নিমপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক সকলকে আমার ওয়েবসাইটে স্বাগতম আশা করছি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদেরকে নিমপাতার উপকারিতা অপকারিতা, নিমের পাতা খাওয়ার নিয়ম, চুল ও ত্বকে যত্নে নিমের পাতার উপকারিতা, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে নিমপাতা খাওয়ার নিয়ম, নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।
নিমপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
আপনারা যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলের সঙ্গে থাকেন।তাহলে নিম পাতার যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।আশা করি আমরা আপনাকে এমন কিছু পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করব যার মাধ্যমে আপনি উপকৃত হবেন ইনশাল্লাহ। 

ভূমিকা :

নিম হলো একটি ঔষধি গাছ।নিমগাছের ডাল, পাতা, রস এগুলো সব কাজে লাগে। নিম গাছটি বহুবর্ষজীবী বৃক্ষ। এজন্য নিমগাছ কে আমরা ঔষধি গাছ হিসেবে মূল্যায়ন করতে পারি। এই গাছের পাতা থেকে শুরু করে ছাল, বাকল পর্যন্ত কোন কিছু ফেলে দেয়া যায় না। কারণ নিম গাছের ছাল, নিম গাছের পাতা, নিমগাছের বীজ,এগুলো ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
এছাড়াও নিমের পাতা, মূল, ফুল এবং ফল এগুলো নানান কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাক। এ কারণে নিমপাত সুনাম সারা পৃথিবী জুড়ে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক নিমপাতার উপকারিতা গুলো।

নিমপাতার উপকারিতা 

  • ত্বক :বহুদিন ধরে রূপচর্চায় নিমের পাতা ব্যবহারে আসছে। ত্বকে দাগ দূর করতে নিমের পাতা খুব ভালো কাজ করে। এছাড়াও এটি ত্বকের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। ব্রণ দুর করতে নিমের পাতা বেটে মুখে লাগাতে পারেন।মাথার ত্বকে অনেকেরই চুলকানির ভাব হয়।
    নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগালে চুলকানি কমে যাবে। নিয়মিত নিমের পাতার সঙ্গে কাঁচা হলুদ পেস্ট করে লাগালে ত্বকের উজ্জালতা বৃদ্ধি ও স্ক্রিন টোন ঠিক হয়।
  • অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য :নিম পাতার নিম্বিন এবং নিম্বিডিনের মতো যৌগগুলিতে সমৃদ্ধ যা শক্তিশালী অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে এবং এর উপকারিতা রয়েছে। এগুলি সাধারণত ত্বকের অবস্থা যেমন ব্রন ,একজিমা এবং দাদ রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:নিম পাতাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।নিমের পাতা নিয়মিত সেবন বা সাময়িক প্রয়োগ আপনার শরীরের সংক্রমণ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়াতে পারে।
  • কৃমিনাশক :পেটে কৃমি হলে শিশুরা রোগা হয়ে যায়। পেট বড় হয়। চেহারা ফেসকা হয়ে যায়।বাচ্চাদের পেটে কৃমি নিমূল করতে নিম পাতার জুড়ি নাই।
  • ওজন কমাতে:দেহের ওজন কমাতে নিমের পাতা খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।নিমের ফুল শরীরে চর্বি কমাতে এবং মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। দেহের ওজন কমাতে নিমপাতা এবং নিমের ফুল একসঙ্গে বেটে এক চামচ মধুর সাথে এক চা চামুচ লেবুর রস মিশ্রণ করে প্রতিনিয়ত খালি পেটে সেবন করতে পারেন। একটি দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
  • খুশকি রোধে নিয়মের পাতা:নিম এবং নিমের পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ছত্রাক এবংব্যাকটেরিয়া নাশক উপাদান। এই উপাদানগুলি খুশকি চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নিমপাতার পেস্ট তৈরি করে যদি মাথার তালুর উপরে ভালো করে লাগানো হয়। তাহলে খুশকি, উকুন এবং চুলকানির মত সমস্যা থেকে সহজে পরিত্রান পাওয়া যায়।
  • নিমপাতা অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ কাজ করে:নিম পাতা হাঁপানি এবং এ্যাজমার মতন জটিল থেকে নিরাময় করতে সাহায্য করে থাকে।নিমের বীজ থেকে তেল উৎপন্ন হয় এবং এই তেল হাঁপানি চিকিৎসা ব্যবহার হয়ে থাকে।
    প্রতিনিয়ত যদি নিয়ম করে কয়েকফোঁটা নিমের তেল সেবন করা যায়।তাহলে এ্যাজমা অথবা হাঁপানের মত কষ্টদায়ক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।নিম পাতা হাঁপানি ও অ্যাজমা চিকিৎসায় বহু যুগ থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে।
  • রক্ত পরিস্কার করে: দেহের রক্ত পরিষ্কার করতে নিমপাতা খুবই উপকারী একটি উপাদান।নিম পাতার রস প্রতিনিয়ত সেবন করলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে আসে এবং রক্ত পরিষ্কার করে। এছাড়াও হৃদপিন্ডের গতি স্বাভাবিক রাখতে প্রতিনিয়ত নিমপাতার রস সেবন করতে পারেন। নিমপাতা শরীরে রক্ত চলাচল ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • দাঁত ও মাড়ির সমস্যা সমাধানে নিম পাতা:দাঁত এবং মাড়ির যেকোন সমস্যার সমাধানের ঔষধ হিসেবে নিম কে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।প্রধানত স্টেপটোকক্কাস মিউট্যান্সের ব্যাকটেরিয়ায় বৃদ্ধির ফলে মুখ্য গহবরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া থেকে নিরাময় পেতে নিমপাতা খুবই উপকারী একটি উপাদান।
    এর পাশাপাশি নিমের তেল বিভিন্ন টুথপেস্ট এবং ফেসওয়াশ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কারণ এতে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি মাইক্রোবিয়াল এ্যান্টিবডিস উপাদান। মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম একটি উপাদান হলো নিম।
    নিম পাতায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান মাড়ি এবংদাঁতের টিস্যুগুলির মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধে নিমের পাতা:ক্যান্সারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে নিম খুবই উপকারী একটি উপাদান। নিমের পাতায় উপস্থিত রয়েছে স্যাকারাইডসএবং লিওমনোয়েডস নামক উপাদান যা মানব শরীরে ক্যান্সার উৎপন্নকারী কোষগুলোকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
    একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিনিয়ত নিমপাতা বা নিমের পাতার নির্যাস সেবনকারী ব্যক্তিদের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম।স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে নিমপাতার নির্যাস প্রস্টেট ক্যান্সারের কোষগুলো কে ধ্বংস করতে সক্ষম। তাই প্রতিদিন নিয়মিত নিমের পাতা ও নিমের পাতার নির্যাস সেবন করা প্রয়োজন।

