অর্জুৃনের ছাল খাওয়ার উপকারিতা ও অর্জুন গাছের ছালের ঔষুধি গুন সম্পর্কে ।

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আশা করছি আপনারা ভালো আছেন। আপনারা যদি অর্জুন গাছের ছাল খাওয়ার উপকারিতা, অর্জুন গাছের ছালের ঔষুধি গুন সম্পর্কে জানতে আমাদের এই ওয়েবসাইটে এসে থাকেন তাহলে ঠিক কাজটি করেছেন কারণ আমরা আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাতে চলেছি অর্জুন গাছের ছাল খেলে কি কি উপকারিতা হয, এবং এই ছালের ঔষুধি গুন সম্পর্কে। 
অর্জুৃনের ছাল খাওয়ার উপকারিতা ও অর্জুন গাছের ছালের ঔষুধি গুন সম্পর্কে ।

আপনারা যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলের সঙ্গে থাকেন তাহলে আরো জানতে পারবেন অর্জুন গাছের ছালের অপকারিতা ,পুষ্টি উপাদান,এবং অর্জুন গাছের ছাল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। তাহলে আর দেরি না করে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

ভূমিকা :

যেহেতু কোন বাড়িতে যদি একটি অর্জনের গাছ থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে একজন ডাক্তার উপস্থিত আছে। অর্জুন গাছের এত উপকারিতা যা বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু আমরা বেশিরভাগ মানুষই জানি না অর্জুন গাছের ঔষুধি গুন সম্পর্কে, অর্জুন গাছের ছালের অপকারিতা সম্পর্কে,অর্জুন গাছের ছাল খাবার নিয়ম সম্পর্কে, এবং অর্জুন গাছের ছালের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে।
আপনারা যদি এ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে মূল্য আলোচনায় যাই। 

অর্জুনের ছালের উপকারিতা:

হৃদরোগে :অর্জুনের বাকোলে রয়েছে এনজাইম কিউ ১০ যা হৃদরোগ এবং হার্ট অ্যাটাকের প্রতিরোধ করে। অর্জুনের বাকল বেটে খেলে হৃদপিন্ডের পেশী শক্তিশালী হয়। এবং হৃদপিন্ডের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাই। এটি রক্তের কোলেস্টেরল কামায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। 

এজমা রোগ:অ্যজমা একটি মারাত্মক রোগ। এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে অর্জুনের গাছের ছাল গুঁড়ো করে দুধের সাথে মিশিয়ে সেবন করলে এই রোগ ভালো হয়ে যাবে। 

উচ্চ রক্তচাপ কামায়:অর্জুনের ছাল উচ্চারণ রক্তচাপ কমাতে বেশ উপকারী এটা প্রমাণিত। আসলে অর্জুনের শালের মধ্যে রয়েছে টাইগ্লিসারাইড স্তর হ্রাস করার মাধ্যমে রক্তের কোলেস্টেরল হ্রাস করে। এর জন্য অর্জুন গাছের ছাল এক চা চামচ পাউডার দুধ দুই গ্লাস পানিতে অর্ধেক করে গরম করে সকাল ও সন্ধ্যা পান করলে ধমনী খুলবে এবং রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করবে। 

লিভারের রোগ :মানুষের লিভার শরীরের এমন একটি অংশ যা ভাল থাকলে শরীর ভালো থাকে আর আর যাদের লিভারের সমস্যা থাকে তাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে না। লিভার কে সুস্থ এবং সবল রাখতে। অর্জুনের ছাল গুঁড়ো করে পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে পান করলে লিভার ভালো থাক। লিভার সুস্থ রাখতে অর্জুনের ছাল সঠিকভাবে ব্যবহার করলে লিভারের জন্য ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। 

ত্বকের জন্য :অর্জুনের গাছের ছাল অনেক ত্বকের সমস্যা দূর করে। অর্জুনের গাছের ছাল, বাদাম, হলুদ,এবং কর্পূর সামান্য পরিমান মিশিয়ে পৃষ্ঠা করে, ত্বকের উপর প্রয়োগ করলে মুখের সমস্ত বলিরেখা দূর হয় এবং ত্বকে আরো উজ্জ্বল করে তোলে। 

