব্যাকরণের ভুলগুলো চেক করতে চাই সে ক্ষেত্রে ডিফল্ট আমাদের যে কোন ব্রাউজার দিয়ে চেক করতে পারবো না। সেক্ষেত্রে আমাদেরকে যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে আলাদা করে কোন এক্সটেনশন বলা সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।
তো যাই হোক আমরা আজকে বলবো বেসিক নিয়ম রয়েছে 

গ্রামাচিক্যাল এরর চেক করার নিয়ম:

সম্পর্কে আটিকালে আলোচনা করব। আমরা কোথায় এবং কিভাবে গ্রামাটিক্যাল চেকার ব্যবহার করি আপনারা কি জানেন।যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আটিকেলটি আপনাদের জন্য।আমার লেখালেখি করার সময় অনেক ভুল করে থাকি আর সেই ভুল চেক করার জন্য আমারা গ্রামাটিক্যাল চেকার ব্যবহার করে থাকি।
আমরা আর্টিকেল লেখার সময় বাংলায় এবং ইংরেজি দুই রকম ভাবেই লিখে থাকি। ইংরেজি গ্রামারটিকাল চেক গুলো আমরা ব্রাউজার ইন্টারফেস করতে পারব।যদি কোন ইংরেজি বানানের ভুল হয়ে থাকে তাহলে ওই লেখার উপর রাইট বাটন ক্লিক করলে ওই ইংরেজি বানানের সঠিক বানান চলে আসবে।
আর বাংলা বানান ঠিক করার জন্য বিভিন্ন অ্যাপস এবং এক্সট্রেনশন ব্যবহার করে বানান ঠিক করতে পারি।সেজন্য আপনার ল্যাপটপ বা পিসিতে অভ্র কিবোর্ড থাকে তাহলে আপনি অভ্র স্পেল চেকার ডি দিয়ে বাংলা বানানের ভুল ঠিক করতে পারি।
বাংলা লেখার বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে যেগুলো আপনারা ভালো করে শিখে নিলে আপনাদের বাংলা বানানোর ভুল হবেনা। 

কপি রাইটিং কি এবং এর বিশ্লেষণ :

কপিরাইটিং জিনিসটা হলো আপনি আপনার পোস্টটি কত সুন্দর কত আকর্ষণীয় ভাবে লিখতে পারছেন সেই রকম কিছু কি বোঝানো হয়েছে। আপনি যে পোস্ট রাইটিং করেছেন সেই পোস্ট পাঠকের কাছে আদৌ আপনার পঠকের কাছে ভালো লাগছে কিনা। এ সমস্ত বিষয়কে কপিরাইটিং বলা হয়। 
কপিরাইটিং এর মধ্যে আপনাকে তিনটি বিষয় মাথা রাখতে হবে। যেমন হলো অ্যাটেনশন,প্রমিস, এবং কল টু অ্যাকশন ইত্যাদি।এ বিষয়গুলো বুঝতে পারলে কপিটাইটিং কি আশা করি বুঝতে পারবেন।এখন attentionজিনিসটা কি এটা জানতে হবে।
ধরুন আপনি একটি সার্ভিস অন্যের কাছে বিক্রি করবে। এক্ষেত্রে আপনার একটা উদ্দেশ্য থাকতে হবে। সেটা হচ্ছে সেবা গ্রহীতা বা কাস্টমারের অ্যাটেনশন টা ধরা।এই কাজটি করতে পারলে আপনার সার্ভিসটি বিক্রি করা সহজ থেকে সহজতর হয়ে যাবে।
আর এটেনশন ধরতে না পারলে সার্ভিস বিক্রি করা কঠিন হয়ে যাবে।
প্রমিস :
প্রমিস বিষয়টা হলো আপনি আপনার বিজ্ঞাপনের মধ্যে যে সমস্ত বিষয় নিয়ে প্রচার করেছেন সেই বিষয়ের উপর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়। ধরন আপনি আপনার পোষ্টের মধ্যে একটি প্রোডাক্ট নিয়ে নিয়ে বিজ্ঞাপন লিখেছেন।এখন সেই প্রোডাক্টের গুণগত মান কেমন তা আপনি প্রতীজ্ঞার মাধ্যমে বা প্রমিজ এর মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারেন।
 
