মনিটর কি? মনিটর সম্পর্কে বিস্তারিতভাব জেনে নিন।

মনিটর কি?

মনিটর হলো এক ধরনের ইলেকট্রনিক্স আউটপুট ডিভাইস যা ভিডিও ডিসপ্লে ইউনিট VDUবা ভিডিও ডিসপ্লে টারমিনালVDTনামে পরিচিত। টেলিভিশন আর মনিটর দেখতে একই রকম,মনিটারে শধু টেলিভিশন টার্নার না থাকার কারণে চ্যানেল পরিবর্তন করা যায় না।


টেলিভিশনের তুলনায় মনিটরে ডিসপ্লে রেজুলেশন অনেক হাই তাই ছবিগুলো অনেক পরিষ্কার দেখা যায়

মনিটরের পূর্ণরূপ কি ? মনিটরের পূর্ণরুপ হচ্ছে Mass On Newton Is Train On Rat.

মনিটর কাকে বলে?

মনিটর হল কম্পিউটার সিস্টেমের সাথে টেলিভিশনের মত যে যন্ত্রাংশ থাকে তাকে আমরা মনিটর বলে থাকি। মনিটর হল কম্পিউটারের অতি গুরুত্বপূর্ণ এক আউটপুট ডিভাইস, এটা ডিসপ্লে ডিভাইস ও নামে পরিচিতরং প্রদর্শনের উপর ভিত্তি করে মনিটরকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় মনোক্রম

মনিটর -এ ধরনের মনিটরে শুধু সাদা কালো ছবি প্রদর্শন করে । বতমানেএই মনিটর আর ব্যবহারিত হয়না।কালার মনিটর -এ মনিটরে কালার ছবি প্রদর্শন করে।

মনিটর কত প্রকার ও কি কি?

মনিটর সাধারণত তিন প্রকার হয়ে থাকে :সিআরটি মনিটর(CRT MONITOR):সিআরটি পূর্ণরূপ হল ক্যাথড রে টিউব(Cathode Ray Tube)এই মনিটরটি আগের দিনে কম্পিউটারে ব্যবহার করা হতো, বেশিদিন না ১৫ বছর আগে এই মনিটরটি কম্পিউটারে ব্যবহার করা হতো।

এ মনিটরটি দেখতে আগের দিনে টেলিভিশনের মতন। এ-ই মনিটরে vacuum Tube থাকে বিদ্যুৎ খরচ বেশি।

এলসিডি মনিটর( LCD MONITOR) :

এর পূর্ণরূপ হল লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে (Liquid Crystal Display)এইমনিটরটি সিআরটি মনিটরের আপগ্রেট ভার্সন। এলসিডি মনিটর হল ডিসপ্লে প্রযুক্তি যা কম্পিউটার ল্যাপটপ ক্যামেরা ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা হয়। এই মনিটরটি সিআরটি মনিটরের চেয়ে স্ক্রিন রেজুলেশন অনেক ভালো

 এর এলইডি মনিটর(LED MONITOR):পূর্ণরূপ হল লাইট ইমিটিং ডায়োড (Light Emitting Diode)এলইডি মনিটর দেখতে এলসিডি মনিটরের মতই,এই দুই মনিটরের মধ্যে পার্থক্য খুব একটা বোঝা যায় না। এলইডি মনিটরে এ ইমিটিং ডায়োড ব্যবহারের ফলেএই পিকচার কোয়ালিটি খুবই ভালো।

 এই মনিটর ব্যবহারে অন্য সব মনিটরের চাইতে বিদ্যুৎ বিল অনেক কম আসে। তাই মনিটরের ব্যবহার খুবই বেশি।

মনিটর আবিষ্কার :1897 সালে প্রথম ক্যাথোড রে মনিটর আবিষ্কার করেছিলেন কার্ল ফার্ডনান্ড ব্রাউন (Karl Fardinad Braun)।

নতুন মনিটর কেনার আগে বিবেচ্য বিষয়:

নতুন মনিটর কেনার সময় বিবেচনা করার জন্য মূল পাঁচটি বিষয়ে জানা জরুরী,যা আপনাকে একটি ভাল মানের মনিটর ক্রয় করতে সাহায্য করবে । বর্তমানে কর্মক্ষেত্রে বড় মাপের মনিটর ব্যবহারে আসছে।

বড় মনিটর আপনার কাজকে আরো কাজের জন্য দক্ষ আরামদায়ক করে তুলবে কর্মক্ষেত্রে সর্বাধিক সাধারণ আকার হলেও ২২ থেকে ২৪ ইঞ্চির মনিটর।

রেজ্যুলিউশন

রেজ্যুলিউশন হলো মনিটরের পিক্সেল। আর এই পিক্সেল উপর নির্ভর করে মনিটরের ছবির মান।একটি মনিটরের রেজ্যুলিউশন হল ১৯২০-১০৮০।মনিটরের রেজ্যুলিউশন যত বেশি হবে স্কিনের পিক্সেল তত ছোট হবে।

ভিডিও ইনপুট

মনিটরে সাধারণত যে সকল ভিডিও ইনপুট করা হয় তার মধ্যে ভিজিএ,এইচডিএমআই, ডিভিআই,ডিসপ্লে পোর্ট ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে।। এদের মধ্যে ডিসপ্লে ভোট হচ্ছে অন্যতম ডিসপ্লেপোর্ট প্রতি সেকেন্ড ৬০ফ্রেমে৩৮৪০*২১৬০রেজ্যুলিউশনে ভিডিও প্রদর্শন করে।

 ডিভিআইসাধারণত১৯২০*১২০০রেজ্যুলিউশনে ভিডিও করতে পারে যদিও ডিভিআই -ডিটিআই রেজ্যুলিউশন সাপোর্ট করে।
বৈশিষ্ট্য

  • মনিটরে বর্তমানে প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো :
  • টাচস্ক্রিন ইন্টারফেস
  • কাভড ডিসপ্লে
  • সামঞ্জস্যযোগ্য উচ্চতা
  • ইউএসবি হাফ বিল্ড ইন
  • অন্তর্নির্মিত স্পিকার
  • এসডি কার্ড স্লট
  • গেমিং এর জন্য উচ্চতর রিফ্রেশ রেট (সর্বনিম্ন ১৪৪হার্জ)

বাজেট

কম্পিউটারের কেনার আগে যেমন কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয় তেমন মনিটরও কেনার সময় কিছু ফিচার দেখে কিনবেন। এর মধ্যে প্রাধান যে বিষয়টি হলো মনিটরের ডিসপ্লের রেজ্যুলিউশন ও আকার।এই দুটির মান যত বেশি হবে মনিটরের পিকচার কোয়ালিটি

ততােবেশি উন্নত হবে এবং মনিটরের দাম ও অনেক বেশি হবে।সুতরাং বুঝতেই পারছেন উপরের বিষয়গুলো বিবেচনা করে যদি মনিটর কিনতে যান তবে বাজেটা অবশ্যই একটু বেশী লাগবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url