হজম শক্তি বৃদ্ধি করে :আমাদের প্রায় লোকেরই একটা সমস্যা দেখা যায় হজমের সমস্যা একটু বয়স হলেই রোগটির লক্ষণ বেশি দেখা যায়। অনেক চিকিৎসা করার পরও এ রোগটি ভালো হয় না। তবে অর্জুন গাছের ছাল সঠিক নিয়মে সেবন করলে তো সহজে ভালো হয়ে যায়। কেউ যদি নিয়মিত রাতে অর্জুন গাছের ছাল খায় তার হজম শক্তি অনেক বাড়বে। 

প্রদাহ হ্রাস করে :অর্জুন গাছের বাকল কিন্তু প্রদাহ হ্রাসের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। এর জন্য অর্জনের গাছের ছাল পিষ্ট করে মিহিগুড়ো খড়ি পাক পদ্ধতিতে ৫ থেকে ১০ গ্রাম পরিমাণে রোগীকে খাওয়ানো হলে কাডিওভাসকুলার রোগের পাশাপাশি হৃদরোগের ঘটনা হ্রাস করে। এছাড়া প্রায় এক থেকে তিন গ্রাম পরিমান পাউডার প্রদাহ হ্রাস পায়।এবং এর সাথে সম্পর্কিত সব সমস্যা চলে যায়।

ব্রণ সারাতে :কারো মুখে ব্রণ হলে অর্জুনের বাকল চূন্য করে মধুর সাথে মিশিয়ে মুখে লাগালে ব্রন দ্রুত ভালো হয়ে যায়। 

উন্নত চুলের জন্য:চুলের বৃদ্ধির জন্য আমরা অর্জনে গাছের ছাল ব্যবহার করতে পারি। মাথার চুলের মধ্যে অর্জুনের গাছের ছাল এবং হেনার মিশ্রণ চুলে লাগানোর ফলে চুল সাদা থেকে কালো হয়। এবং চুলকে মজবুত ও শক্তিশালী করে তোলে।  

মুখের ফোস্কার চিকিৎসায় :মুখের ফস্কার দ্বারা বিরক্ত ব্যক্তিরা অর্জুনের ছাল ব্যবহার করতে পারেন। অর্জুনের ছাল চূন্য করে নারকেল তেলের মিশ্রণ করে ফস্কার উপর লাগালে আপনি কষ্ট থেকে অবশ্যই উপশম পাবেন। এই মিশ্রণ শুধু ফস্কারী কাজ করে না এর সাথে অল্প গুড় সহযোগী সেবন করলে জ্বর থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়। 

সর্দি কাশি থেকে রক্ষা :সর্দি কাশি থেকে মুক্তি পেতে অর্জনে ছাল একটি অসাধারণ ঔষধ। অর্জুনের ছাল ফুসফুসের কার্যকরী ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে । এছাড়াও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ প্রতিরোধ অর্জুন ছাল ভেজানো পানি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। 

ক্যান্সার প্রতিরোধে :এক গবেষণায় দেখা গেছে অর্জুনের ছালের মধ্যে রয়েছে গেলিক অ্যাসিড আর লুটেনোনিন।এই দুইটি উপাদান ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করে। আপনি যদি নিয়ম করে অর্জুনের ছাল সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে ক্যান্সার থেকে দূরে থাকতে পারবেন। সপ্তাহে দুই দিন শোয়ার আগে অর্জুনের ছাল গুড়া করে দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে এতে উপকার পেয়ে যাবেন।

আমাশয় থেকে মুক্তি দেয় :আমাশয় হলে আমরা শারীরিকভাবে অনেক কষ্ট পাই। আমাদের পেট সব সময় ভারী হয়ে থাকে এবং নাভির কাছে যন্ত্রণা করে। হলে কিছু খেতে ইচ্ছা করে না আপনি যদি অর্জুনের ছাল গুরো করে ছাগলের দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খান তাহলে আমশয় হতে মুক্তি পেতে পারেন।