নিমের পাতার অপকারিতা :

প্রত্যেকটি জিনিসের যেমন ভালো দিক থাকে তেমনি তার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। সেই অনুযায়ী নিম পাতার ভালো দিকের পাশাপাশি বেশ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে তাই অতিরিক্ত পরিমাণে নিম পাতা খাওয়ার ফলে কি কি পাশ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে তার নিম্নে আলোচনা করা হলো।
গর্বপাত:প্রানি গবেষণ নিমের নির্যাস গর্ভাবস্থায় প্রচরিত করতে পাওয়া গেছে। ইদুর বা বানর উভয়ের ক্ষেত্রেই কোন দৃশ্যমান পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই গর্ভাবস্থায় অবসান ঘটাতে পারে। যারা গর্ভধারণের আশা করেছেন তাদের জন্য নিম পাতা খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই।এক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করবেন।

নিম্ন রক্তচাপ:যেসকল মানুষের নিম্ন রক্তচাপ বা লো পেশার সেইসকল ব্যক্তিদের জন্য নিমপাতা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত নয় ।কারণ নিমপাতা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

লিভার সমস্যা:কারো যদি লিভার সমস্যা থেকে থাকে,তাহলে অনুগ্রহ করে নিমের পাতা খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিবেন। বয়স পাঁচ বছরের কম এমন বাচ্চাদের নিমপাতা গ্রহণ করা অনুচিত কারণ এতে তাদের বমি ভাব,শরীরে দুর্বলতা আবার কিছু কিছু সময় রে-সিন্ড্রোম দেখা দেয়।