যেমন আপনি বলতে পারেন যে আমাদের প্রোডাক্টটি ১০০% খাটি, এবং এর কোন সাইড ইফেক্ট নাই।এমনকি এর মধ্যে কোন কিছু দেওয়া নেই।এ সমস্ত বিষয়গুলোকে পোষ্টের মাধ্যমে উল্লেখ করে দেয়াকে প্রমিস বলা হয়।

কল টু অ্যাটেনশন:

উপস্থাপকের অ্যাটেনশন এবং প্রমিসের উপর ভিত্তি করে দর্শক শ্রোতা বা অডিয়েন্স যে প্রতিফলিত ফলাফলের নমুনা পাওয়া যায়। যার ভিত্তিতে উপস্থাপক তার কর্মসম্পাদন করে মূলত এটাকে কল টু অ্যাকশন হিসেবে ধরা হয। একটি উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি ক্লিয়ার করা হয় :
 
আমাদের এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটিত পেতে লাইক বা কমেন্ট করেন অথবা শেয়ার করেন এর ফলশ্রুতিতে আমরা যে প্রতিউত্তর ব্যক্ত করব তাহাই মূলত কল টু অ্যাকশন।Plagiarism কি।অনেকের জানেন না Plagiarism কি Plagiarism কেন ব্যবহার করা হয়, plagiarism এর ক্ষতি কি।তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক plagiarism কি?
 
আপনি কোন একটি পোস্ট লিখেছেন যে পোস্টটি যদি কেউ কপি করে নিজের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে তখন তাকে plagiarism বলে।অন্য কেউ যদি আপনার পোস্ট কপি করে নিজের সাইট প্রকাশ করে তাহলে এবং আপনাকে যদি কোন ক্রেডিট না দেয় তখন তাকেplagiarism বলে।

কেউ আপনার সাইটের লেখা চুরি করে তার নিজের সাইডে পাবলিশ করেছে কিনা দেখার জন্য বিভিন্ন এক্সটেনশন রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার plagiarism চেক করতে পরেন। plagiarism চেক করার একটা সাইট copyscape। plagiarismমূলত ব্যবহার করা হয় কেউ আপনার আইডি থেকে চুরি করে নিজের আইডিতে প্রকাশ করছে কিনা সেইটা দেখার জন্য plariarism ব্যবহার করা হয়।
 

আর্টিকেলস্পিনিংএবং স্ক্র্যাপিং সম্পর্কে জানুন:

কন্টেন্ট রাইটার হতে চাইলে যা জানা দরকার এই আলোচনা আমরা এখন জানব আটিকেলে স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং সম্পর্কে।আর্টিকেল স্পিনিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে একটা আর্টিকেলকে অনুকরণ করে অন্য একটি আর্টকেল তৈরি করা,যেখানে ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভিন্নতা থাকবে কিন্তু অর্থ একই রকম বোঝাবে, এটাকেই মূলত আর্টিকেল স্পিনিংবলে।

বর্তমানে অনেকেই হতে গেলে স্পিনিং ব্যবহার করে ওয়েব সাইটে পাবলিস্ট করছে।এক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে গুগল কর্তৃপক্ষ যদি বুঝতে পারে আপনি বারবার আর্টিকেল স্পিনিং ব্যবহার করছেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইট টি বাতিল করে দিতে পারে। আর্টিকেল স্পেলিং ব্যবহার করার ক্ষেত্রে খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
 
পরতো পক্ষে না করাই ভালো । আর্টিকেল স্পেনিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে সেখানে শুধুমাত্র কি-ওয়ার্ড লিখে দিলেই সফটওয়্যারটিক ঐ কিওয়াড সংশ্লিষ্ট একটি আর্টিকেল সুন্দরভাবে লিখে দিবে এটাই হলো আর্টিকেল স্ক্রাপিং।

উপসংহার :

এই আর্টিকেল টি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং আপনার কোন উপকারে এসে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত জনের সাথে শেয়ার করুন। "ধন্যবাদ"

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url