মেদ সমস্যা দূর করতে:যারা অতিরিক্ত মেদ নিয়ে সমস্যায় থাকেন তারা যদি সকাল সন্ধ্যা অর্জুনের গাছের ছালের পানির মিশ্রণ সেবন করেন তাহলে আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

ক্ষত নিরাময় :অনেকের ঘা পচড়াা হয়ে থাকে সহজে ভালো হতে চাই না। তারা যদি ঘা পচড়ায় অর্জুনের ছাল ব্যবহার করে থাকেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন। এর জন্য অর্জুনের গাছের ছাল পানিতে সুন্দর করে ভিজিয়ে ভিজিয়ে রেখে দিন এবং পরের দিন সকালে ওই পানি দিয়ে ক্ষতস্থান ভালো করে ধুয়ে ফেলুন দেখবেন কয়েক দিনের মধ্যে আপনার ঘা পচড়া ভালো হয়ে যাবে। 

মাড়ির সমস্যায় অর্জুন :মাড়ি থেকে রক্ত পড়া খুব সাধারণ একটা সমস্যা। আমাদের অনেক সময় মাড়ি ফুলে যায় লাল হয়ে যায় তখন প্রচন্ড ব্যথা করে। অর্জুন গাছের ছলে রয়েছে ক্যানিন যা আপনার মাড়ির সমস্যা থেকে আপনাকে মুক্তি দিবে। অর্জুন গাছের ছাল গুড়ো করে মাজারের মতন ব্যবহার করলে আপনি উপকার পেতে পারেন। 

ফোড়া হলে :ফোড়া হলে অর্জুন গাছের পাতা দিয়ে ঢেকে রাখলে ফোঁড়া ফেটে যায় । এবং পরবর্তীতে অর্জুন গাছের পাতার রস ক্ষতস্থানে দিলে ক্ষত তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। 

অর্জুন গাছের ছালের ঔষুধি গুন :

ভেষজ শাস্ত্রে ঔষধি গাছ হিসেবে অর্জুনের ব্যবহার অগণিত। কথ আছে যদি কোন বাড়িতে একটি অর্জুন গাছ থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে সেই বাড়িতে একজন ডাক্তার আছে।এর বিভিন্ন রকম ঔষধি গুন মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আছে সুপ্রচীন কাল থেকেই তারপরও যতদিন যাচ্ছে ততই অর্জুনের উপকারি দিক উদ্ভাবিত হচ্ছে। নিম্নে অর্জনে কিছু ঔষধিগুণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
  • যাদের বুক ধরফড় করে অথচ অথচ তাদের উচ্চ রক্তচাপ নেই। তাদের জন্য অর্জুনের কাঁচা ছাল ১০ থেকে ১২ গ্রাম আর সুখ না হলে ৫ থেকে ৬ গ্রাম একটু ছেঁচে ২৫০ মিলি দুধ ও ৫০০ মিলি পানির সাথে বেশি জ্বাল দিয়ে আনুমানিক ১২৫ মিলি থাকতে ছেঁকে বিকেলবেলা খেলে বুকের ধরফরানি কমে যায়। তবে পেটে যাতে বায়ু না থেকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 
  • ক্ষয়কাশে অর্জুন সালের গুড়া বাসক পাতার রসের ভিজিয়ে শুকিয়ে রাখতেনপ্রাচীন বৈদ্যেরা।দমকা কাশি হতে থাকলে একটু ঘি ও মধু বা মিছরির গুড়া মিশিয়ে খেতে দিতেন।এতে করে কাশি উপশম হত।
  • হাড় মচকে গেলে বা চির ধরলে অর্জুনের ছাল ও রসুন বেটে অল্প গরম করে মচকানো জায়গা লাগিয়ে বেঁধে রাখলে তা সেরে যায়।তবে সেই সাথে অর্জুনের ছালের চূর্ণ দুই থেকে তিন গ্রাম মাত্রায় ১/২ চা চামুচ ঘি ও শিকি কাপ দুধ মিশিয়ে খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। 
  • অর্জুনের ছাল হাঁপানি আমাশয় ঋতুস্রাব জনিত সমস্যা, ব্যথা, প্রদহ ইত্যাদি চিকিৎসায় উপকারী। 
  • বিচূর্ণ ফল মুত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে এবং লিভার সিরোসিসের টনিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। 
  • এটি জ্বর সংকোচ ওর জ্বর নিবারক হিসেবে কাজ করে। 
  • অর্জুনের ছালে রয়েছে Saponin যা যৌন উদ্দীপনা বাড়ায়।তাই চর্ম ও যৌন রোগে অর্জন ব্যবহৃত হয়। যৌন উদ্দীপনা বাড়াতেও অর্জুনের সালের রস ব্যবহার করা হয়। 
  • অর্জুন এর সালে রয়েছে Essential oil যা খাদ্য হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।এবং খাদ্যতন্ত্রের ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। 
  • ক্যান্সার কোষের বর্ধন রোধকারী Gallic acid,ethyl gallae ও lutenolin রয়েছে অর্জুনের ছলে। এ কারণে এটি ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