যারা অল্পতে ক্লান্তি অনুভব করে তাদের নিম অথবা নিম আছে এমন কিছু গ্রহণ করা উচিত নয়।কারণ এতে তাদের ক্লান্তি ভাব বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।দীর্ঘদিন যাবত নিমপাতার রস সেবন করলে কিডনির সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে মহিলাদের নিম পাতা গ্রহণ করা উচিত নয় কারন এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে

এলার্জির প্রতিক্রিয়া :যদিও নিম অ্যালার্জিও ফুসকুড়ি নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত হয। আবার এর অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে এলার্জির কারণও হতে পারে।

নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম :

যদি সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন দুই থেকে তিনটি করে নিমপাতা যেকোনো উপায়ে খেতে পারেন তাহলে অসংখ্য কঠিন অসুখ থেকে মুক্তি পাবেন।নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই যেমন ভাবে সুবিধা আপনি খেতে পারেন তবে কয়েকটি পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো। নিমপাতার রস করে এক চা চমুচ করে সকালে খাবেন।যদি কৃমির সমস্যা থাকে তাহলে তা থেকে মুক্তি পাবেন।

কৃমির সমস্যা না থাকলে নিমপাতা খালি পেটে খাবেন না। যদি সরাসরি নিমপাতার রস খেতে সমস্যা হয় তাহলে নিমপাতাকে ফ্রাই করে নিয়ে খাবারের সঙ্গে খেতে পারেন। অথবা কয়েকটা নিমের পাতা পানিতে দিয়ে সিদ্ধ করে সেঁকে নিয়ে সেই পানি পান করতে পারেন। এছাড়া সবজি রান্না করার সময় দুই থেকে তিনটা পাতা সবজির মধ্যে মধ্যে দিয়ে দিতে পারেন।

চূল ও ত্বকের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার:

চুলের যত্নে: 

নিমের বীজের নির্যসে অ্যাজাডিরেকটিন নামক একটি পদার্থ থাকে, যা চুল উকুন সহ অন্যক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এই পদার্থটি উকুনের মত পরজীবীর বৃদ্ধি ব্যাহত করার পাশাপাশি এদের প্রজনন ও অন্য সেলুলার প্রক্রিয়া রোধ করতে ভূমিকা রাখে।নিমের তেল চুলের খুশকি দূর করতেও অত্যন্ত কার্যকরী।

ত্বকেরযত্নে:

নিমের তেলের প্রচুর পরিমাণ ফাটি এসিড থাকে।এর পাশাপাশি নিমে থাকা ওলেইস,প্লামেটিক এবং লিনোলেইস এসিডের মতন পদার্থ,যা ত্বকের যত্নে অত্যন্ত কার্যকরি।এছাড়া এর আন্টি অনফ্লেমেটরি,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,এন্টি মাইক্রোবায়াল পদার্থ ত্বককে এলার্জি এবংসহ অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্ত রাখে।নিমপাতা ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের আক্রমণের হাত থেকে ত্বককে সুরক্ষিত করে।ব্রনের সমস্যা থাকলে নিম পাতার পেস্ট করে লাগালে উপকার পাওয়া যাবে ।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের নিমপাতার ভূমিকা:

ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের নিমপাতা খুব ভালো কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। রক্তে শর্করা পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে সুগার বা ডাইবেটিসের মত রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। নিমপাতার রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে ভালো কাজ করেএকটিগবেষণাথেকেজানাগেছে,নিমপাতায়উপস্থিতি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে হাইপোগ্লাসেমিক উপাদান যা শরীরের মধ্যে উপস্থিত যে কোন রোগ জীবাণুকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে।

নিম পাতার ব্যবহার :

নিম পাতা ব্যবহারের কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে যেগুলো মেনে চললে নিম পাতা হতে পারে আপনার স্বাস্থ্যর জন্য অনেক উপকারী।নিমের পাতা খেলে আমাদের শরীরে আজেবাজে জিনিস ভালো হয়ে যায় মানে শরীরের পরিপাকতন্ত্রে গতি বারে এবং সেই সাথে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে দেয় এবং রক্তে শুদ্ধতা বাড়ায়। 
ফলাফল হিসেবে শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে আপনার ত্বককে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করব। এজন্য নিমপাতা তিন থেকে চারটি প্রতিদিন চিবিয়ে খেতে হবে।নিম পাতা বেটে ছোট ছোট বড়ি তৈরি করে রোদে শুকাতে দিন তারপর ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে কাঁচের সংরক্ষণ করুন। প্রতিদিন সকালে দুই থেকে তিনটি বড়ি পানি দিয়ে খেয়ে ফেলুন। 