অর্জুনের ছালের পুষ্টিগুণ:

অর্জুনের ছালের রয়েছে অনেক ফাইটোকেমিক্যাল, ট্রাইটারপেনয়েড,গ্লাইকোসাইড, ফ্ল্যাভোনয়েড,ট্যানিন,বিটাসিটোস্টেবল, খনিজ এবং ট্রেস উপাদান। ক্যাটাগরি দেখো ফাইটোকেমিক্যাল, ট্রাইটারপেনয়েডস আরজুনিন, অর্জুনিক অ্যাসিড,আরজুনোলিক অ্যাসিড, আরজুনজেনিন,টার্মিনিক অ্যাসিড,খনিজ, ক্যালসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সিলিকা, দস্তা তামা উপাদানগুলি অর্জন গাছের ছালের উপস্থিত। 

অর্জুনের ছাল খাওয়ার নিয়ম :

অর্জুন গাছের ছালের গুঁড়ো বা চূর্ণ দুই থেকে তিন গ্রাম চিকিৎসকের নির্দশনে অনুযায়ী খেতে হয়। অর্জুন গাছের ছালের সাথে মধু বা পানি যোগ করুন দুপুরের খাবারের পর বা রাতের খাবারের পর খেতে পারেন। অর্জুনের ছাল দিয়ে চা বানিয়েও খেতে পারলে খুব উপকার।এক থেকে দুই গ্রাম অর্জনের ছালের গুঁড়ো বা চূর্ণ নিন। 
এক কাপ পানি এক কাপ গরম দুধ বসিয়ে তাতে সেই চূর্ণ বলা গুড়ো দিয়ে ফোটান। যতক্ষণ না পরিমাণটি আধা কাপে নেমে আসে।সকালে এবং সন্ধ্যায় দিনে একবার বা দুইবার পান করুন। 

অর্জুনের ছালের অপকারিতা :

অর্জুন এর নিরাপত্তা ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে খুব কম গবেষণা আছে। গবেষণায় দেখা যায় কিছু লোকের মধ্যে হালকা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে যেমন বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথা, এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, এটা গর্ভবতী এবং বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা নিরাপদ নয় এবং শিশুদের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা ঠিক নয়। 
কারণ এই জনসংখ্যায় সুরক্ষা মূল্যায়ন করা হয়নি। সুগার রোগীদের ক্ষেত্রেও অর্জুনের ছাল ব্যবহারে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। তাই অর্জুনের ছাল ব্যাবহার করা পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসাকে পরামর্শ নিতে হবে। 

উপসংহার :

প্রিয় পাঠক আপনারা এতক্ষণ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারলেন অর্জুনের গাছের ছালের উপকারিতা, ঔষুধি গুণসহ আরো অনেক বিষয় সম্পর্কে। আপনারা যদি এই আর্টিকেলের বিষয়বস্তু পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটি ফলো করে দেন এবং আপনার বন্ধু বান্ধব দের মাঝে লিংকের মাধ্যমে শেয়ার করুন ধন্যবাদ। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url