নিমপাতা সেদ্ধ পানি বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। কোন ফেসপ্যাক পেষ্ট তৈরি করার সময় পানি বদলে এই নিম পানি ব্যবহার করতে পারেন।নিমের ডাল দাঁতের জন্য যে উপকারী সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মুখের দুর্গন্ধ দাঁতের জীবাণু রোধে এটি বেশ কার্যকরী।কারো কেটে বা পুড়ে গেলে সেই স্থানে নিমপাতার রস ভেষজ ঔষধের মতন কাজ করে। 
নিমের পাতা রোদে শুকিয়ে গুরা করে রেখে দিতে পারেন। পরবর্তীতে যে কোন ফেইস মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করার জন্য। 

ব্রনের জন্য নিম পাতা ব্যবহার:

ব্রনের দাগ দূর করতে নিমপাতা খুবই কাজে লাগে।ব্রনে নিমপাতা ব্যবহার করতে প্রথমে নিম পাতা সিদ্ধ অথবা পিষে পেস্ট করে নিন।এরপর নিম পাতার পেস্ট আপনার মুখে আলতো করে লাগান।কার্যকারিতার জন্য ৮ থেকে ১০ মিনিট পর আপনার মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে ধূয়ে ফেলুন। 

এলার্জি দূর করবে নিমের পাতা:বর্তমানে একটি অস্বস্তির নাম এলার্জি।খুব বড় ধরনের রোগ না হলেও একে হেলে ফেলে দেওয়া যায় না। কারণ এটা কতটা ভয়ংকার সেটা যিনি আমি ভুক্তভোগী শুধু তিনি জানেন।পছন্দের তালিকায় থাকা এমন অনেক খাবার আছে যা এলার্জি আক্রান্ত না খেতে পারেন না। 
তবে এই নিয়ে আর চিন্তা নাই। সব চিন্তা ভুলে সহজেই নিমপাতা ব্যবহার করে নিজে নিজে এর সমাধান করে ফেলুন।১ কেজি নিমপাতা ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন।শুকনো নিমের পাতা পাঠায় পিসে গুড়া করুন এবং তা ভালো একটা পরিষ্কার কোটা রেখে দিন।
এবার এক চা চামুচে তিন ভাগের এক ভাগ নিমপাতার গুড়া এবং এক চা চামুচ ইসবগুলের ভুষি এক গ্লাস পানিতে আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এবং রাতে শোয়ার আগে ভিজিয়ে রাখা মিশ্রণ টি পান করুন। এলার্জির সমস্যা বা চুলকানি জন্য ২১ দিন একটানা খেতে হবে।
ইচ্ছে হলে নিমপাতা গরম পানি দিয়ে জ্বাল করে গোসলও করতে পারেন। কার্যকারিতা শুরু হতে এক মাসের মত সময় লাগতে পারে। তবে ভালো হবে বলে আশা করা যায় ।এরপর থেকে এলার্জির জন্য যে সকল খাবার খেতে পারতেন না যেমন হাঁসের ডিম, বেগুন, গরুর মাংস,চিংড়, কচ, কচু শাক ,গাভীর দুধ, পুঁইশাক, মিষ্টি কুমড়া সহ অন্যান্য খাবার খান।এসব খাবার খেলেও আর আপনার এলার্জির সমস্যায় ভুগতে হবে না।

উপসংহার:

আজ এই পোষ্ট থেকে আমরা নিমপাতার যাবতীয় ‍গুনাবলী নিমপাতা খাওয়ার নিয়ম, চুল ও ত্বকের যত্নে নিমপাত কি কাজ করে,ডায়বেটিকস নিয়ন্ত্রণে নিমপাতা কি কাজ করে ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।আশা করছি এই পোষ্ট থেকে নিমপাতা সম্পর্কে আপনারা অনেক কিছু জানতে পেরেছেন,এরপরও যদি আপনাদের আরো কিছু জানার থাকে। 
তাহলে আমাদের কে কমেন্ট করে জানাবেন।আমরা আপনাদের তা জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবো। সবাই কে এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন ,আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url